শতাব্দীর সংস্কারক তথা যুগের ইমামের আগমন যখন ঘটে তখন চারিদিকে আওয়াজ উঠা শুরু হয়।
শতাব্দীর সংস্কারক তথা যুগের ইমামের আগমন যখন ঘটে তখন চারিদিকে আওয়াজ উঠা শুরু হয়।
সেটা দুই দিক থেকে;
একদিকে হকের ইমামতের গোলামিয়ত্বের ধারার আওয়াজ, অপরদিকে বাতেলের গোলামিয়ত্বের ধারার আওয়াজ। দ্বীনের নামে যখন গাইরে দ্বীন তথা বাতিল মতবাদ ইসলাম নামে কায়েম হয় অথবা দ্বীন বিকৃত হয়ে যায়, হকের নামে বাতেলের সাথে একাকার জোটবদ্ধ হয়, মিল্লাত মানবতা পরাধীন হয়ে যায়, মানুষ আঁলো আঁধার পার্থক্য করতে পারেনা, হককে বাতেল এবং বাতেলকে হক বলে চালিয়ে দেয়া হয়, মানুষ পথ হারা দিশাহীন হয়, সমাজ কুফরিয়তের বিষে ছেয়ে যায় তখন আল্লাহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরর পক্ষ থেকে দ্বীনকে রক্ষা ও সমুন্নত রাখার জন্য, সময়ের হক বাতেল চিনিয়ে দেয়ার জন্য, মিল্লাত মানবতাকে উদ্ধার মুক্তির দিশা দেয়ার জন্য যুগের ইমামের আগমন হয়। এক কথায় প্রচলিত সমাজ কাঠামোর বিপরীতে ইমামতের আগমন। তাই ইমামতের আগমনে দুই ধারা পৃথক হওয়া শুরু হয়; হকের ধারা এবং বিপরীত বাতেলের দ্বারা।
ইমামত প্রচলিত প্রতিকূল কাঠামোর বিপরীতে আসায় এবং সেই কাঠামোর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ায় শুরুতে অনেকের বুঝার অক্ষমতা ও হীন ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে চরম বিরোধিতার স্বীকার হন এবং এই বিরোধীতা সর্বপ্রথম যাদের থেকে আসে তাহলো মোল্লাতন্ত্রের অনুসারী ও তাদের দাস দোসরদের থেকে। কিন্তু ইমামতের দিশা এতটাই নির্ভুল ও যথার্থ যে ইমামতের দিশার উপর কেউ কলম ধরা বা ইমামতের দিশার বিপরীত কিছু দাঁড় করানোর কোন সুযোগ নেই। অতএব হকের মুখোশে যারা থাকে তারাও বাতেল সেই ধাক্কাতে প্রমাণ হয়ে যায়।
যেহেতু ইমামত আসলে হক বাতেল পৃথক হওয়া শুরু করে তখন প্রতারক ধান্ধাবাজ কাজ্জ্বাব ব্যবসায়ী বনিক শ্রেণীর শুরুর দিকে প্রবল ফতোয়া এবং বাঁধা বিপত্তিও তৈরি হয় এবং এইসব বাঁধা বিপত্তিকে ঠেলেই ইমামত তাঁর দিশা বাস্তবায়ন করেন এবং বাতেল উৎখাত করে হকের দ্বারাকে সমুন্নত করেন। এজন্য ইমামতের আনুগত্য করা এবং ইমামতের নেতৃত্বে যত বাঁধা আসুক যেকোন পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য হাদিছ শরীফে অনেক জায়গায় বিশেষ তাকিদ ঘোষণা এসেছে।
বর্তমানে আমরা সেই কঠিন সময় পারছি যখন সুন্নীয়তের সংজ্ঞা ও রুপরেখা বিলুপ্ত, সুন্নীয়ত দিশা হারা, সুন্নীয়তের রাজনৈতিক রুপরেখা কল্পনাতীত বিলুপ্ত, মিল্লাত মানবতা দিক দিশাহীন পরাজিত অপমানিত ও লাঞ্চিত, সত্য ও মানবতার উপর বাতেল জালিম পাশবিক স্বৈরদস্যুতন্ত্রের চতুর্মুখী দানবীয় তান্ডব চলছে। হকের নামে বাতেলের সাথে একাকার জোট করা হচ্ছে, প্রতারক ব্যবসায়ী ধান্ধাবাজরা সুন্নীয়তের রাহবার সেজে বসে আছে।
