Ticker

6/recent/ticker-posts

ঈমানের ইমামকে নিয়ে মারুফ উদ্দিন ভাইয়ের গুরুত্বপূর্ণ লেখনী টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন



সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা ঈমানের ইমাম। আমিত্বের অন্ধকারে হারিয়ে গেলে হক কথাও তিতা লাগবে, বক্র মনে হবে আর তা হচ্ছে বিধায় ঈমানের সহজ সূত্রও দুর্বোধ্যতে ঠেকছে। 

যিনি আরবী পড়ান, তিনি আরবীর শিক্ষক। 
যিনি গণিত পড়ান, তিনি গণিতের শিক্ষক। 
যিনি চিকিৎসা শাস্ত্র পড়ান, তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের শিক্ষক। 

[........অযথা, জ্ঞান দিচ্ছি এই ধরনের কুধারণা রেখে বাকি লেখা এড়িয়ে যাইয়েন না, পড়েন, বুঝেন, এরপর বোধগম্য না হলে প্রশ্ন করেন, বুঝিয়ে বলব........]

এখন আমরা যাঁর অসিলায় ঈমান পেলাম, ঈমানের পরিপূর্ণ দিশা পেলাম, ঈমানের চেতনা পেলাম, ঈমানের ব্যাখ্যা পেলাম, ঈমানের সাথে যুক্ত হলাম, ঈমানের বিপরীত সব বাতিল থেকে মুক্ত হলাম, ঈমানী চেতনা পেলাম, ঈমানী জাতীয়তাভিত্তিক অস্তিত্ব পেলাম, ঈমানের আলোকধারা পেলাম, ঈমানের সকল সূত্র ই পেলাম তাঁর পরিচয় কীভাবে দিব?

ঈমানের ইমাম, ঈমানের দিশারী, ঈমানের শিক্ষক, ঈমানের ধারক, ঈমানের বাহক, ঈমানের আলো, ঈমানের শক্তি আরো অনেকভাবেই সেই পরিচয় তুলে ধরা যায়৷ তবে ঈমানের ইমাম আরো ব্যাপক বিষয়, যে ইমামের এক্তেদায় থাকা দ্বীন ইসলামের আসল ধারায় থাকা বুঝায় এবং বিপরীতে মাইতাতাল জাহেলিয়াত বুঝায়।

এখন কেউ যদি ঈমানের ইমামের ঈমানী দিশা মর্মশিক্ষা চেতনা না বুঝে থাকে বা অন্তরে ফুটো নিয়ে ক্যালকুলেটিভ বুঝ নিয়ে থাকে সেটা তো তার ব্যক্তিগত সমস্যা। প্রাণের ইমাম সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা ঈমানের যে মর্মশিক্ষা দান করেছেন তা শতভাগ নির্ভুল বিশুদ্ধ। দুনিয়ায় মোফাচ্ছেরের কি কোন অভাব আছে? কোটি মোফাচ্ছের মিলেও তো বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম এর ব্যাখ্যায় জীবন কোন বস্তুর নামে নয় অর্থাৎ বস্তুবাদী জাতীয়তাবাদের নামে হতে পারে না, কেবলমাত্র দয়াময় স্রষ্টার নামে স্রষ্টার মহান রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের নাম মোবারকে হতে হবে এই ব্যাখ্যা তুলে ধরতে পেরেছিল? দলিল খুঁজনেওয়ালার দল দলিল দিয়ে দেখাও। 

কি আজিব ব্যাপার সারা দিনরাত কোরআন শরীফ গবেষণা করেও যে ব্যাখ্যা দাড়ি-টুপি পাঞ্জাবি বেশভূষার মোল্লা পীর দাবিদার কেউ তুলে ধরতে পারল না তা কোথা থেকে "ইমাম হায়াত" নামে একজন বলে দিচ্ছেন! ওলীর সন্তান ওলী হয়ে গেল নাকি! 

সরাসরি দাতা যেখানে প্রাণাধিক প্রিয়নবী রাহমাতাল্লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম সেখানে সরাসরি গ্রহীতা সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা এলেমের মহাসাগর হবেন সেটাই তো ধর্তব্য। প্রমাণ দিশায় মিলে, ঈমান গায়ে গতরের বিষয় না, ঈমান বিশ্বাসের বিষয়, বাহ্যিক চোখও ধোঁকা দেয়, কিন্তু ঈমানী দৃষ্টি ধোঁকা খায় না, তাই তো ইতিহাস সাক্ষী যাঁরাই ঈমান এনেছেন তাঁরা হৃদয়ে এনেছেন, চোখে মুখে কানে চুলে নয়। আর ঈমানের প্রতি বিশ্বাস আনার পর কেউ যদি মনে করে পরবর্তীতে এই বিশ্বাসের ব্যবচ্ছেদ করে হিসেব নিকেশ মিলিয়ে দেখবে আদৌ তা হক কিনা তবে সেটা কোনকালেই বিশ্বাস হিসেবে সাব্যস্ত হবে না, বরং নিজের মধ্যকার দুর্বলতা অন্ধত্ব হিসেবেই ধরা দিবে, আল্টিমেটলি দিয়েছেও।

