শির্কের সঠিক ব্যাখ্যা জানুন। শির্ক স্পষ্ট বিষয়, দূর্বোধ্য বা জটিল বিষয় নয়, অসৎ উদ্দেশ্যে ঈমানী বিষয়কে শির্ক বলে ধোকা দেয়া হচ্ছে -সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত।
শির্কের সঠিক ব্যাখ্যা জানুন।
শির্ক স্পষ্ট বিষয়, দূর্বোধ্য বা জটিল বিষয় নয়, অসৎ উদ্দেশ্যে ঈমানী বিষয়কে শির্ক বলে ধোকা দেয়া হচ্ছে।
===================
বর্তমানে প্রকৃত ইসলামকে উৎখাত করে ঈমান বিণাশী বিভিন্ন বাতিল মতবাদ কায়েম করার জন্য ঈমানী বিষয়কেও শির্ক হিসেবে তুমুল অপপ্রচার চালিয়ে ভয়ংকর বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। ইসলামের প্রকৃতধারা আহলে সুন্নাত তথা কোরআনুল করীম ও মোবারক হাদিস শরীফ মোতাবেক শির্ক হচ্ছে-
০১) একমাত্র দয়াময় আল্লাহতাআলা ছাড়া আর কোন কিছুকে মা’আবুদ মনে করে তার এবাদত উপাসনা করা।
وَاعۡبُدُوا اللّٰهَ وَلَا تُشۡرِكُوۡا بِهٖ شَيۡـئًـا
(সুরা- নিসা, আয়াত শরীফ-৩৬),
মনে রাখতে হবে মা’আবুদ মনে করে এবাদত আর মা’আবুদের রহমত সম্পর্ক নৈকট্য লাভের জন্য তাঁরই নির্ধারিত অসীলার তাজীম এক নয় বরং তা ও মা’আবুদেরই এবাদত।
যেমনঃ আল্লাহতাআলা নাবিয়েনা আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করার জন্য ফেরেশতা জীন সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন (সুরা বাকারাঃ৩৪) এবং নাবিয়েনা ইউসুফ আলাইহিস সালামকে তাঁর ভ্রাতৃবৃন্দ কর্তৃক সিজদার এমনকি স্বয়ং নাবিয়েনা ইয়াকুব আলাইহিছ সালাম কর্তৃক তাজীমী সিজদাহ আল্লাহতাআলা উল্লেখ করেছেন (সুরা ইউসুফঃ ১০০)।
০২) দয়াময় আল্লাহতাআলা ছাড়া আর কাউকে মা’আবুদ বিশ্বাস করে এবাদতের শির্কের সাথে আরেক রূপে শির্ক হলো আত্মা- আত্মসত্তা- অস্তিত্ব ও জীবনের মূল মৌলিক আত্মপরিচয় তাওহীদ ও তাওহীদ মনোনীত রেসালাত ব্যতীত অন্য কোনো বস্তুভিত্তিক হয়ে বস্তুকে সত্তার উৎস মূল হিসেবে বিশ্বাস করে তথা বস্তুকে পরম সত্য মনে করে তাওহীদ রেসালাত ভিত্তিক আত্মসত্তার বিপরীতে বস্তুবাদি আত্মসত্তা গ্রহনের মাধ্যমে মনস্তাত্মিকভাবে বস্তু উপাসক হয়ে যাওয়া।
বস্তুবাদ শির্ক যার বাস্তবায়নের অনেক প্রক্রিয়া আছে, যেমন “আল আরব” কে সৌদি গোত্রবাদি ওহাবিবাদি রাষ্ট্র ঘোষণা করে কলেমা কারবালার ঈমানী জীবন চেতনা উৎখাত করা, গোত্রের নামে সবার জীবন ও রাষ্ট্র উৎসর্গ করে সবাইকে গোত্রীয় দাস করে ফেরাউনী কায়েম করা, নিজেদেরকে সবার জীবনের মালিক প্রভূ সেজে সবার অধিকার স্বাধীনতা হরণ রূদ্ধ করা।