এরকম এক কঠিন সময়ে যুগের ইমাম হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার আগমনে হকের সেই বিশুদ্ধ পূর্ণাঙ্গ রুপরেখার প্রকাশ ঘটেছে। এতে করে হক বাতেল সুস্পষ্ট হওয়া শুরু করায় হকের ধারার উদয় যেভাবে হচ্ছে তেমনি বাতেল ধারাও সুস্পষ্ট হওয়াতে হকের মুখোশধারীও বাতেলরা চিহ্নিত হচ্ছে এবং সেই আওয়াজ পুনরায় উদিত হচ্ছে, সেই ফতোয়াবাজি, সেই মিথ্যাচার হকের ইমামতকে রুখার। কিন্তু তারা জানেনা যে হকের ইমামতের উদয় নাম দিয়ে বা দাবি করে হয়না বাস্তব দিশা কর্মসূচির মাধ্যমে হয়। আল্লামা ইমাম হায়াতের প্রকাশ দিশা দিয়ে যা নির্ভুল, অকাট্য ও সময়ের জন্য একেবারে যথার্থ। এজন্য শত হাজার বিরোধিতা মিথ্যাচার কূটকৌশল করেও কোন লাভ নেই। ইমামতের দিশার সামনে তা ধূলাবালির মত উড়ে যায়।
আমরা দেখছি হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার নির্ভুল ও যথার্থ দিশার মোকাবেলা করার কোন সক্ষমতা নেই দেখে হকের মুখোশধারী বাতেলরা অবৈধ ফতোয়াবাজি ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে এবং মিথ্যাচার করে নিজেরা সর্বত্রই লাঞ্চিত ও অপমানিত হচ্ছে। আমরা দেখছি ইমামতের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত সত্য সন্ধানী ও সত্য ন্যায় জ্ঞান বিবেক কল্যাণে বিশ্বাসীরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আমরা দেখছি ইমাম হায়াতের সেই সব কর্মসূচি ও দিশা যা মিল্লাত ও মানবতাকে উদ্ধারের ও মুক্তির পথ দেখাচ্ছে।
যেমনঃ ইহুদি দাস সৌদি ওহাবীবাদী স্বৈরদস্যুতন্ত্রের কলব থেকে প্রাণের কেবলাভূমি উদ্ধারের মহাকর্মসূচি আঁধার দিবসের কর্মসূচি, মিল্লাত মানবতাকে বিভক্ত ও পরষ্পর হিংসা-বিদ্বেষ, যুদ্ধ সংঘাত সৃষ্টকারী বস্তুবাদী উগ্র জাতীয়াবাদ উৎখাত করে মানবিক ভাতৃত্ব ও ঈমানী জাতীয়তা ফিরিয়ে দিয়ে সেই ভিত্তিতে বিভক্ত ও বিদ্বেষে ভরা মিল্লাত ও মানবতাকে এক দেহ এক আত্মায় আনার দিশা দিচ্ছেন হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা।
আমরা আরো দেখছি সমস্ত আউলিয়াকেরামের জীবন সাধনার লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি তা জানা বুঝার জন্য শানে গাউছে পাক, শানে খাজা বাবা ও জামে আউলিয়াকেরাম রাহমাতুল্লাহ আলাইহিম সম্মেলনের মত যুগান্তকারী কর্মসূচি যেখানে আউলিয়াকেরামের ত্যাগ সাধনার মিশন যে কেবলমাত্র মানুষকে মিথ্যা বস্তুবাদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করে তাওহীদ ভিত্তিক রেসালাতকেন্দ্রিক করা তার সুস্পষ্ট দিশা।
আমরা আরো দেখছি প্রাণাধিক প্রিয়নবীর শুভাগনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি, কেন কি জন্য কি উৎখাত কি কায়েমের জন্য, এটা যে নিছক অনুষ্ঠান বা একদিনের বিষয় নয় প্রতিটি সেকেন্ডে প্রতিটি মুহুর্তের তা তুলে ধরার জন্য ১২ই রবিউল আউয়াল তথা আল্লাহতায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত ও নেয়ামতের সর্বোচ্চ শোকরিয়া হিসেবে প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চির মহান শুভাগমের উপলক্ষকে জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হিসেবে ঈদে আজম ঘোষণার মত মহান কর্মসূচি।
এছাড়া আরো দেখতে পাচ্ছি, শানে রেসালাতের সাথে দয়াময় আল্লাহতায়ালার মহা সাক্ষাৎ তথা দীদারে ইলাহী কেন কি জন্য তা জানানো ও বুঝানোর জন্য মহান ঈদে মেরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা, ১০ই মহররম শাহাদাতে কারবালার ত্যাগ লক্ষ্য উদ্দেশ্য শিক্ষা চেতনা আমানত কি, কিসের পক্ষে কিসের বিপক্ষে, কি উৎখাত ও কি ধরে রাখা ও সমুন্নত করার জন্য এই মহা ত্যাগ, মহা শাহাদাত তার জন্য ১০ই মহররমকে মুসলিম মিল্লাত ও সমগ্র মানবতার জন্য মহান জাতীয় শহীদ দিবস ঘোষণার মত কর্মসূচি, কলেমার পূর্ণাঙ্গ বাস্তব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিলুপ্ত রাজনৈতিক রুপরেখা যা সকল সৃষ্টির কল্যাণ ও সর্বমিথ্যার বেড়াজাল থেকে মিল্লাত মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ খেলাফতে ইনসানিয়াতসহ হাজার হাজার দিশা ও কর্মসূচি যা হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন এবং সন্দেহাতীতভাবে তা নির্ভুল অকাট্য এবং যুগের প্রেক্ষাপটে যার কোন বিকল্প নেই, প্রকৃতপক্ষে যা যুগের মুজাদ্দিদ মুজতাহিদ ছাড়া আর কারো পক্ষেই দেয়া সম্ভব না।
এছাড়া নিকট অতীতে যত ভুল ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে মিল্লাত বিপর্যস্ত হয়েছে সে সব ভুলের সংশোধন ও যথাযথ সমাধান দেয়া হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার ইমামতের আরো উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য প্রমাণ করে। সুতরাং বুঝাজায় ইমামত নিছক নাম কিম্বা উপাধি ইত্যাদি দাবি করার মত কোন বিষয় নয় বরং বাস্তব দিশা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকাশিত হবার বিষয়। তাই অনেকে যারা কাজ্জ্বাব প্রতারক ধান্ধাবাজদের খপ্পরে পড়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাদের জানিয়ে দিতে চাই হকের ইমামতের আগমনে হকের বিজয় এবং বাতেলের পতন আসন্ন। অতএব দৃষ্টি খুলুন, চিন্তা করুন মিথ্যাচারে কান না দিয়ে জানুন বুঝুন উপলব্ধি করুন এবং ঐক্যবদ্ধ হউন মিল্লাত মানবতার মুক্তির মহাকর্মসূচিতে।
লেখক: মোকারম হোসেন
সেটা দুই দিক থেকে;
একদিকে হকের ইমামতের গোলামিয়ত্বের ধারার আওয়াজ, অপরদিকে বাতেলের গোলামিয়ত্বের ধারার আওয়াজ। দ্বীনের নামে যখন গাইরে দ্বীন তথা বাতিল মতবাদ ইসলাম নামে কায়েম হয় অথবা দ্বীন বিকৃত হয়ে যায়, হকের নামে বাতেলের সাথে একাকার জোটবদ্ধ হয়, মিল্লাত মানবতা পরাধীন হয়ে যায়, মানুষ আঁলো আঁধার পার্থক্য করতে পারেনা, হককে বাতেল এবং বাতেলকে হক বলে চালিয়ে দেয়া হয়, মানুষ পথ হারা দিশাহীন হয়, সমাজ কুফরিয়তের বিষে ছেয়ে যায় তখন আল্লাহ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামেরর পক্ষ থেকে দ্বীনকে রক্ষা ও সমুন্নত রাখার জন্য, সময়ের হক বাতেল চিনিয়ে দেয়ার জন্য, মিল্লাত মানবতাকে উদ্ধার মুক্তির দিশা দেয়ার জন্য যুগের ইমামের আগমন হয়। এক কথায় প্রচলিত সমাজ কাঠামোর বিপরীতে ইমামতের আগমন। তাই ইমামতের আগমনে দুই ধারা পৃথক হওয়া শুরু হয়; হকের ধারা এবং বিপরীত বাতেলের দ্বারা।
ইমামত প্রচলিত প্রতিকূল কাঠামোর বিপরীতে আসায় এবং সেই কাঠামোর বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ায় শুরুতে অনেকের বুঝার অক্ষমতা ও হীন ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে চরম বিরোধিতার স্বীকার হন এবং এই বিরোধীতা সর্বপ্রথম যাদের থেকে আসে তাহলো মোল্লাতন্ত্রের অনুসারী ও তাদের দাস দোসরদের থেকে। কিন্তু ইমামতের দিশা এতটাই নির্ভুল ও যথার্থ যে ইমামতের দিশার উপর কেউ কলম ধরা বা ইমামতের দিশার বিপরীত কিছু দাঁড় করানোর কোন সুযোগ নেই। অতএব হকের মুখোশে যারা থাকে তারাও বাতেল সেই ধাক্কাতে প্রমাণ হয়ে যায়।
