সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত এর বিরুদ্ধে যারা মিথ্যাচার করেন তাদের বলবো কারো কথা শুনে কারো বিরুদ্ধে মিথ্যাচার না করে সত্যটুকু আগে জানেন।



ইসলামের মূল ধারা আহলে সুন্নাতের সংজ্ঞা ও রূপরেখা হারিয়ে যখন বাতিল ফেরকা- বস্তুবাদ ও মুলুকিয়তের আঁধার গহ্বরে রুদ্ধ হয়ে গেছে এবং জীবন মানবতার সংজ্ঞ সহ বিলুপ্ত হয়ে মানবতার রাষ্ট্র কাঠামো যখন ধ্বংস হয়ে গেছে- তখন ইমাম হায়াত সবকিছু পূণরায় তুলে ধরেছেন। 

ঈমান দ্বীনের আসল ধারা সুন্নীয়তের জন্য যাঁরা কাজ করছেন উনারা সবাই দিশারী এবং আরো অনেক মাননীয় দিশারী যাঁর যাঁর স্হান থেকে ব্যক্তিগতভাবে বিচ্ছিন্ন ভাবে কাজ করে আসছেন, আমরা তাঁদের সবার যার যতটুকু ভূমিকা অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ ও সন্মান করে যাবো। তবে বিশেষ আংশিক ক্ষেত্রে ব্যক্তির বিচ্ছিন্ন একক প্রচেষ্টা আর প্রাতিষ্ঠানিক সাংগঠনিক সম্মিলিত জাতীয় উদ্যোগ এক নয়। 

কেবল কোনো এক বাতিল থেকে বাঁচানোর চেষ্টা আর সব বাতিল থেকে মুক্ত করার চেষ্টা পরিধিগত এক নয় এবং ঈমান দ্বীনের বিশেষ আংশিক কিছু দিক তুলে ধরা আর পূর্ণাঙ্গ দিশা দিকদর্শণ রূপরেখা তুলে ধরা এক নয়। 

ইমাম হায়াতের সাথে নিকট অতীতের বা বর্তমানের অন্যান্য দিশারীদের কাজের সাথে নীতিগত মতানৈক্য না থাকলেও পরিধি ও পদ্ধতিগত পার্থক্য আছে। 

ইমাম হায়াত সর্ব বাতিলের বিরুদ্ধে চিরআপোষহীন আদর্শিক সংগ্রাম এবং আকিদা আদর্শ আধ্যাত্মিক মানবিক রাজনৈতিক সবদিকে কলেমা কারবালার আলোকধারায় দ্বীন সুন্নীয়তের নির্ভেজাল ও পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা বাস্তবায়নের সাধনায় উৎসর্গীকৃত। 

প্রাতিষ্ঠানিক ও সাংগঠনিক ভাবে আধ্যাত্মিক মানবিক রাজনৈতিক সবদিকে কলেমা কারবালার আলোকধারায় পূর্ণাঙ্গ দিশা দিকদর্শণ নিয়ে বিগত ইতিহাসে আমাদের জাতীয় কর্মসূচি দৃশ্যমান হয় নি। 

এ ভয়ংকর শূণ্যতায় এবং নিকট বিগত ইতিহাসে আমাদের অনেক আত্মঘাতী ভূল সিদ্ধান্তের ফলে দ্বীন মিল্লাত মানবতার ধারা পরাজিত এবং জীবন ও জগত বাতিল জালিম অপশক্তির গ্রাসে জবরদখল হয়ে গেছে, যে ভয়াবহ শূণ্যতা পূরণের সাধনা করে যাচ্ছেন ইমাম হায়াত। 

নিকট অতীত আমাদের শ্রদ্ধেয় বুজুর্গানে দ্বীন উনারা মৌলিক আকিদার কিছু অতি জরুরী দিক এবং আধ্যাত্মিক দিকে কাজ করে মূল ধারা আংশিক ধরে রেখেছেন , কিন্তু ইসলাম বা আহলে সুন্নাতের তথা সুন্নীয়তের রাজনৈতিক দিক খেলাফতে ইনসানিয়াত কেবল ইমাম হায়াত ই এ যুগে পূর্ণাঙ্গ ভাবে তুলে ধরেছেন। 

উনারা ইসলামের ছদ্মনামধারী বাতিল ফেরকা সালাফি ওহাবি শিয়াবাদের বিরুদ্ধে কাজ করছেন, কিন্তু বাতিল ফেরকা ও বস্তুবাদী মতবাদ উভয় বাতিলের বিরুদ্ধে কাজ এবং উভয় বাতিলের গ্রাস থেকে উদ্ধারের পথ দেখিয়েছেন ইমাম হায়াত। 

