ইন্টেরিম সরকারের উপর থেকে ইনসানিয়াত বিপ্লবের সমর্থন প্রত্যাহার।
ইন্টেরিম সরকারের উপর থেকে ইনসানিয়াত বিপ্লবের সমর্থন প্রত্যাহার।
_______________________
দলনিরপেক্ষ ও পক্ষপাতমুক্ত এবং ক্ষমতার লোভমোহমুক্ত
ইন্টেরিম সরকারের মাধ্যমে নিরাপদ সত্য নির্বাচন ছাড়া দেশে কখনোই গণতন্ত্র- মানবাধিকার- জননিরাপত্তা এবং জীবনের স্বাধীনতা আসবে না।
আমরা গণতন্ত্রকামী সব মানুষের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ আন্দোলনের মাধ্যমে প্রহসণের নির্বাচনে রাষ্ট্র জবরদখল করে গণতন্ত্র হত্যাকারি ও জনগণের নাগরিকত্ব হরনকারি খুনি জালিম স্বৈরাচারি সরকারের পতনের পর ইন্টেরিম সরকারের মাধ্যমে আমাদের হৃত নাগরিক অধিকার- নিরাপত্তা- কথা বলার অধিকার- নিজেদের পথ দিশা তুলে ধরার অধিকার- ভোটাধিকার- আতংকমুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশ ও গণতন্ত্র ফিরে পাওয়ার আশা করেছিলাম।
এজন্য সবচেয়ে জরুরী শর্ত ইন্টেরিম সরকার দলনিরপেক্ষ, পক্ষপাতহীন, স্বেচ্চাচারমুক্ত ও ক্ষমতার লোভমুক্ত- মোহমুক্ত- স্বচ্ছ থাকা এবং সবার অংশগ্রহণ মূলক নিরাপদ সামাজিক রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরি করা।
আমরা দেশের সব বৈধ ও নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলকে বাদ দিয়ে সব দলের সাথে কথা না বলে কেবল একাত্তরের হানাদার ঘাতক বাহিনীর দলের সাথে আর দুএকটা দলকে নিয়ে কথা বলে দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ শুধু স্বেচ্চাচার নয় রাষ্ট্র, জনগণ এবং দেশের ভবিষ্যত ও প্রত্যাশিত গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পর্যায়ে পড়ে।
ইন্টেরিম সরকার যদি গণতন্ত্র বিরোধী ও ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদি সাম্প্রদায়িক হিংস্র পাশবিক জংগীবাদ সন্ত্রাসবাদি অপরাজনীতির দলকে সমর্থন দেয় তাহলে দ্বীন ও দেশের ভবিষ্যত আগের স্বৈরাচারী খুনি আমলের চেয়েও ধ্বংসাত্মক খারাপ হতে বাধ্য।
ওয়াবিবাদি উগ্রবাদি হেফাজত নেতা ও চরমোনাই এর গণতন্ত্র বিরোধী ইসলামি আন্দোলন নামধারী ধর্মের নাম অধর্ম উগ্রবাদি সাম্প্রদায়িক হিংস্র পাশবিক অপরাজনীতির দল চরমোনাই নেতা খালিদ হাসানকে উপদেষ্টা পরিষদে নিয়ে ইন্টেরিম সরকার দলনিরপেক্ষতা হারিয়ে দ্বীন, দেশ ও ভবিষ্যত গণতন্ত্রের পথ রুদ্ধ করে রাষ্ট্র ও জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে।
তাই
(1) দলনিরপেক্ষ চরিত্র হারানো
(2) পক্ষপাতদুষ্টতা
(3) স্বেচ্চাচার
(4) ধর্মের নামধারী অধর্ম উগ্রবাদি দলের নেতাকে উপদেষ্টা করা।
(5) মাজার হামলার নিন্দা না করা
(6) নিজেরা ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করার লোভ ও অশুভ আলামত দেখা দেয়া।
(7) জনগণের জানমাল রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থাহীন উদাসীনতা।
দেশ- রাষ্ট্র -ধর্ম ও গণতন্ত্রের জন্য ধ্বংসাত্মক উপরোক্ত সাতটি কারনে- ইন্টেরিম সরকারের উপর থেকে আমরা নিবন্ধিত মানবিক রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লব সমর্থন প্রত্যাহার করে নিলাম।
পক্ষপাতদুষ্ট ইন্টেরিম সরকার জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও রাষ্ট্র রক্ষা এবং গণতন্ত্র পূণরুদ্ধারে সফল হবে না।
সফল হবেনা।
কোনো বিশেষ দলের বা গণতন্ত্র বিরোধী কোনো উগ্রবাদি ধর্মান্ধ অপশক্তির সহযোগি হয়ে কিম্বা নিজেদের ক্ষমতার ব্যবহার করে নিজেদের দল করে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করার অসৎ উদ্দেশ্য থাকলে এই ইন্টেরিম সরকারের মাধ্যমে বাংলাদেশ ধ্বংস হয়ে যাবে।
