মুমিনের মাওলা মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালাম কে মাওলা হিসেবে কবুল করে নাই খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া।
পৃথিবীর বুকে সর্বনিকৃষ্ট মানুষ রুপি অমানুষ খবি-শ শয়-তানের অনুসারী তারা যারা সর্ব প্রথম সাহাবী বিদ্বেষী পাঁচ শত সাহাবী চব্বিশ হাজার তাবেয়ী হত্যাকারী পবিত্র কলেমার পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াত উৎখাতকারী উমাইয়া মুলকিয়াত প্রতিষ্ঠাকারি মদখোর নারী লোভী খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়ার গুনগান করে।
আল্লাহতায়ালার পক্ষ থেকে প্রাণাধিক প্রিয়নবীর ঘোষণা প্রিয়নবীর পর প্রিয়নবীর উম্মতের সর্বোচ্চ মাওলা মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালাম যে বা যারা মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালাম কে মাওলা হিসেবে কবুল করে নাই তারা মুমিন নয় মোনাফেক আর মুমিনের হৃদয়ে মোনাফেকের জন্য প্রেম ভালবাসা শ্রদ্ধা থাকতে পারে না।
মুমিনের মাওলা মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালাম যখন রাষ্ট্র ব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াত এর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সব সাহাবায়ে কেরাম গ্রহণ করলেও মোনাফেকের সরদার আবু সুফিয়ানের পালিত লালিত জা-রস সন্তান রাক্ষসী রানী হিন্দার পুত্র খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালাম কে কবুল করে নাই বরং মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালামের বিরুদ্ধে অবস্থান গড়ে তুলে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
মুমিনের মাওলা মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালাম এর বিরুদ্ধে মা আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহা কে দিয়ে সর্ব প্রথম চক্রান্ত করে যুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করে খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া কিন্তু মুমিনের মাওলা মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালাম সে চক্রান্ত ছিন্নভিন্ন করে দেয় আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহা সহ সব মুকবুল সাহাবায়ে কেরাম মাওলার সাথে চলে আসেন সেই যুদ্ধের নাম জঙ্গে জামাল।
খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া কেনো মুমিনের মাওলা মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালামের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করেছে অপবাদ দিয়েছে এবং সাহাবায়ে কেরাম দের মধ্যে ফেতনা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে সেই আলোচনা করতে আম্মাজান আয়েশা সিদ্দিকা রাদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহা এবং ওনার ভাই খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়ার নিকট গেলে তাদের জীবিত মাটির গর্তে চাপা দিয়ে শহীদ করে ফেলেন।
খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া চক্রান্তে সফল হতে না পেরে আবার মুমিনের মাওলা মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে এবং বলে আমরা আলির আইন মানি না কুরআনের আইন মানি আলির সমাধান মানি না কুরআনের মাধ্যমে সমাধান চাই।
সর্ব প্রথম খলিফাতুল রাসুলের সুন্নাহর বিরুদ্ধে অবস্থান করে খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া।
মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালামের নির্দেশে সিরিয়ার দ্বায়িত্ব নিয়ে আম্মার বিন ইয়াসির রাদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পাগল ওয়ায়েস কারনী রাদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সহ অনেক মুকবুল সাহাবায়ে কেরাম রওয়ানা দেন খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়ার নির্দেশে তার অনুসারী খারেজিরা সিফফিনের ময়দানে আম্মার বিন ইয়াসির রাদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পাগল ওয়ায়েস কারনী রাদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সহ অনেক মুকবুল সাহাবায়ে কেরাম দের পথ রুদ্র করে দেয় এবং তাদের সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়।
সিফফিনের যুদ্ধে আম্মার বিন ইয়াসির রাদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু পাগল ওয়ায়েস কারনী রাদ্বীয়াল্লাহু তায়ালা আনহু সহ অনেক মুকবুল সাহাবায়ে কেরাম শহীদ হন এবং খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়ার দল পরাজিত হয়ে পালিয়ে যায়।
