সমগ্র মুসলিম মিল্লাত ও সমগ্র মানবমন্ডলীর উদ্দেশ্যে সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত এর ঘোষণা "প্রাণপ্রিয় আহলে রাসুল ঈমানের অংশ এবং তাঁদের দুষমন কাফের"

সমগ্র মুসলিম মিল্লাত ও সমগ্র মানবমন্ডলীর উদ্দেশ্যে সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত এর ঘোষণা "প্রাণপ্রিয় আহলে রাসুল ঈমানের অংশ এবং তাঁদের দুষমন কাফের"।  

----------------------------------------------------------------------

**প্রাণপ্রিয় আহলে রাসুল ঈমানের

অংশ এবং তাঁদের দুষমন কাফের

=====================**

**وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ**

*(সুরা বাকারা: আয়াত শরীফ ৪২)*

*এ আয়াত শরীফে দয়াময় আল্লাহতাআলা হকের ধারা ও বাতিলের ধারা একাকার না করে পৃথক করে স্পষ্টভাবে তুলে ধরে হকের পক্ষে থাকার এবং বাতিলের বিপক্ষে থাকার নির্দেশ দান করেছেন, একই সাথে এই আয়াত শরীফে হক ও বাতিলের ধারা সম্পর্কে নিরব না থেকে বাতিলকে আড়াল না করে হক ও বাতিলের ধারা স্পষ্টভাবে ঘোষনা করার নির্দেশ দান করেছেন। কাফের এজিদের কুফর সম্পর্কে নিরব থেকে খেলাফতের ধারা থেকে বিচ্যুত হয়ে মুলুকিয়তের নিরব সমর্থন এ আয়াত শরীফ ও সমগ্র কোরআনুল করীম এবং সমগ্র হাদিস শরীফের সকল শিক্ষা ও নির্দেশের কুফরি লংঘন ও বিপরীত।*

*কাফের এজদের কুফরি সম্পর্কে নিবর থাকা কলেমা কোরআন অস্বীকার করা এবং সমগ্র দ্বীনের অস্তিত্ব অস্বীকার করা ও হকের সমস্ত শাহাদাতের সাথে বিশ্বসঘাতকতা করা।*

*ঈমান দ্বীনের প্রাণ, হকের মাপকাঠি, নুরে রেসালাত আহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে পশুর মত জবাই করেছে আর আমরা মুমিনরা প্রতিবাদ না করে খুনীর নিন্দা না করে নিরব থাকবো!*

*নাউজুবিল্লাহ এটা কুফরি ফতোয়া। এটা ইসলামের ফতোয়া নয়। শাণে তাওহীদ ও শাণে রেসালাতে এর চেয়ে নিকৃষ্ট ও ভয়ংকর বেঈমানি বিশ্বাসঘাতকতা মোনাফেকি আর কিছু হতে পারে না; যারা এরকম ফতোয়া দেয় তারা মুসলিম নয়, ইসলামের দুশমন। তাদের অনুসরণ কুফরি।*

*আহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং তাঁদের বিরুদ্ধাচরণ কুফরি- এটা আমাদের ইসলামের মূলধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের চিরন্তন অলংঘণীয় ঈমানী আকিদা।*

*হককে হক জানা এবং বাতিলকে বাতিল জানা ঈমানের শর্ত। কাফের এজিদকে যে কাফের মনে করে না সেও কাফের হবে। কাফের এজিদের কুফরির ব্যাপারে নিরব থাকার অর্থ কারবালায় হকের মহান শাহাদাত অস্বীকার বিশ্বাসঘাতকা।*

*কাফের এজিদ ৬১হিজরীতে আহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামগণকে নৃশংসভাবে খুন ও চরম অবমাননা করে, ৬৩ হিজরীতে তাকে স্বীকৃতি না দেয়ায় মদীনাতুল মুনাওয়ারা ও মক্কাতুল মোকাররমা আক্রমণ করে গণহারে খুন করে, মসজিদে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে ও দরবারে আজমে হামলা করে যার ফলে মসজিদে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামে তিন দিন আজান নামাজের জামায়াত পর্যন্ত হতে পারে নি, শুধু দুনিয়ায় আরশে আজীম দরবারে আজম মোবারক থেকে আজান ও সালাত শুনা যেতো।*

*কাফের হওয়ার জন্য আহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুশমন বা খুন করতে হয় না বা দরবারে আজমে বা কাবা শরীফে হামলা অবমাননা এতটুকু করতে হয়না, আহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পথে নেই এটা বলাই যথেষ্ট।*

*আসলে হকের দুশমনরা ইমামে আকবার সাইয়েদেনা হজরত ইমাম হাসান ও ইমামে আকবার সাইয়েদেনা হজরত ইমাম হোসাইন রাদিআল্লাহু আনহুমাকে শুধু খুন করে নি ইসলামকেই খুন করেছে, ইসলামের মূলে কুঠারাঘাত করেছে।*

*আহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ই কলেমা- কোরআনুল করীমের সকল আলোর মূলকেন্দ্র- দ্বীনের প্রাণ - খেলাফতের ধারক এবং আল্লাহতাআলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বন্ধন ও সম্পর্কের মহাকেন্দ্র।*

*আহলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুশমন আল্লাহতাআলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দুশমন।*

*তাওহীদ রেসালাত ভিত্তিক ও প্রাণপ্রিয় আহলে বায়েতের এক্তেদায় মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন ও মহান মকবুল সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম, হকের ইমামবৃন্দ ও আওলিয়া কেরামের অনুসৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ই আমাদের সমগ্র মিল্লাতের হকের চিরন্তন জামায়াত, আর তাঁদের দুশমন ও খেলাফত উৎখাত করে কলেমার বিপরীত কাঠামো মুলুকিয়তের ধারা সম্পূর্ণ বিপরীত ধারা, যাদের অনুসারীগণ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং তারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভূক্ত নয়।*

*আমি ইমাম হায়াত সমগ্র মুসলিম মিল্লাতের প্রতি এবং সমগ্র মানবমন্ডলীর উদ্দেশ্যে এই ঘোষণা করছি-*

World sunni movement-বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ও World humanity revolution-বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব।