পৃথিবীর কোন কোচিং সেন্টার-স্কুল-কলেজ -মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ে বোন শিক্ষার্থী নাই?
পড়ালেখা করলে/স্কুল-কলেজের সিঁড়িতে পা রাখলে তো অন্তত অতটুকুন জানার কথা! অন্য গ্রহের প্রাণীদের কমেন্ট পড়ে রীতিমতো অবাক হই। আর যদি স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়ে কখনো কেউ না গিয়ে থাকেন, তো নিজের প্রতি দয়া করে ঘুরে আইসেন, জানার পরিধি বাড়বে।
মা ছাড়া জন্ম হয়েছেন?
মা-বোন ছাড়া পরিবার হয়?
শিক্ষিকা- ডাক্তার-ইন্ঞ্জিনিয়ার- বিমানবালা- এমপি- মন্ত্রী -প্রধানমন্ত্রীসহ কোন পেশায় মা-বোনরা নাই?
প্রাণপ্রিয় মদিনাতু়ল মুনাওয়ারা, প্রাণপ্রিয় মক্কাতুল মুকাররমা, আল আকসা, কোথায় মা-বোনরা নাই?
বদর-ওহোদ-সিফফিন-কারবালা কোথায় মা-বোনরা ছিলো না?
বাজার-বন্দর, স্কুল-কলেজ, রেস্টুরেন্ট, রাষ্ট্রের বিভিন্ন কর্মস্থান, বিভিন্ন দপ্তর কোথায় মা-বোন নাই?
বিশ্বের কোন দেশে মা-বোন নাই?
বিশ্ববিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কি বোন নাই?
আল্লাহ শুধু পুরুষদের জন্য?
প্রাণাধিক প্রিয়নবী শুধু পুরুষদের জন্য?
সকল নবী-রাসূল আলাইহিমুস সালাম, আহলে বায়েত আলাইহিমুস সালাম, খোলাফায়ে রাশেদীন, মকবুল সাহাবায়ে কেরাম, হকের ইমামগন, অলীগন কি শুধু পুরুষদের হেদায়েতের জন্য আসছেন?
ঈমান- কোরআন- সালাত- সিয়াম - হজ্ব -আমল এবাদত এসব কি শুধু পুরুষদের জন্য?
দেশ ও মানবতার কোন কাজে মা-বোনদের অবদান নাই?
কবর-হাশর-নশর-ফুলসিরাত-জান্নাত কি শুধু ভাইদের জন্য?
সব জায়গায় মা-বোনরা ছিলেন আছেন থাকবেন।
মা-বোনদেরকে ঈমান-ইসলাম থেকে যারা আলাদা করে দেখে তারা আসল ইসলাম পায়নি। ইসলাম ভাই-বোন, আকিদা-আধ্যাত্মিক-রাজনৈতিক সবদিকে পূর্ণাঙ্গ।
যুগের পর যুগ বোনদেরকে ইসলাম থেকে আলাদা করে যারা ইসলামকে পুং লিমিটেড কোম্পানী বানিয়ে রেখে, দ্বীন মিল্লাত মানবতার সীমাহীন ক্ষতি করেছে, তারা ইসলামের শত্রু। এই আধাঁর থেকে আসল ইসলামকে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ও বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের মাধ্যমে পূনরুজ্জীবিত করেছেন-
সৈয়্যদ আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা।
কোচিংয়ে শুধু পুঁথিগত বিদ্যা পড়ানো হয়।
আল্লামা ইমাম হায়াতের সৈনিক শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি প্রাণাধিক প্রিয়নবীর হওয়ার শিক্ষা- ইসলামের আকিদা-আত্মিক আধ্যাত্মিক-রাজনৈতিক শিক্ষা, খেলাফতের শিক্ষা, জীবনের শিক্ষা, মানবিক মানুষ হওয়ার শিক্ষা - মানবতার রাষ্ট্র ও মানবতার দুনিয়া গড়ার শিক্ষা দিচ্ছে। এতে কোন মানবিক মানুষ ও ঈমানদার তো অখুশি হওয়ার কথা নয়! বরং ওসব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের প্রশংসা করা উচিৎ।
তারা দুনিয়ার লাখো কোটি শিক্ষকের সেসব বিরল শিক্ষক - যারা ঈমান -দ্বীন -খেলাফত -ইনসানিয়াত শিক্ষা দেয়।
তারা দুনিয়ার শত কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে সেসব বিরল শিক্ষার্থী - যারা কলেজের টিফিনের টাকা থেকে ৫/১০/২০ টাকা সেইভ করে, পড়ালেখার খরচ থেকে সেইভ করে অথবা সাংসারিক খরচ থেকে কিছু সেইভ করে- দ্বীন মিল্লাত মানবতার রক্ষার জন্য প্রোগ্রাম করছে।
সর্বোপরী/
ভিন্ন গ্রহের প্রানীদের বলছি-
প্রাণাধিক প্রিয়নবীর আশেক শিক্ষার্থীদের বদনাম নয়, প্রশংসা করুন। প্রশংসা করতে কষ্ট হলে দয়া করে চুপ থাকুন। ওদেরকে দ্বীন -মিল্লাত -খেলাফত ও মানবতার কাজ করতে দিন।
ঈমানী ভাই-বোনদের বলছি-
সর্ব বাতিলের ফতোওয়াকে জুতার নিচে দিয়ে ঈমানিয়াত ইনসানিয়াত ও খেলাফত কায়েমের লক্ষ্যে প্রানপনে কাজ করতে হবে।
ধন্যবাদ।
রায়হান চৌধুরী সোহাগ

0 মন্তব্যসমূহ
Thanks For You Comment