এই ইন্টেরিম সরকার ঈমানের বিপরীত এবং ধর্মের নামে মাজার বিদ্বেষী উগ্রবাদি সাম্প্রদায়িক হিংস্র পাশবিক অপরাজনীতির ধারক হেফাজত নেতা এবং আহলে রাসুলের খুনি দুশমন কাফের এজিদের সমর্থক চোরমোনাই পীরের ইসলামী আন্দোলনের নেতা খালিদ হাসানকে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করে দেশকে ওয়াবি সালাফি মওদুদিবাদি তালেবান রাষ্ট্র করার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
এছাড়া ধর্ম দল মত নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের জানমাল রক্ষায় কোনো কার্যকর ব্যবস্থার কোনো আলামত দূরের কথা বরং তাদের মধ্যেই ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখার লোভ মোহের আলামত দেখা যাচ্ছে।
আমাদের সতর্কবাণী এই যে- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নিজেরাই যদি রাজনৈতিক দল গঠন করে আগামী নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট চান তবে ইন্টেরিম সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে এখনই পদত্যাগ করে ইন্টেরিম সরকারের দলনিরপেক্ষতা ও আগামী নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা সুনিশ্চিত করুন, না হয় পরিষদে আপনাদের অবস্থান দেশ- রাষ্ট্র ও জনগণের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের মতই গণতন্ত্র হত্যা ও প্রহসণের নির্বাচন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাষ্ট্র জবরদখলের পরবর্তী স্বৈরদস্যুতন্ত্র হয়ে যাবে, আর আমরা জনগণের নাগরিকত্ব অধিকার স্বাধীনতার রক্ষক ও দেশ রাষ্ট্র গণতন্ত্রের বিশ্বস্ত ধারক জনগণকে আবার তা অর্জনের জন্য আরেক মুক্তি সংগ্রাম শুরু করতে হবে।
দেশের জনগণের সব পক্ষের জনগণের জানমাল রক্ষায় লক্ষনীয় জরুরী পদক্ষেপের ভয়ঙ্কর শূন্যতা ছাড়াও
ইসলামের কেন্দ্র আওলিয়া কেরামের পবিত্র মাজার হামলা রোধ দূরের কথা নিন্দাও করা হয় নাই।
আমাদের সব দলের সাথে কথা না বলে একাত্তরের কেবল হানাদার ঘাতক বাহিনীর সাথে আলোচনা করে তারা নিজেদের সেচ্চাচারী কায়দায় তথাকথিত অন্তর্বর্তীকালিন বৈধতাহীন সরকার চালিয়ে দেশের ভবিষ্যত অন্ধকারে নিয়ে যাচ্ছেন।
একক ধর্ম ও একক জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক রাষ্ট্র ইসলামের বিপরীত পাশবিক স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক রাষ্ট্র। ইসলামের নামে রাষ্ট্র ও রাজনৈতিক দল ইসলামের নামে ইসলামের আসল শিক্ষার বিপরীত ধোকা ও ষড়যন্ত্র।
ইসলামের নির্দেশিত রাষ্ট্র ও মানবজীবনের প্রাকৃতিক রাষ্ট্র সব মানুষের নিরাপত্তা- অধিকার- স্বাধীনতা- কল্যাণ ও মুক্তির উৎস আল্লাহতাআলার হাবীব প্রাণাধিক প্রিয়নবী রাহমাতাল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দেয়া একমাত্র মানবতার রাষ্ট্র।
একক ধর্মের নামে বা একক জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক একক গোষ্ঠীর স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক রাষ্ট্র সত্য ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ।
ধন্যবাদ।
- আল্লামা ইমাম হায়াত,
বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ।
World humanity revolution.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For You Comment