গোত্রবাদ বস্তুবাদেরই এক বিষাক্ত শাখা মাত্র, কিন্তু পবিত্র কলেমার ঈমানী আত্মসত্তার বিপরীতে বস্তুবাদি আত্মসত্তা না হয়ে কেবল গোত্রগত ভাষাগত লিংগগত রাষ্ট্রগত তথা কোন বস্তুগত সাধারণ পরিচয় শির্ক নয়, যেমন কাউকে চিহ্নিত করার জন্য লাল পোশাকধারী ব্যক্তি বলা।
৩) এ দু’য়ের সাথে আরেক প্রত্যক্ষ শির্ক হলো নিজেকে আল্লাহ মনে করা, যার প্রকাশ ঘটে নিজেকে অন্যদের জীবনের মালিক মনে করা, যার চুড়ান্ত বাস্তবায়ন হয় অন্য জীবনকে খুন করার অধিকার আছে মনে করা বা খুন করা।
এটাও অনেক পদ্ধতিতে হচ্ছে যার অন্যতম উদাহরণ সালাফি আইসিস শির্কি মতবাদ, যারা তাদের ঘৃন্য মতবাদের বাইরে এবং যে কোন নিরপরাধ মনুষকে অপহরণ ও খুন করে যাচ্ছে।
ওহাবি- মওদূদি- মেওয়াতী তবলিগী ইত্যাদি বাতিল ফেরকা আল্লাহতাআলার নিদর্শন সমুহকে সম্মান ভালোবাসাকে র্শিক বলে অপপ্রচার চালায় অথচ আল্লাহতাআলা তাঁর নবী রসুল আলাইহিমুস সালামদের স্মৃতি বিজড়িত জিনিসকে তাঁরই নিদর্শন দাবী করে তাজীমের নির্দেশ দিয়ে বলেছেন-
وَمَنۡ يُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنۡ تَقۡوَى الۡقُلُوۡبِ
(সুরা: হাজ্জ্ব, আয়াত শরীফ-৩২)
- অর্থাৎ আল্লাহতাআলার নিদর্শনকে তাজীম করা আন্তরিক তাকওয়ার অন্তর্গত। আন্তরিক বা হৃদয়গত প্রেমের তাকওয়াই আসল মকবুল তাকওয়া, যার উপর আর কোনো তাকওয়া আমল নেই যা না থাকলে অন্য সব অসার হয়ে যায়।
একইভাবে আল্লাহতাআলার নিদর্শনকে অবমাননা আল্লাহতাআলার শানেই ভয়ংকর খেলাফ যা কোনো মুমিন চিন্তাই করতে পারেনা। বস্তুবাদি কাফেরগণ অনেক কিছুই করতে পারে, যেমন সালাফি- ওহাবি দস্যুচক্র যেখানেই জবরদখল করেছে সেখানেই নবী অলী গণের পবিত্র মাজার শরীফ ভেঙ্গেছে, গণহত্যা চলাচ্ছে এবং বোনদের অবরুদ্ধ ও জ্ঞান বিজ্ঞান নিষিদ্ধ করেছে; এমনকি ব্যভিচার চালাচ্ছে। এরা একইসাথে মুশরিক কাফের জালিম ও খবিছ।
দয়াময় আল্লাহতাআলার নিদর্শনের তাজীম অবশ্যই ঈমানী বিষয় এবং খেলাফ কুফরী বিষয়; তবে সব বিষয়ে আমাদের দ্বীনের শৃংখলা রূপরেখা ও ভারসাম্য আছে, যা ভংগ করে সীমালংঘনও ক্ষতিকর।
৪) এসব ছাড়া আরও এক প্রকার প্রত্যক্ষ শির্ক আছে যাতে আল্লাহতাআলার মহাসত্তার অংশ সাব্যস্ত করে কাউকে সন্তান ইত্যাদি অবান্তর মিথ্যাকে সত্য মনে করে অংশীবাদি মতবাদ বিশ্বাস করা হয়।
উল্লিখিত প্রত্যক্ষ শির্ক সমূহ ঈমানের বিপরীত, এছাড়া আরও কিছু পরোক্ষ শির্ক আছে যা অজ্ঞতা মূর্খতা বা নিয়তের ত্রুটি জনিত কারণে হয়ে যায়, যা সব সময় ঈমান হানিকর নয়, তবে ক্ষতিকর।