সিরিয়ার দ্বায়িত্বে অন্যায় ভাবে জবরদস্তির মাধ্যমে খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া থাকেন।
প্রকাশে না এসে গোপনে গুপ্ত চোরের মাধ্যমে হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া মুমিনের মাওলা মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালাম কে শহীদ করান তারপর রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করেন ইমামে আকবর হাসান আলাইহিসসালাম।
ইমামে আকবর হাসান আলাইহিসসালাম এর বিরুদ্ধেও খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া হত্যার চক্রান্ত করেন ইমামে আকবর হাসান আলাইহিসসালাম বুঝতে পেরে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের দায়িত্ব খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়াকে দেন, একটা কথা মুমিনে মুমিনে চুক্তি হয় না চুক্তির মাধ্যমে প্রমাণ করেছে হাসান আলাইহিসসালাম যে খুনি বাগী মুয়াবিয়া মোনাফেক।
খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করলেও সে প্রতিটি চুক্তি ভঙ্গ করেছে। ওয়াদা ভঙ্গকারী মুমিন নয় মোনাফেক।
ইমামে আকবর হাসান আলাইহিসসালাম কে বিষ প্রয়োগের মাধ্যমে শহীদ করার পিছনে খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়ার চক্রান্ত ছিল।
রাষ্ট্রের দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে আল্লাহর রাসুলের নির্দেশে মুকবুল সাহাবায়ে কেরাম আইয়ামে জালিয়াতির উৎখাত করেন আর খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া ইসলামের নামেই আইয়ামে জালিয়াতির প্রতিষ্ঠা করেন।
খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া প্রতিটি মসজিদের মিম্বরে দাড়িয়ে আহলে বাইত কে গালিগালাজ করার নিয়ম চালু করেন যারা গালি দিতে রাজি হত না তাদেরকে হত্যা করে ফেলতেন।
খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া ইমামে আকবর হাসান আলাইহিসসালামের চুক্তি ভঙ্গ করে তার পাপিষ্ঠ সন্তান কাফের এজিদ কে রাষ্ট্রের দ্বায়িত্ব দেন যে সব সাহাবায়ে কেরাম কাফের এজিদ কে রাষ্ট্রের খলিফা হিসেবে গ্রহণ করতে আপত্তি জানান সেই সব সাহাবায়ে কেরাম দের শহীদ করেন খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া।
৪১ হিজরিতে মাওলায়ে আলা আলি আলাইহিসসালাম কে শহীদ করার পর ইমামে আকবর হাসান আলাইহিসসালাম থেকে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের দায়িত্ব খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া গ্রহণ করার থেকেই অন্যায় অবিচার জুলুম নির্যাতন খুন গুম শোষণের রাষ্ট্র ব্যবস্থা শুরু হয় সত্য সুবিচার মানবতার সবার সব মানুষের অধিকার স্বাধীনতা নিরাপত্তা রুটি রুজি নিশ্চিত করার রাষ্ট্র ব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াত উৎখাত হয়।
খুন গুম নির্যাতন জুলুম শোষণ অন্যায় অবিচার স্বৈরদুষতার মুলুকিয়াত থেকে সব মানুষ কে উদ্ধার করার জন্য আবার সত্য সুবিচার মানবতার সবার সব মানুষের অধিকার স্বাধীনতা নিরাপত্তা রুটি রুজি নিশ্চিত করার রাষ্ট্র ব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াত প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ইমামে আকবর হুসাইয়ন আলাইহিস সালাম মুকবুল সাহাবায়ে কেরাম দের নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন।
৪১ হিজরিতে সিফফিন ৬১ হিজরিতে কারবালা।
মুসলিম মিল্লাতের জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালার ঘটনা সবাই জানে।
খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়া থেকেই ইসলামের নামে উগ্রবাদী সন্ত্রাসী শুরু হয় আজ যারা ইসলামের নামে রাষ্ট্র চাই কুরআনের আইন চাই বলে লাফালাফি করে তারা সবাই খুনি বাগী জালেম হারাম-জাদা মোনাফেক মুয়াবিয়ার পাপিষ্ঠ সন্তান কেউ ওয়াবী কেউ সালাফি কেউ খারেজি কেউ কাওমী কেউ শিয়া কেউ লা-মাঝহাবী কেউ আইএস কেউ জামাত কেউ হিজবুত তাওহীদ কেউ হিজবুত তাহরী।
মুয়াবিয়াবাদ না বুঝলে ইসলামের ছদ্মবেশী বাতেল দের চিনা বুঝা সম্ভব না এবং সিফফিন কারবালার শিক্ষা চেতনা না বুঝলে সত্যের ইসলাম মানবতার ইসলাম বুঝা সম্ভব না।
আসুন প্রিয়নবীর প্রেমের পথে সত্যের বিপ্লবী অভিযাত্রায় ভ্রান্ত দলমত ছেড়ে দিয়ে মুক্তির দিশা বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের মহাকাফেলায়।
মনিরুজ্জামান মনির
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks For You Comment