আল্লাহর পক্ষ থেকে নসর বা সাহায্য তখনি আসে যখন সংকট সমস্যা তৈরী হয় -"নাফিজ নিজাম"

"ইজা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহ ওয়া রাআইতান্নাছা ইয়াদখুলুনা ফী দ্বীনিল্লাহি আফওয়াজা" যখন মহান রাব্বুল আলামীনের পক্ষ থেকে সাহায্য আর বিজয় আসে, ইয়া রাসুলুল্লাহ আপনি দেখবেন আল্লাহর ধর্ম তথা ঈমান ইসলামের মাঝে মানবতার মাঝে দলে দলে যুক্ত হবে" সূরা নছর।

আল্লাহর পক্ষ থেকে নসর বা সাহায্য তখনি আসে যখন সংকট সমস্যা তৈরী হয়, একেক জনের জীবনে একেক স্তরে একেক মুহুর্তে একেক সংকট সমস্যা তৈরী হয় এভাবে শতকোটি মানুষের শতকোটি সংকট সমস্যা আছে, আবার সব সমস্যার পরিধী ভয়াবহতাও একেক রকম। জীবনের দিক থেকে জীবন সর্বত্রই ধর্ষণ খুন জুলুম অন্যায় অবিচার পাশবতার শিকার হওয়া, অপশক্তির হাতে জীবন অবরুদ্ধ থাকা,অন্যের ইচ্ছের পুতুল কিংবা পাদুকা বা ভোগ বিলাশের হাতিয়ার হওয়া যেমন জীবনের সর্বোচ্চ সংকট তেমনি আত্মার দিক থেকে মানবসত্তা বা আত্মসত্তা মুক্ত স্বাধীন মানবিক না হয়ে একক বস্তুর অধীন একক মতবাদের অধীন কিংবা একক ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদীর অধীন পরাধীন হওয়া আত্মিক সংকট, এভাবে আত্মা যখন ছিনতাই হয়ে যায় জীবন যখন অপরাধীন হয়ে যায় তখন জীবনের উপর নেমে আসে খুন জুলুম অবিচার পাশবতা সহ রাষ্ট্র ও রাষ্ট্রীয় সকল সম্পদ লূটপাটের ন্যায় ঘোর কালো আঁধার, আর এটাকেই বলা হয় মানবতার সংকট যা সব মানুষেরই সংকট।

মানবতার সংকটের উর্ধ্বে বা বড় সংকট হলো ঈমানী সংকট তথা আত্মা ও জীবন কালেমার সাথে যুক্ত না থাকা, কালেমা থেকে ঈমান থেকে স্রষ্ট্রা ও স্রষ্টার মহা আলো থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা, পবিত্র কালেমার ধারায় ঈমান ইসলামের সঠিক নির্ভুল পথে না থাকা, বদর উহুদ কারবালার আলোকধারায় একাকার না থাকা, ঈমান ইসলামের পূর্ণাঙ্গ পথ না চিনা পূর্ণাঙ্গ পথে যুক্ত না থাকা।

বর্তমান পৃথিবীতে মানবতার সংকট এবং ঈমানী সংকটের চেয়ে বড় কোন সংকট নেই, আত্মিক সংকটে আত্মা বিনষ্ট হয়, জীবনের সংকটে জীবন বিনাশ হয় আর ঈমানী সংকটে কেবল আত্মা ও জীবন বিনষ্ট হয় না বরং দুনিয়া ও আখিরাত উভয়দিকই ধ্বংস হয় চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়। বিশ্বজুড়ে যেমন কোন মানুষের অধিকার স্বাধীনতা নিরাপত্তা শান্তি সুরক্ষা নেই কেউ আপন রুটি রুজি ঘর বাড়ি নিয়ে শান্তিতে বসবাস করতে পারছে না সর্বত্রই সংকট বিরাজমান তেমনি ঈমান দ্বীনের পথও সুরক্ষিত নয় প্রকৃত ইসলামের পথ ঈমানের পথ কালেমার পথ হেদায়তের পথ প্রায় বিলুপ্ত, কোটি কোটি মানুষ ঈমানের আলো থেকে শানে রেসালাতের আলো থেকে কালেমার পথ থেকে বিচ্ছিন্ন, ঈমানী রাজধানী প্রাণের কেবলাভূমি পবিত্র মদিনাতুল মনোয়ারা মক্কাতুল মুকাররমা কাফের এজিদের উত্তরসূরী বাতেল ওহাবী গোত্রবাদী সন্ত্রাসীদের হাতে অবরুদ্ধ, দুনিয়াব্যাপী মিল্লাত মানবতার জীবন ও জগত ঈমান ও জীবন বিরোধী অপশক্তির হাতে অবরুদ্ধ।

আগুনে পুড়ে যাচ্ছে ব্যক্তির জন্য যেমন উদ্ধারকারী ব্যক্তিই আল্লাহর সাহায্য, পানিতে ডুবে যাওয়া ব্যক্তির জন্য যেমন উদ্ধারকারী ব্যক্তিই আল্লাহর সাহায্য, রোগীর জন্য ডাক্তার ও মেডিসিন যেমন আল্লাহর সাহায্য তেমনি মিল্লাত মানবতাকে ঈমানী সংকট ও মানবতার সংকটে মুসলিম মিল্লাতের মহান ইমাম আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা উদ্ধারকারী এবং বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব সকল সংকট মোকাবেলায় এবং জীবনের মূল লক্ষ্যে পৌঁছাতে মেডিসিন হিসেবে এই যুগে এই শতাব্দীতে আল্লাহ ও তার মাহবুব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত সাহায্য।

আল্লাহ ও তার হাবীবের পক্ষ থেকে সাহায্য যখন আসে ফাতহ বা বিজয় তখন সুনিশ্চিত হয়ে যায়, কেননা আল্লাহর সাহায্য বৃথা যায় না, শানে রেসালাতের মহিমা কখনও বৃথা যায় না। আর বিজয় যখন সুনিশ্চিত হয় তখন দলে দলে মিল্লাত মানবতার তার আপন পথে সত্য ও ন্যায়ের পথে কালেমা কারবালার আলোকধারায় হকের বিশুদ্ধ পূর্ণাঙ্গ পথে মানবতার পথে যুক্ত হয়। কাজেই যুগের মহান ইমামত উপস্থিতি ও দিশা হাজার বছরের ইতিহাসের এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন তথা পবিত্র খেলাফত পুনরুদ্ধার এবং দ্বীনের আসল চিরন্তন ধারার পূনপ্রতিষ্ঠা।

তাই....
"এসো প্রাণাধিক
প্রিয়নবীর প্রেমের পথে-
সত্য ও মানবতার মুক্তির
বিপ্লবী অভিযাত্রায়-
ভ্রান্ত দলমত ছেড়ে মুক্তির দিশা-
বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ও
বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর মহা কাফেলায়- ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা"।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাহাবী একটি বৈশিষ্ট্য, সাহাবী একটি চরিত্র, সাহাবী একটি আদর্শ, সাহাবী মানে উৎসর্গ, সাহাবী মানে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত! লেখক- আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিশার আলোকে- আল্লামা মুফতি রেজাউল মোস্তফা কায়সার

প্রিয়নবীর সম্পর্কের চেয়ে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান অপরিহার্য্য অন্য কোন সম্পর্কই নয় -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা"

(দলিল) নবী রাসূল আলাইহিস সাল্লাম গন সহ আল্লাহর ওলী গন চিরন্তন জীবিত ।