শির্ক মূলতঃ তাওহীদ রেসালাত ভিত্তিক আত্মসত্তা ও জীবন চেতনার বিপরীত এক ভয়ানক অন্ধত্ব ও চরম মিথ্যা বিষাক্ত অলীক ধারণা, যার স্থান কলুষিত আত্মার মধ্যে যেখানে বাহ্যিকতা মূল নয়, এটা ব্যক্তির উপর নির্ভর করে।
বাহ্যিক কথা ও কাজের উপর ব্যক্তি না বুঝে ফতোয়াবাজী অন্যায় এবং অনেক সময় ফতোয়াই মিথ্যা এমনকি কূফর ও দ্বীন বিরুদ্ধ হয় যায়। সুলতানুল আরেফীন হজরত মনসুর হাল্লাজ ও হজরত বায়াজিদ বোস্তামী আলাইহি রাহমার আনাল হক বলা আর অন্যের বলা দুই ভিন্ন বিপরীত বিষয়। আত্মা ও উপলব্ধির ভিন্নতায় একই বাক্য ও কাজ ভিন্ন পরিণতি হতে পারে, যার হিসাবও কেবলই আল্লাহতাআলার কাছে; অন্য কেউ নয়।
মুমিন তথা যারা আল্লাহতাআলাকে একমাত্র ইলাহ- পরম সত্য- মূল শক্তি- মূল উদ্দেশ্য- মূল গন্তব্য ও সর্ব অস্তিত্বের উৎস হিসেবে জানে এবং তাঁর প্রত্যক্ষ আলো- জ্ঞান- সংযোগ- রহমত- হিদায়াত- হিফাজাত- তাজাল্লিয়াত- রেসালাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হয়ে যায়, তাঁর মহামহিম পবিত্র আহলে বায়েত- মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন- মকবুল সাহাবায়ে কেরাম- সত্যের ইমামবৃন্দ ও জামিয়ে আওলিয়া কেরামকে বুকে নিয়ে চলে তাঁরা যাই বলুক করুক তাঁদের দ্বারা কোনমতেই শির্ক হবেনা।
বস্তুবাদিরা বস্তুকেই আসল সত্য আলাদা স্বত্তা স্বাধীন স্বয়ংশক্তি হিসেবে বিশ্বাসের মাধ্যমে শির্ক কবুল করে নেয় অর্থাৎ তাদের মনের মধ্যে র্শিক আছে, এ কারণে এরা হয় নাস্তিক না হয় ধর্মের মূখোশে নিজেরাই র্শিকি মানসিকতায় নিমজ্জিত থাকে এবং নিজেদের বিকৃত ধারণার কারণে মুমিনদেরকে মুশরিক মনে করে।
মুমিন দয়াময় আল্লাহতাআলা ছাড়া আর কোনো পরম মূল অস্তিত্বই স্বীকার করেনা এবং সব বস্তুকে মহান প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অসিলায় আল্লাহতায়ালার রহমত- নেয়ামত-কল্যাণ তথা জীবনের উপকরণ হিসেবে দেখে। বস্তুর মধ্যকার শক্তি অস্বীকার নয় বস্তুত্যাগ নয়, কিন্তু আল্লাহতাআলারই রহমতময় কুদরতময় ইচ্ছা- এরাদা- এলেম- খাইরাত- এহসান- রবুবিয়াতের প্রকাশ ও দান হিসেবে উপলব্ধি করে। তাই মুমিনদের মধ্যে কোনো শির্কের প্রশ্নই আসেনা।
রেসালাতে ইলাহী থেকে যারা বিচ্ছিন্ন তারা আল্লাহতাআলার নাম উচ্চারণ করলেও প্রকৃতপক্ষে তাদের কলুষিত আঁধার মনমগজেই র্শিক, অন্য কোথাও নয়। রেসালাতে ইলাহীর ঈমানী আলোকপ্রবাহ থেকে যারা বিচ্ছিন্ন তারা যতই মূখে তাওহীদ বলুক মারেফাতে ইলাহী সম্পর্কে তারা ইবলিছের মতই চিরঅন্ধ, তারা আল্লাহতাআলা ছাড়াও অন্য আলাদা শক্তির অস্তিত্বে বিশ্বাস করে বিধায় তারাই শির্কি অলীকতার বিনাশী আঁধারে নিমজ্জিত, নাউজুবিল্লাহ।
মাজারে সেজদা জায়েজ নয়, তাই বলে শিরিক নয়। এবাদতের সেজদা একমাত্র আল্লাহতাআলার জন্য, কিন্তু আল্লাহতাআলার অনুমতি সাপেক্ষে আল্লাহতাআলার উদ্দেশ্যে উপযুক্ত ক্ষেত্রে তাজীমের সেজদা জায়েজ ছিলো তাই এটা শিরিক বলা যাবেনা। আল্লাহতাআলার উদ্দেশ্যে অসিলাগত ক্ষেত্রে তাজীমার্থে সেজদা শিরিক- এটা কোন আয়াত শরীফ কোন হাদিস শরীফ কোন কিতাবে আছে কে বলেছে একটি রেফারেন্স দিন, পারবেন না।
আল্লাহতাআলা নিজেই নাবীয়িনা আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা দিতে সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন-
وَإِذْ قُلْنَا لِلْمَلَائِكَةِ اسْجُدُوا لِآدَمَ فَسَجَدُوا إِلَّا إِبْلِيسَ أَبَىٰ وَاسْتَكْبَرَ وَكَانَ مِنَ الْكَافِرِينَ.
(সুরা বাকারা, আয়াত শরীফ নং ৩৪)।
সুরা ইউসুফ আলাইহিস সালামে আল্লাহতাআলা নিজেই স্পষ্ট উল্লেখ করেছেন হজরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে তাঁর মাতা পিতা ভাইগণ সিজদা করেছেন-
وَرَفَعَ أَبَوَيْهِ عَلَى الْعَرْشِ وَخَرُّوا لَهُ سُجَّدًا
(সুরা ইউসুফ, আয়াত শরীফ নং ১০০)।
নাবীয়িনা আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা দিতে অস্বীকার করায় ইবলিস বিতাড়িত ও বাতিল ঘোষিত হয়েছে এটা আল্লাহতাআলা অনেকবার উল্লেখ করেছেন।
قَالَ فَاخۡرُجۡ مِنۡہَا فَاِنَّکَ رَجِیۡمٌ, وَّ اِنَّ عَلَیۡکَ اللَّعۡنَۃَ اِلٰی یَوۡمِ الدِّیۡنِ
(সুরা হিজর, আয়াত শরীফ নং ৩৪,৩৫)।
তাই প্রমাণ হলো আল্লাহতাআলা ছাড়া কাউকে সিজদা দিলেই শিরিক হয় না, আল্লাহতাআলার আদেশ কি শিরিক হতে পারে? নাউজুবিল্লাহ। প্রমাণ হলো আল্লাহতাআলা ছাড়া কাউকে তাজীমী সিজদা দিলে শিরিক হয় না, শিরিক হয় যদি আল্লাহতাআলা ছাড়া আর কাউকে মাআবুদ ইলাহ মনে করে এবাদত করা হয়।
আমাদের এই উম্মতের শরিয়তে তাজীমী সিজদা হারাম করা হয়েছে কিন্তু তাজীমী সিজদা শিরিক নয়, আমরাও মাজারে সিজদা করার পক্ষে নই বরং বিরোধী ও বিপক্ষে কিন্তু এটা শিরক নয়।
কারণ আল্লাহ মনে করে মা’আবুদ ইলাহ মনে করে মাজারে কারো এবাদত করছেনা বরং আল্লাহতাআলার অলী হিসেবে শ্রদ্ধা ভালোবাসা জানিয়ে আসলে আল্লাহতাআলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রতিই তাজীম ও ভালোবাসা জানাচ্ছেন।