যেহেতু ইমামত আসলে হক বাতেল পৃথক হওয়া শুরু করে তখন প্রতারক ধান্ধাবাজ কাজ্জ্বাব ব্যবসায়ী বনিক শ্রেণীর শুরুর দিকে প্রবল ফতোয়া এবং বাঁধা বিপত্তিও তৈরি হয় এবং এইসব বাঁধা বিপত্তিকে ঠেলেই ইমামত তাঁর দিশা বাস্তবায়ন করেন এবং বাতেল উৎখাত করে হকের দ্বারাকে সমুন্নত করেন। এজন্য ইমামতের আনুগত্য করা এবং ইমামতের নেতৃত্বে যত বাঁধা আসুক যেকোন পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য হাদিছ শরীফে অনেক জায়গায় বিশেষ তাকিদ ঘোষণা এসেছে।
বর্তমানে আমরা সেই কঠিন সময় পারছি যখন সুন্নীয়তের সংজ্ঞা ও রুপরেখা বিলুপ্ত, সুন্নীয়ত দিশা হারা, সুন্নীয়তের রাজনৈতিক রুপরেখা কল্পনাতীত বিলুপ্ত, মিল্লাত মানবতা দিক দিশাহীন পরাজিত অপমানিত ও লাঞ্চিত, সত্য ও মানবতার উপর বাতেল জালিম পাশবিক স্বৈরদস্যুতন্ত্রের চতুর্মুখী দানবীয় তান্ডব চলছে। হকের নামে বাতেলের সাথে একাকার জোট করা হচ্ছে, প্রতারক ব্যবসায়ী ধান্ধাবাজরা সুন্নীয়তের রাহবার সেজে বসে আছে।
এরকম এক কঠিন সময়ে যুগের ইমাম হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার আগমনে হকের সেই বিশুদ্ধ পূর্ণাঙ্গ রুপরেখার প্রকাশ ঘটেছে। এতে করে হক বাতেল সুস্পষ্ট হওয়া শুরু করায় হকের ধারার উদয় যেভাবে হচ্ছে তেমনি বাতেল ধারাও সুস্পষ্ট হওয়াতে হকের মুখোশধারীও বাতেলরা চিহ্নিত হচ্ছে এবং সেই আওয়াজ পুনরায় উদিত হচ্ছে, সেই ফতোয়াবাজি, সেই মিথ্যাচার হকের ইমামতকে রুখার। কিন্তু তারা জানেনা যে হকের ইমামতের উদয় নাম দিয়ে বা দাবি করে হয়না বাস্তব দিশা কর্মসূচির মাধ্যমে হয়। আল্লামা ইমাম হায়াতের প্রকাশ দিশা দিয়ে যা নির্ভুল, অকাট্য ও সময়ের জন্য একেবারে যথার্থ। এজন্য শত হাজার বিরোধিতা মিথ্যাচার কূটকৌশল করেও কোন লাভ নেই। ইমামতের দিশার সামনে তা ধূলাবালির মত উড়ে যায়।
আমরা দেখছি হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার নির্ভুল ও যথার্থ দিশার মোকাবেলা করার কোন সক্ষমতা নেই দেখে হকের মুখোশধারী বাতেলরা অবৈধ ফতোয়াবাজি ও মিথ্যাচারের আশ্রয় নিয়েছে এবং মিথ্যাচার করে নিজেরা সর্বত্রই লাঞ্চিত ও অপমানিত হচ্ছে। আমরা দেখছি ইমামতের নেতৃত্বে প্রতিনিয়ত সত্য সন্ধানী ও সত্য ন্যায় জ্ঞান বিবেক কল্যাণে বিশ্বাসীরা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আমরা দেখছি ইমাম হায়াতের সেই সব কর্মসূচি ও দিশা যা মিল্লাত ও মানবতাকে উদ্ধারের ও মুক্তির পথ দেখাচ্ছে।
যেমনঃ ইহুদি দাস সৌদি ওহাবীবাদী স্বৈরদস্যুতন্ত্রের কলব থেকে প্রাণের কেবলাভূমি উদ্ধারের মহাকর্মসূচি আঁধার দিবসের কর্মসূচি, মিল্লাত মানবতাকে বিভক্ত ও পরষ্পর হিংসা-বিদ্বেষ, যুদ্ধ সংঘাত সৃষ্টকারী বস্তুবাদী উগ্র জাতীয়াবাদ উৎখাত করে মানবিক ভাতৃত্ব ও ঈমানী জাতীয়তা ফিরিয়ে দিয়ে সেই ভিত্তিতে বিভক্ত ও বিদ্বেষে ভরা মিল্লাত ও মানবতাকে এক দেহ এক আত্মায় আনার দিশা দিচ্ছেন হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা।
