আঁধার মূর্খতার ধারা নারী দিবস প্রসঙ্গে - বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব এর দৃষ্টি।


আঁধার_মূর্খতার_ধারা_নারী_দিবস_প্রসঙ্গে
- বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব
(World humanity revolution)
===============================

নারী বা পুরুষ এসব লিংগবাদি বস্তুবাদি পরিচয় কোনো মানুষের আসল পরিচয় মনে করা  মানুষ হিসেবে জীবনের পূর্ণাঙ্গতা অস্বীকার করা।

  লিংগবাদি বস্তুবাদি ভাবধারায় নারী বা পুরুষ এসব পরিচয়কে তথা কোনো বস্তু বা লিংগ ইত্যাদিকে   অস্তিত্বের মূল মনে করা জীবনের সত্য অস্বীকার করে বস্তুবাদি মিথ্যার আঁধারে নিমজ্জিত হয়ে আত্মিক মৃত্যু বরন করা।

মানব জীবন স্বীকার করলে জীবনের পূর্ণাঙ্গ উপলব্ধি করতে হবে এবং জীবনের অনেক দিক ও পূর্ণাঙ্গতা অস্বীকার করে কেবল কোন একটি দিককেই মূল মনে করে সে ভিত্তিতেই আত্মপরিচয় জীবন ধ্বংসাত্মক ।

জীবনের সত্য ভুলে ও জীবনের পূর্ণাঙ্গতা এবং বস্তুর উর্ধে মানবসত্তা ভূলে নিজেকে বস্তুবাদি মিথ্যা ও মূর্খতার আঁধার চেতনায় কেবল নারী বা কেবল পুরূষ বা কোনো প্রকার বস্তুবাদি জাতীয়তাবাদি মনে করা জীবনের সত্য ও জীবনের স্রষ্টার সম্পর্ক অস্বীকার করা, কারণ জীবন কোনো বস্তুর ভিত্তিতে নয়, জীবন কেবল জীবনের দয়াময় স্রষ্টার নামে ও স্রষ্টার প্রত্যক্ষ আলো মহান রেসালাতের আলোকধারায় চলবে ।

 কোনো বস্তুর দাসত্ব বা লিংগের দাসত্ব মানবাত্মা আঁধারে নিমজ্জিত করে জীবনের গতিধারা রুদ্ধ করে দেয় ।কোনো  বস্তুর দাস বা লিংগের দাস তথা কোনো  বস্তুবাদি মানুষ নয়, মানবসত্তা হারিয়ে আঁধারে নিমজ্জিত বিকৃত  অমানুষ হয়ে যায় ।

 জীবন ও মানবতার বিরুদ্ধে  লিংগবাদি দিবস নারী দিবস । নারী দিবস মা বোনদের মর্যাদা অধিকার রক্ষা নয় ধ্বংস করা, যেখানে মানুষ পরিচিতির উর্ধে নারী বা লিংগবাদি বস্তুবাদি পরিচয় মূখ্য হয়ে মানুষ পরিচিতি ও মর্যাদা বিলুপ্ত হয়ে যায় ।

মা বোনদের মানুষ অস্তিত্ব, মানবিক মর্যাদা ও মানবিক সাম্য এবং মানবিক অধিকার অস্বীকার ও উৎখাত করে আত্মিক অন্ধত্ব ও মানসিক দাসত্বে আবদ্ধ করে ধ্বংস করার  এক অপকৌশল নারী দিবস ।

 নারী দিবস মানবসত্তার অস্বীকার। নারী দিবস জীবনের অস্বীকার ও অপমান। নারী দিবস মানবতা বিরোধী অপরাধ ও অনাচার। নারী দিবস মা বোন দেরকে মানুষ নয় কেবল নারী হিসেবে স্মরণ করিয়ে লিংগবাদি করে রাখার বস্তুবাদি ষড়যন্ত্র।

নারী দিবস মনস্তাত্ত্বিক ভাবে কেবল নারী বানিয়ে বস্তুর উর্ধে মানবিক আত্মসত্তা ও আত্ম পরিচয় বিলুপ্ত করে জীবনের সত্য উৎখাতের কারসাজি।

ঈমানের কলেমার আলোকচেতনায় ও সত্যের দৃষ্টিতে নারী বা পুরুষ এসব কেবলই বাহ্যিক বিষয় যার ভিত্তিতে মানুষের মূল আত্মপরিচয় ও আত্মসত্তা হতে পারে না। কলেমা তথা সত্যের দৃষ্টিতে ভাষা গোত্র লিংগ বর্ণ বর্ডার দেশ রাষ্ট্র কোনো বস্তুর ভিত্তিতে জীবনের উর্ধে মানব জীবনের মূল পরিচয় বা সত্তার ভিত্তি হতে পারে না এবং এসবের ভিত্তিতে কোনো বস্তুবাদি বিভেদ বৈষম্য বঞ্চনা জীবনের বিরুদ্ধে অন্যায় অবিচার অপরাধ।

কলেমার চেতনার আলোকে আত্মা ও জীবন বস্তুর ভিত্তিতে নয়- একমাত্র তাওহীদ ও রেসালাতের ভিত্তিতে । সকল বস্তুগত বাহ্যিকতার উর্ধে সবার প্রাথমিক পরিচয় ও মর্যাদা মানুষ বা মানবসত্তা, এর উর্ধে সত্য ভিত্তিক চুড়ান্ত পরিচয় মুমিন যা সত্যপ্রাপ্ত আলোকিত মানুষ ।

মানুষ হিসেবে জীবনের শুরু এবং সত্য ও জ্ঞানের উৎস এবং আল্লাহতাআলার সকল গুন জ্ঞান আলোর সংযোগ ও কেন্দ্র সত্যের অনন্ত ধারা রেসালাতে ইলাহির পবিত্র নামে সংযুক্ত হতে পারলে মানবসত্তা মুমিনসত্তায় উপনীত হয়।

মুমিনসত্তা আল্লাহতাআলা ও তাঁর মাহবুব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেমের ধারায় ও নৈকট্য সাধনায় বেলায়াতের অসীম আকাশে উড্ডীন হয় এবং জীবনের প্রকৃত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের দিকে এগিয়ে যায়।

-----------------------------------------------------
আল্লামা ইমাম হায়াতের বক্তব্য থেকে গৃহীত
প্রবর্তক: বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাহাবী একটি বৈশিষ্ট্য, সাহাবী একটি চরিত্র, সাহাবী একটি আদর্শ, সাহাবী মানে উৎসর্গ, সাহাবী মানে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত! লেখক- আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিশার আলোকে- আল্লামা মুফতি রেজাউল মোস্তফা কায়সার

প্রিয়নবীর সম্পর্কের চেয়ে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান অপরিহার্য্য অন্য কোন সম্পর্কই নয় -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা"

(দলিল) নবী রাসূল আলাইহিস সাল্লাম গন সহ আল্লাহর ওলী গন চিরন্তন জীবিত ।