ওলীর সন্তান ওলী হিসেবে নয়, বরং ওলীর দোয়া সাধনায় প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের কবুলিয়ত মনোনয়নে হকের ইমাম সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা'র আবির্ভাব। 

কেউ যদি মনে করে দয়াময় আল্লাহতা'আলা প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় অপাত্রে করে হক দান করে থাকেন তবে সে নাস্তিকতার বিষে আক্রান্ত হবে। কারণ ওয়াবতাগু ইলাইহিল অসিলা দিয়ে, ওয়াতাছিমু বিহাবলিল্লাহি জামিয়াও দিয়ে, আন আমতা আলাইহিম দিয়ে, উলিল আমরে মিনকুম দিয়ে দয়াময় আল্লাহতা'আলা প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম দুনিয়ায় হক পুনরুজ্জীবিত করার অসিলাগনকে চিনিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ তাঁদের অনুসরণ এত্তেবা ব্যতীত কারো ঈমানী অস্তিত্ব ই হবে না। 

এইজন্যই বলা হয়ে থাকে হকের ইমামের অনুসরণ ব্যতীত মৃত্যু জাহেলিয়াতের মৃত্যু। হকের ইমাম কোন মানুষের ঘোষণায় বা ব্যক্তির নিজের সাধনায় হয় না। এটা এমন না যে কারো মন চাইল আর সে ইমামের মাকামে পৌঁছার জন্য রওনা হয়ে গেল। এটা তা নয়। 

মহান গাওসে পাক মহান খাজাবাবা এবং জামে আওলিয়াকেরাম রাহমাতাল্লাহি আলাইহিম এর রেফারেন্স দিয়ে ইসলামকে কলঙ্কিত করছে এমন লোকের অভাব নাই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে এখানে গাওসিয়া কমিটি নামে একটা গ্রুপ আছে যাদেরকে এখানকার সবাই মহান গাওসে পাকের আদর্শের দল মনে করে। বাস্তবতা হল এরা মহান গাওসে পাকের নামে ধোকা দিচ্ছে এবং সরলমনা মানুষ এদেরকে গাওসে পাকের আশেক মনে করে সেখানে যুক্ত হচ্ছে। 

একইভাবে মহান খাজা বাবার দরবারে তো প্রতারণার মহাযজ্ঞ দেখা যাচ্ছে। খাজা বাবার ইন্ডিয়াকে ধ্বংস করে আবার খাজা বাবার প্রতিনিধি সেজে বসে আছে।

আশ্চর্য ব্যাপার এতকিছুর পরেও মহান গাওসে পাক মহান খাজা বাবা রাহমাতাল্লাহি আলাইহিম রুহানী শক্তির বলে উনাদের নামে চলমান ধোকাবাজি প্রতারণা এসব কেন থামিয়ে দিচ্ছেন না! উনাদের দরবারে গিয়ে অনেকে মান্নত যদি পূরণ হয় তবে তো এই ধোকাবাজি ধ্বংস হোক ঈমানদারের এই মান্নতও কবুল হওয়ার কথা!

জ্বী সেই মান্নতও কবুল হয়েছে। হকের ইমামের মধ্যেই মহান গাওসে পাক মহান খাজা বাবা জামে আওলিয়াকেরাম রাহমাতাল্লাহি আলাইহিম এর দিশা শিক্ষা নিহিত। তিনিই এই যুগে উনাদের অথোরিটি। কারণ আহলে সুন্নাত হল আল জামাত, এটি চিরন্তন অবিচ্ছিন্ন ধারা। হকের ইমাম সেই অথোরিটি নিয়ে আছেন বিধায় তিনি ঈমানী দিশায় যা তুলে ধরেছেন তা যুগে যুগে কালে কালে হকের সকল ধারকবৃন্দের প্রতিধ্বনি, এর বাইরে গেলে উনাদের নামে ধোকা প্রতারণা পাওয়া যাবে। অতএব সাবধান।

পরিশেষে বলব, আকিদার ভিত্তি নড়ে গেলে বাকি সবকিছুতেই নানান বিভ্রান্তি হবে। দয়াময় আল্লাহতা'আলা বান্দাকে সূরা বাকারায় জিজ্ঞেস করেন, কিসে বান্দাকে দয়াময় আল্লাহতা'আলা থেকে দূরে রাখে, তা কি পারবে তাকে বাঁচাতে? ইবলিশ লক্ষ লক্ষ বছর আল্লাহ আল্লাহ জিকির করেও আল্লাহকে পায় নাই। ব্যাটা কত বড় জাহেল যে বুঝতেই পারছিল না সে আসলে আল্লাহকে নয় বরং নিজ নফসের পূজা করে আসছিল এতকাল! 

সবাইকে দয়াময় আল্লাহতা'আলা প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম হকের ইমামের এক্তেদায় থাকার ঈমানী বুঝ শক্তি দান করুক। আমীন।

____________
- মারুফ উদ্দিন
ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