আমরা আরো দেখছি সমস্ত আউলিয়াকেরামের জীবন সাধনার লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি তা জানা বুঝার জন্য শানে গাউছে পাক, শানে খাজা বাবা ও জামে আউলিয়াকেরাম রাহমাতুল্লাহ আলাইহিম সম্মেলনের মত যুগান্তকারী কর্মসূচি যেখানে আউলিয়াকেরামের ত্যাগ সাধনার মিশন যে কেবলমাত্র মানুষকে মিথ্যা বস্তুবাদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করে তাওহীদ ভিত্তিক রেসালাতকেন্দ্রিক করা তার সুস্পষ্ট দিশা।
আমরা আরো দেখছি প্রাণাধিক প্রিয়নবীর শুভাগনের লক্ষ্য উদ্দেশ্য কি, কেন কি জন্য কি উৎখাত কি কায়েমের জন্য, এটা যে নিছক অনুষ্ঠান বা একদিনের বিষয় নয় প্রতিটি সেকেন্ডে প্রতিটি মুহুর্তের তা তুলে ধরার জন্য ১২ই রবিউল আউয়াল তথা আল্লাহতায়ালার সর্বশ্রেষ্ঠ রহমত ও নেয়ামতের সর্বোচ্চ শোকরিয়া হিসেবে প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চির মহান শুভাগমের উপলক্ষকে জীবনের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি হিসেবে ঈদে আজম ঘোষণার মত মহান কর্মসূচি।
এছাড়া আরো দেখতে পাচ্ছি, শানে রেসালাতের সাথে দয়াময় আল্লাহতায়ালার মহা সাক্ষাৎ তথা দীদারে ইলাহী কেন কি জন্য তা জানানো ও বুঝানোর জন্য মহান ঈদে মেরাজুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঘোষণা, ১০ই মহররম শাহাদাতে কারবালার ত্যাগ লক্ষ্য উদ্দেশ্য শিক্ষা চেতনা আমানত কি, কিসের পক্ষে কিসের বিপক্ষে, কি উৎখাত ও কি ধরে রাখা ও সমুন্নত করার জন্য এই মহা ত্যাগ, মহা শাহাদাত তার জন্য ১০ই মহররমকে মুসলিম মিল্লাত ও সমগ্র মানবতার জন্য মহান জাতীয় শহীদ দিবস ঘোষণার মত কর্মসূচি, কলেমার পূর্ণাঙ্গ বাস্তব ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিলুপ্ত রাজনৈতিক রুপরেখা যা সকল সৃষ্টির কল্যাণ ও সর্বমিথ্যার বেড়াজাল থেকে মিল্লাত মানবতার মুক্তির একমাত্র পথ খেলাফতে ইনসানিয়াতসহ হাজার হাজার দিশা ও কর্মসূচি যা হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত প্রতিনিয়ত দিয়ে যাচ্ছেন এবং সন্দেহাতীতভাবে তা নির্ভুল অকাট্য এবং যুগের প্রেক্ষাপটে যার কোন বিকল্প নেই, প্রকৃতপক্ষে যা যুগের মুজাদ্দিদ মুজতাহিদ ছাড়া আর কারো পক্ষেই দেয়া সম্ভব না।
এছাড়া নিকট অতীতে যত ভুল ও আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে মিল্লাত বিপর্যস্ত হয়েছে সে সব ভুলের সংশোধন ও যথাযথ সমাধান দেয়া হযরত আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমার ইমামতের আরো উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য প্রমাণ করে। সুতরাং বুঝাজায় ইমামত নিছক নাম কিম্বা উপাধি ইত্যাদি দাবি করার মত কোন বিষয় নয় বরং বাস্তব দিশা কর্মসূচির মাধ্যমে প্রকাশিত হবার বিষয়। তাই অনেকে যারা কাজ্জ্বাব প্রতারক ধান্ধাবাজদের খপ্পরে পড়ে বিভ্রান্ত হচ্ছেন তাদের জানিয়ে দিতে চাই হকের ইমামতের আগমনে হকের বিজয় এবং বাতেলের পতন আসন্ন। অতএব দৃষ্টি খুলুন, চিন্তা করুন মিথ্যাচারে কান না দিয়ে জানুন বুঝুন উপলব্ধি করুন এবং ঐক্যবদ্ধ হউন মিল্লাত মানবতার মুক্তির মহাকর্মসূচিতে।
লেখক: মোকারম হোসেন
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For You Comment