আহমদ রেজা খানকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে নীচের কতগুলো বিষয়কে স্বীকৃতি দিতে হবে যা ঈমান পরিপন্থী।



আহমদ রেজা খানকে অন্ধভাবে বিশ্বাস করলে নীচের কতগুলো বিষয়কে স্বীকৃতি দিতে হবে যা ঈমান পরিপন্থী।

ক) তিনি #বাগী_মুয়াবিয়ার প্রসংশায় ৫টি কিতাব লিখেছেন। অথচ মুয়াবিয়া শুধুই বাগীই নয়, সুন্নাতেরও পরিবর্তনকারী। খিলাফতের উৎখাতকারী, মুলুকিয়তের প্রতিষ্ঠাতা।

১) ইমাম তাফতাজানী রহঃ তার #শরহে_মাকাসিদ এ লিখেনঃ আওয়ালু মান বাগীয়াহ ফিল ইসলামে মুয়াবিয়া- #মুয়াবিয়াই_প্রথম_ইসলামের_মধ্যে_বিদ্রোহ_করে

২) মুয়াবিয়া মাওলায়ে আলার সাথে শত্রুতার কারণে হজ্জের তালবিয়া বন্ধ করে দেয়।
এ প্রসঙ্গে #ইমাম_বায়হাকী রহঃ তার #বায়হাকী_সুনানে_কোবরা তে লিখেনঃ 
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহু বলেনঃ আল্লাহুমা লা'আনাহুম ফাকাদ তারাকা সুন্নাতা মিন বুগদে আলী- হে আল্লাহ, মাওলায়ে আলার সাথে শত্রুতার কারণে যারা হজ্জের তালবিয়া বন্ধ করে দেয়, তাদের উপর #লা'নত।

৩)  ইমাম শাফেয়ী রহঃ তার কিতাবুল ঊম এ লিখেনঃ মুয়াবিয়াই প্রথম ঈদের নামাজের খুতবার সময় পরিবর্তন করে নামাজের আগে নিয়ে আসল।

উদ্দেশ্য ছিল মাওলায়ে আলার প্রতি তাদের দেওয়া গালি যাতে উপস্থিত মুসুল্লিরা শুনতে বাধ্য হয়। 

৪) ইমাম আব্দুল ওয়াহাব শাআরানী রহঃ তার কিতাবুল মিজানে, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা নং-১৯২ তে লিখেনঃ মুয়াবিয়াই প্রথম ঈদের নামাজের আজান চালু করে।

৫) মসজিদের মিম্বরে মিম্বরে মাওলায়ে আলাকে গালি দেওয়ার রীতি চালু করল। মুয়াবিয়া অধ্যুষিত ৭০ হাজার মসজিদে ৫৮ বছর পর্যন্ত এই জঘন্য রীতি চালু ছিল।

৬) ইমাম আব্দুর রহমান জামী রহঃ তার শাওয়াহেদুন্নবুওয়াত, পৃষ্ঠা নং-৩০৩ এ লিখেনঃ
মুয়াবিয়ার প্ররোচনায়ই ইমামে আকবর সায়িদিনা ইমাম হাসান রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে হত্যা করা হয়।

৭) অসংখ্য মকবুল সাহাবায়ে কেরামের হত্যাকারী হল #বাগী_মুয়াবিয়া। 

তন্মধ্যে আম্মার ইবনে ইয়াসির রাদিআল্লাহু তাআ'লা অন্যতম।  যাকে কেন্দ্র করে অসংখ্য মুতাওয়াতির হাদীস শরীফে বর্ণিতঃ তাকতুলু আম্মার ফিয়াতুন বাগীয়াহ- একদল বিদ্রোহী আম্মার রাদিআল্লাহু তাআ'লা আনহুকে কতল করবে।  [বুখারী শরীফ]

আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহঃ তার উমদাতুল কারী শরহে বুখারীতে #আম্মার_ইয়াদউহুম_ইল্লাল্লাহ এর ব্যখ্যায় তিনি লিখেনঃ ইন্নামা ইয়াদউহুম ইলাল্লাহে মান কানা খারিজ আনিল ইসলাম- নিশ্চয়ই তিনি ঐ সমস্ত ব্যক্তিদেরকে আল্লাহর দিকে আহবান করেছেন যারা ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে গেছে।

