আম্মাজান আয়েশা ছিদ্দিকা রাদ্বীআল্লাহু আনহাকে যেভাবে হত্যা করে -মূয়াবীয়া ইবনে আবু সুফিয়ান


হযরত আম্মাজান আয়েশা ছিদ্দিকা রাদ্বীআল্লাহু আনহাকে  যেভাবে হত্যা করা হয়  ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে , মূয়াবীয়া ইবনে আবু সুফিয়ান একদিন রাতের খাবারের জন্য আম্মাজানকে কে নিমন্ত্রণ করেন ।

যে ঘরে খাবারর আয়োজন হয়েছিল ঠিক সেই খানে একটা সরু আকৃতির খাদ বা গর্ত খনন করান কট্টর মুনাফেকি মূয়াবীয়া । 

আল্লামা ইবনে খালদুনের লিখুনি অনুসারে, ঐ গর্তটি ধারাল চাকু ও তলোয়ার দ্বারা পূর্ণ এবং অগ্রভাগ উপরের দিকে ছিল ।

গর্তটির উপর দিয়ে চিকন শুকনা কাঠের বাকল বিছিয়ে একটা কার্পেট দ্বারা আবৃত করা হয় যাতে ওখানে যে একটি গর্ত আছে সেটা বুঝা না যায় ।  আম্মাজনকে বসার জন্য একটা কাঠের চেয়ার দেয়া হয় এবং এমন ভাবে রাখা হয় যে , যখনি তিনি সেখানে বসবেন , তখনি যেন চেয়ারটি সেই গর্তে পড়ে যায় । 

যথারীতি খাবার গ্রহনের জন্য আম্মাজান সেই আসনটিতে বসা মাত্রই তিনি সেই গর্তে পরে যান। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না আলাইহির রাজিউন।

এতে তাঁর পবিত্র মাথা, থুথনী ও অনন্য স্থান প্রচন্ড রক্তাত্ত হয় ।

পবিত্র শরীরের অনেক হাড় ভেঙ্গে গিয়েছিল, সে সময়ই আম্মাজান এর করুন শহীদী ওফাত হয় । 

ঘৃণ্য- ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ থেকে রক্ষা পাবার জন্য মূয়াবীয়ার নির্দেশে হযরত আম্মাজানের পবিত্র দেহটি কোন এক পাহাড়ের গুহায় ফেলে দেয়া হয় । 

এইরূপ জঘন্য ভাবে আম্মাজান রাদ্বীআল্লাহু আনহাকে হত্যা করে শহীদ করে নামধারী কাতেবে ওহী মূয়াবীয়া ।

ওফাত মোবারকের সময় আম্মাজানের বয়স ছিল চৌষট্টি বছর । 

যখন আম্মাজনকে হত্যা করা হয় তখন সময়কাল হিজরী সাতান্ন সালের শেষ দিকে ।  ঠিক এ কারনে হযরত আম্মাজান এর পবিত্র মাজার শরীফের নির্দিষ্ট স্থানটুকু মদীনার ঠিক কোথায় , তা আজ পর্যন্ত কেউ জানে না !! 

প্রসংগত এখানে আরও উল্লেখ্য যে , মূয়াবীয়া অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় হযরত আম্মাজানকে হত্যা করেন এবং তারপুর্বে হযরত আম্মাজান এর ভাই মুহাম্মদ বিন ছিদ্দিকে আকবর রাদ্বীআল্লাহু আনহুকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন ।

হযরত আম্মাজান এর ভাই হযরত মুহম্মাাদ বিন ছিদ্দিকে আকবর রাদ্বীআল্লাহু আনহুকে  গাঁধার চামড়ার ভিতর পুরে দিয়ে আগুন ধরিয়ে হত্যা করা হয় । 

প্রিয়নবীপাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অনেক মকবুল সাহাবীকে নিকৃষ্ট মূয়াবীয়া হত্যা করেন ।

এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন হযরত বিন আদি রাদ্বীআল্লাহু আনহু  ও হযরত আম্মার বিন ইয়াসির রাদ্বীআল্লাহু আনহু  । 

সূত্র – তারিখুল ইসলাম, খন্ড – ২, পৃষ্ঠা – ৪৪ । তাহলে এবার ঈমানদার বিবেকবানদের নিকট প্রশ্ন রইল কি করে মুয়াবিয়াকি প্রিয়নবীর সাহাবী থাকে নাকি কট্টর মুনাফিক হয়ে যায়।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাহাবী একটি বৈশিষ্ট্য, সাহাবী একটি চরিত্র, সাহাবী একটি আদর্শ, সাহাবী মানে উৎসর্গ, সাহাবী মানে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত! লেখক- আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিশার আলোকে- আল্লামা মুফতি রেজাউল মোস্তফা কায়সার

প্রিয়নবীর সম্পর্কের চেয়ে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান অপরিহার্য্য অন্য কোন সম্পর্কই নয় -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা"

(দলিল) নবী রাসূল আলাইহিস সাল্লাম গন সহ আল্লাহর ওলী গন চিরন্তন জীবিত ।