আমরাও এই উম্মতের জন্য নির্ধারিত শরিয়তে তাজীমী সিজদা হারাম মনে করি এবং আল্লাহতাআলা ছাড়া এবাদতের সিজদা শিরিক মনে করি, আম্বিয়া আলাইহিমুস সালাম, প্রাণপ্রিয় আহলে বায়েত ও মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন ও মহান মকবুল সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুম এবং হকের ইমামবৃন্দ ও সত্যিকার আওলিয়া কেরামের মাজার চুম্বন তাজীম এবং হক্কানী পীর মোর্শেদ মাতা পিতার হস্ত কদমে চুম্বন এসব জরুরী আদব তাজীমকে যারা সিজদা বলে শিরকি বা হারাম বলে দ্বীন বিকৃতি করে ও বেয়াদবি শিখায় তাদের নিন্দা ও প্রতিবাদ করি।
আমাদের শরিয়তে আল্লাহতাআলার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সিজদা কেবল আল্লাহতাআলার জন্য নির্ধারিত করেছেন তাই আর কাউকে সিজদা নাজায়েজ। তবে কদমবুচি সিজদা নয় জায়েজ এবং উপযুক্ত ক্ষেত্রে মোবারক বিষয়।
বাতিলরা নবী রাসুল আলাইহিমুস সালাম এবং আওলিয়া কেরামের তাজীমকে শিরক বলে অপপ্রচার করে বিধায় আমরা এটা লিখেছি। শিরিক একটা মারাত্মক বিষয় ও নীতিগত চিরন্তন কুফরি যা যেখানে সেখানে বলা যায় না।
যতক্ষণ কেউ একমাত্র আল্লাহতাআলাকে একমাত্র মাআবুদ ও একমাত্র ইলাহ এবং সকল অস্তিত্ব ও সকল শক্তির উৎস- স্রষ্টা- দাতা হিসেবে ঈমান রাখবে ততক্ষণ সে মোশরেক নয় এবং তার ভূল কাজও শিরিক নয়।
আল্লাহতাআলার নিদর্শনের তাজীম ঈমানী হৃদয়ের প্রকাশ এবং আল্লাহতাআলার নিদর্শনের প্রতি অবজ্ঞা কুফরি মানসিকতা। আমরা কাবা শরীফ তাজীম ও তাওয়াফ করি এবং হজরে আসওয়াদ মোবারক তাজীম করি যা শিরিক নয় এবাদত। তাওহীদের প্রেম ও নৈকট্য সাধনায় সবকিছুর উর্ধ্বে শানে রেসালাত এবং শানে রেসালাতের আলোকধারার প্রবাহ।
আলেম না হয়ে আন্দাজে ফতোয়া মারা ঈমান ধ্বংসাত্মক দ্বীন বিকৃতিকারি অপরাধ। প্রকৃতপক্ষে ওয়াবি খারেজি সালাফি ইত্যাদি কুফরি ফেরকা শিরকে নিমজ্জিত।
===================
ইসলামের মূল আকিদা, প্রকৃত আদর্শ ও পূর্ণাংগতার পূণরূজ্জীবনের পথিকৃৎ- ঈমানী আত্মপরিচয় রেসালাতে ইলাহী ভিত্তিক আত্মসত্তা তথা সত্য ভিত্তিক জীবনের রূপকার- ইসলামের প্রকৃত ধারা আহলে সুন্নাতের সঠিক রূপরেখা পূণরূজ্জীবনের মহাদিশারী ও নিজস্ব নির্ভেজাল স্বাধীন পথের নির্মাতা- সর্ব বাতেল থেকে মুসলিম মিল্লাতের পূণরুদ্ধারের পথ প্রদর্শক-
#হজরত_আল্লামা_ইমাম_হায়াত_আলাইহি_রাহমা (Allama Imam Hayat)
প্রতিষ্ঠাতাঃ ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ( World sunni movement )
প্রবর্তকঃ ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন ( World humanity revolution)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For You Comment