এতে কি প্রমাণিত হয় না যে, মুয়াবিয়ার বিদ্রোহী বাহিনী খারেজী ছিল? অবশ্যই।

৮) ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহঃ
এর কিতাব মুসনাদে আহমদ থেকে প্রমাণিত যে আম্মার রাদিআল্লাহু কে হত্যা করার পর তার খন্ডিত মস্তক নিয়ে বিদ্রোহীরা মুয়াবিয়ার নিকট উপস্থাপন করে প্রত্যেকেই দাবী করল যে, সে নিজে হত্যা করেছে।
এতেই প্রমাণিত হল হত্যাকারীরা মুয়াবিয়ার অনুচর ছিল।

৯) হুজর বিন আদি রাদিআল্লাহু তাআ'লা ও তার ৬ জন সংগী কে হত্যা করল শুধুমাত্র মাওলায়ে আলা কে গালি দিতে অস্বীকার করার কারণে।

তারপরও কেউ যখন সেই মুয়াবিয়ার প্রসংশায় কিতাব লিখেন, তাকে শিয়ানে মুয়াবিয়া ছাড়া কিছুই বলার উপায় নেই। 

১০) আর শিয়ানে মুয়াবিয়াদের জন্য মাওলায়ে আলা নাম মেনশন করে বদদোয়া করেছেন।  মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা-৭১১৬ তার প্রমাণ।

খ) তিনি শাহাদাতে কারবালার প্রধান বেনেফিসিয়ারী #কাফির_এজিদ কে কাফির বলেও স্বীকৃতি দেন নাই।
বাপ বেটা দুই জনেই খালাস।

গ) তার প্রধান খলিফা #নইমউদ্দিন_মুরাদাবাদী লিখেছেনঃ ইমামে আকবর সায়িদিনা ইমাম হাসান রাদিআল্লাহু আনহু শতাধিক বিয়ে করেছেন। (নাউজুবিল্লাহ)

ঘ) তার নাতি #তওসিফ_রেজা খান লিখেছেনঃ মুয়াবিয়া কাফির এজিদকে ওয়াসিয়ত করেছেঃ সায়িদিনা ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহুর #কামালিয়ত পুর্ণ হলে এজিদ যেন ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেয়।
অর্থাৎ  সায়িদিনা ইমাম হুসাইন রাদিআল্লাহু থেকে কাফির এজিদ বেশী #কামালিয়ত পুর্ণ?
উগব) তার আরেক খলিফা আহমদ ইয়ার খান নইমী সাহেব  #মুয়াবিয়ার প্রসংশায়  #আমিরে_মুয়াবিয়া_পর_এক_নজর নামক কিতাব  লিখেছেন।

তারপরেও কি আমরা অন্ধভাবে আহমদ রেজা খানকে অনুসরণ করব? অবশ্যই না।
বরং #শিয়ানে_মুয়াবিয়ারাই তাকে অনুসরণ করে থাকে। মুয়াবিয়ার ব্যাপারে তার রেফারেন্স দিয়ে থাকে যা হাদীস শরীফের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক।

হ্যা, অনেকে বলতে পারেন তিনি সুন্দর সুন্দর নাত শরীফ লিখেছেন;  কিতাব লিখেছেন। তা সত্য।

তাহলে বলতে হবেঃ ৪০ বছর যাবত ইলিয়াস আত্তারীরা সপ্তাহের ৭ দিন, ২৪ ঘন্টা নাত পরিবেশন করতে করতে অবশেষে প্রমাণিত হল তারা #শিয়ানে_মুয়াবিয়া
ইয়া মুয়াবিয়া ইয়া মুয়াবিয়া জিকির করে। মুয়াবিয়ার তথা দুশমনে আহলি বায়িতের ওরশ করে।(অসমাপ্ত)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাহাবী একটি বৈশিষ্ট্য, সাহাবী একটি চরিত্র, সাহাবী একটি আদর্শ, সাহাবী মানে উৎসর্গ, সাহাবী মানে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত! লেখক- আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিশার আলোকে- আল্লামা মুফতি রেজাউল মোস্তফা কায়সার

প্রিয়নবীর সম্পর্কের চেয়ে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান অপরিহার্য্য অন্য কোন সম্পর্কই নয় -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা"

(দলিল) নবী রাসূল আলাইহিস সাল্লাম গন সহ আল্লাহর ওলী গন চিরন্তন জীবিত ।