শুধু বাতিল ফেরকা ও বস্তুবাদী মতবাদের গ্রাস থেকে উদ্ধারের পথ নয় বিভিন্নধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদের হিংস্র অপরাজনীতির ধারক স্বৈরদস্যুতন্ত্রের বিণাশী গ্রাস থেকেও মিল্লাত ও মানবতাকে উদ্ধারের পথ দেখিয়েছেন ইমাম হায়াত। 

ইমাম হায়াত উনাদের সবার প্রতি শ্রদ্ধা শিক্ষা দিয়েছেন, কিন্তু উনার দিশা আকিদা আদর্শ আধ্যাত্মিক মানবিক রাজনৈতিক সবদিকে ভাইবোন সবাইকে নিয়ে কলেমা কারবালার আলোকধারায় দ্বীন সুন্নীয়তের নির্ভেজাল ও পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা, যা ব্যতীত দ্বীন রক্ষা হবে না বরং মিল্লাত ও মানবতার মুক্তির কোন উপায় নেই। এখানে তুলনার কোনো প্রশ্ন নেই বিষয়টি হচ্ছে দিশা ও কাজের যুগোপযোগী পরবর্তী ধাপ। 

ইমাম হায়াতের দিশা ও কাজ একক তরিকত বা একক মাজহাবের মধ্যে সীমিত নয় এবং শুধু মুসলিম মিল্লাতের মধ্যেও সীমিত নয় ।

ইমাম হায়াত তুলে ধরেছেন, শাণে রেসালাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেম ও শাণে চির বিশ্বস্ততা ও উৎসর্গীকৃত আকিদা এবং আকিদার অন্য সকল দিকে অটল থাকার সাথে সাথে সর্ব বাতিলের বিরুদ্ধে চিরআপোষহীন মুক্ত থাকতেই হবে এবং দ্বীন ও জীবনের অন্যান্য দিকের সাথে মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন ও মহান মকবুল সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুমের গোলামিয়াতের ধারায় নিজেদের রাজনৈতিক দিক খেলাফতে ইনসানিয়াত পূণপ্রতিষ্ঠায় আমরা শাহাদাতে কারবালার নির্দেশিত আমানত ও অংগীকারে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

যার বিপরীতে কোনো প্রকার মুলুকিয়ত বা একক গোষ্ঠীবাদি অপরাজনীতির ধারা বা কোনো বাতিলের স্বৈরদস্যুতন্ত্র কবুল করার সুযোগ নেই।

ইমাম হায়াত ই তাঁদের সবার দোয়ার ফলে কলেমার মর্মধারা রেসালাত কেন্দ্রীক তাওহীদ ভিত্তিক আত্মসত্তা ও জীবন চেতনা সুস্পষ্ট ভাবে তুলে ধরেছেন এবং এর বিপরীত বস্তুবাদী সত্তা ও চেতনার বিণাশী আঁধার গ্রাস থেকে উদ্ধারের পথ দেখিয়েছেন। 

শুধু এক বাতিলের বিরোধিতা করে আরেক বাতিলের অংশ হয়ে যাওয়া এবং ঈমান দ্বীনের বিশেষ আংশিক কিছু দিক গ্রহণ করে কিছু দিক বাদ দিয়ে ইসলাম বা সুন্নীয়তের নামে যে ধ্বংসাত্মক ধারা তৈরি হয়ে হক ও বাতিলের ধারা একাকার করে সুন্নীয়তের সংজ্ঞা ও রূপরেখা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে সে আঁধার বিণাশের গহ্বর থেকে উদ্ধারের সুস্পষ্ট দিশা দিয়ে ইমাম হায়াত সুন্নীয়তের চিরন্তন ধারায় নবজীবন ও নবযুগের উদয় ঘটিয়ে চলেছেন। 

অস্তিত্বের কিছু মৌলিক বিষয় কেবল তাঁর মাধ্যমেই আমরা পেয়েছি যা অস্বীকার করার উপায় নেই। 
যেমন- কেবলাভূমিকে সৌদি আরব না বলে আল আরব বলা তিনিই শিখালেন এবং সৌদি গোত্রবাদী ওহাবি মুলুকিয়তের জবরদখলের মহাবিপর্যয়ের দিবসকে দ্বীন মিল্লাতের ইতিহাসে আঁধার দিবস ইয়াওমে জুলুমাত ডার্ক ডে ঘোষণা করে বাতিলের রুদ্ধতা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরি করে যাচ্ছেন একমাত্র তিনিই। 

ইরান শিয়াবাদের ঘোষিত ইসলামিক রিপাবলিক কে ইসলামের ছদ্মনামধারী বাতিল শিয়াবাদি মুলুকিয়ত ঘোষণা করে ইসলামের আসল রূপরেখা পূণরূদ্বারের লক্ষ্যে বিশ্বব্যাপী জনমত তৈরি করে যাচ্ছেন একমাত্র তিনিই। 

আশুরার নামে গতানুগতিকতার আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে আবদ্ধ দশ ই মহররম শাহাদাতে কারবালাকে একমাত্র তিনিই মুসলিম মিল্লাতের জাতীয় শহীদ দিবস ও মানবতার মুক্তির শাহাদত দিবস ঘোষণা করে শাহাদাতে কারবালার আমানত খেলাফত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে আবার প্রজ্জ্বলিত করে ধরেছেন, অস্তিত্বের উৎস প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শুভাগমনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে ঈদে আজম হিসেবে সত্য ও মানবতার মুক্তির মহাবিপ্লব হিসেবে তিনিই এ যুগে নিছক আনুষ্ঠানিকতার উর্ধে আসল লক্ষ্য তুলে ধরেছেন। 

এভাবে অস্তিত্বের আরো অনেক মৌলিক বিষয় রয়েছে যা আমরা কেবল তাঁর মাধ্যমেই পেয়েছি। 

পবিত্র কলেমার ভিত্তিতে আত্মা ও জীবনের রূপরেখা এবং কলেমার নির্দেশিত জীবনের রাষ্ট্রীয় ও বিশ্ব অধ্যায় যেমন ইমাম হায়াত তুলে ধরেছেন তেমনি তুলে ধরেছেন কলেমার বিপরীত ধারায় আত্মা ও জীবন এবং রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্থার ধ্বংসাত্মক মেকানিজম ও তা থেকে উদ্ধারের প্রমাণিত বাস্তব ব্যবস্থা।

ইমাম হায়াত বলেছেন ইসলামের ছদ্মনামধারী বাতিল ফেরকা সালাফি ওহাবি শিয়াবাদ ইত্যাদি যেমন ঈমানের বিপরীত তেমনি বস্তুবাদি মতবাদও ঈমানের বিপরীত , বস্তুবাদের গ্রাসে বিলুপ্ত জীবনের সংজ্ঞা ও বিলীন মানবসত্তা এ যুগে ইমাম হায়াত ই তুলে ধরেছেন এবং মানবসত্তাকে মুমিন সত্তায় উন্নীত হওয়ার সুস্পষ্ট দিশা দিয়েছেন।

তিনিই তুলে ধরেছেন খেলাফত কলেমার জীবনের রূপরেখা কলেমার চেতনার রাষ্ট্রীয় স্ট্রাকচার এবং খেলাফতের বিপরীতে মুলুকিয়ত কলেমার বিপরীত চেতনার কাঠামো, অতএব মুমিন এবং ন্যায় অন্যায়ে বিশ্বাসী মানবিক মানুষ হিসেবে নীতিগতভাবে সবাইকে খেলাফতের পক্ষে এবং মুলুকিয়তের বিপক্ষে থাকতে হবে।

প্রচলিত বিশ্ব রাজনীতিকে সত্য ও মানবতার বিপরীত হিসেবে ইমাম হায়াত প্রমাণিত করে শুধু তুলে ধরেন নি , সাথে সাথে দ্বীনী মূল্যবোধ ভিত্তিক অসামপ্রদায়িক সর্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও মুক্ত মানবতার অখন্ড বিশ্ব ব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াত বা authority of life and state and world of universal humanity in light of divine values তিনি তত্তগত ও কাঠামোগতভাবে সর্বাধুনিক ভাবে তুলে ধরেছেন সত্য ও মানবতার চিরন্তন উৎস শাণে রেসালাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অনন্ত রহমতময় আলোকধারায়। 

-আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিশার আলোকে...

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাহাবী একটি বৈশিষ্ট্য, সাহাবী একটি চরিত্র, সাহাবী একটি আদর্শ, সাহাবী মানে উৎসর্গ, সাহাবী মানে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত! লেখক- আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিশার আলোকে- আল্লামা মুফতি রেজাউল মোস্তফা কায়সার

প্রিয়নবীর সম্পর্কের চেয়ে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান অপরিহার্য্য অন্য কোন সম্পর্কই নয় -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা"

(দলিল) নবী রাসূল আলাইহিস সাল্লাম গন সহ আল্লাহর ওলী গন চিরন্তন জীবিত ।