বিগত পাঁচ ই আগস্ট গণ আন্দোলনের নামে ক্ষমতাসীন অবৈধ চক্রের কোনো মনগড়া গোষ্ঠীবাদি অপচেতনা চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
বিগত পাঁচ ই আগস্ট গণ আন্দোলনের নামে ক্ষমতাসীন অবৈধ চক্রের কোনো মনগড়া গোষ্ঠীবাদি অপচেতনা চাপিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে।
***************************
যার চেতনা তার। কারো উপর কারো চেতনা চাপিয়ে দেয়ার অধিকার নেই। রাষ্ট্রের উপর কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর চেতনা চাপিয়ে দেয়াই চরম ফ্যাসিবাদ, চরম গুন্ডাতান্ত্রিক স্বৈরদস্যুতন্ত্র।
ধর্মের নির্দেশিত মানবিক সাম্য - মানবিক ঐক্য- মানবিক চেতনার রাজনীতির বিপরীতে ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদি হিংস্র পাশবিক সাম্প্রদায়িক অপরাজনীতির বিষফল রামরাষ্ট্র ও ইসলামের নামে ইসলামের বিপরীত প্রতারণার রাষ্ট্র পাকিস্তান রাষ্ট্র তৈরির মূলে আছে সাম্প্রদায়িক জাতিবাদি চেতনাভিত্তিক একক গোষ্ঠীবাদি স্বৈররাজনীতির চেতনা।
পাকিস্তানি বাতিল জালিম শাসকগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অপরাধের পরিণতিতে একাত্তরের দেশ বিভাগকে একাত্তরের ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার চেতনার নামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে জনগণের আসল চেতনা গণতন্ত্র- মানবাধিকার- জীবনের স্বাধীনতা তথা মানবতার চেতনা ভূলিয়ে দিয়ে বলপূর্বক নিজেদের দলীয় বস্তুবাদি মার্ক্সবাদি চেতনা ও বস্তুবাদি চেতনার ধারায় একক ভাষাভিত্তিক উগ্রবাদি একক জাতীয়তাবাদি চেতনা গিলানোর ও রাষ্ট্রের উপর বলপূর্বক চাপিয়ে দেয়ার জঘন্য অপচেষ্টা চালায় রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে।
আমরা জনগণের আন্দোলনে আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারের পতনের পর রাষ্ট্রের উপর জনগণের নামে ক্ষমতাসীনদের নিজেদের গোষ্ঠীগত চেতনা চাপিয়ে দেয়ার সেই আওয়ামীলীগের স্বৈরাচারী চরিত্রের পাশবতার অসহ্য পূণরাবৃত্তি হচ্ছে এখন আবার।
দলীয় লোকজন ছাড়া ব্যাপক জনগণ আওয়ামীলীগের চাপিয়ে দেয়া চেতনা বমি করে ফেলে দিয়েছে। রাষ্ট্র আর দলীয় চেতনা একাকার করে আওয়ামীলীগ জনগণের জীবন অস্বীকার ও রাষ্ট্র জবরদখলের যে রাজনৈতিক অপরাধ করেছিলো পাঁচ ই আগস্টের পর ক্ষমতাসীন কুচক্রি মহলও জনগণের নাম করে রাষ্ট্রের উপর নিজেদের গোষ্ঠীগত চেতনা চাপিয়ে দেয়ার একই রাজনৈতিক ব্যভিচারে লিপ্ত হয়েছে।
অনেকেই পাঁচ ই আগস্ট বিগত আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারের পতনের আন্দোলনকে অসৎ রাজনৈতিক স্বার্থে ঐতিহাসিক কোনো এক বিপ্লবী চেতনার ধারা হিসেবে অতিরঞ্জিত করে দেখানোর চেষ্টা করছেন। বাস্তবে এটা কেবলমাত্র কোটা সংস্কারের অরাজনৈতিক আন্দোলন ছিলো।
কোটা আন্দোলনে কেবল কিছু ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্র আদুভাই ছাড়া জনগণের একজনও শরিক ছিলোনা, থাকার কোনো কারনও নেই।
কারন চাকরির কোটা আন্দোলন নায্য হলেও বৃহত্তর জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় ছিলোনা, ছিলো ভবিষ্যত চাকুরীপ্রার্থী ছাত্রছাত্রীদের ন্যায্য স্বার্থের বিষয়। জনগণ কোটা আন্দোলন আর চাকরির বয়স আন্দোলন একই নির্লিপ্ত ভাবেই দেখে। ।
আওয়ামীলীগ তাদের চিরাচরিত ধারায় অন্যায়ভাবে কোটা আন্দোলন দমন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ দলীয় সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী ও সশস্ত্র পুলিশ ও বিভিন্ন বাহিনী নামিয়ে দিলে কিছু ছাত্র নিহত ও আহত হয়।
খুন সংঘটিত হওয়ার পর আমরা জনগণ ব্যাপকভাবে বিক্ষুব্ধ হয়ে সরকার পতনের লক্ষ্যে রাস্তায় নেমে আসি। কারন আমরা জনগণ আওয়ামীলীগ সরকারের উপর তাদের প্রহসণের নির্বাচন- গণতন্ত্র হত্যা- বিরোধীদের দমন পীড়ন- ব্যাপক দুর্নীতি- সীমাহীন দলীয়করণ- লুটপাট এবং প্রত্যেক এলাকায় দলীয় লোকদের একধরনের জমিদারি তালুকদারি গুন্ডাতন্ত্র কায়েম ইত্যাদি কারনে মারাত্মক ক্রদ্ধ ছিলাম।
আমরা সকল স্তরের সকল দলের জনগণ আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারী সরকারের পতনের লক্ষ্যে রাস্তায় বিক্ষোভে নেমে এলে সেনাবাহিনী সরকারের কথমত আন্দোলন দমন না করায় সরকার পতন হয়।
কিন্তু নেতৃত্বহীন অপরিকল্পিত আন্দোলন হওয়ায়, রাজনৈতিক লক্ষ্য ভিত্তিক আন্দোলন না হওয়ায়, সরকার পতনের পর চরম নৈরাজ্য অরাজকতা, সর্বত্র অপরাজনীতির প্রতিহিংসামূলক হামলা,
বিশেষভাবে জংগীবাদি জামাত শিবিরের ব্যাপক পুলিশ হত্যাযজ্ঞ, অসৎ উদ্দেশ্যে প্রশাসনিক কাঠামো তছনছ করে দেয়া, শিল্পকারখানায় অগ্নিসংযোগ এবং পরবর্তী ক্ষমতা গ্রহণকারিদের সীমাহীন অদক্ষতা অযোগ্যতার কারনে পুরো রাষ্ট্রব্যবস্থাই ভেঙ্গে পড়ে, আইন শৃংখলা জননিরাপত্তা ভেঙ্গে পড়ে যা এখনো রেস্টোর হয়নি।
কোটা সংস্কার আন্দোলন আওয়ামী লীগের ভূলের কারনে আওয়ামীলীগ সরকারের পতন আন্দোলনে পরিণত হওয়া এবং আওয়ামীলীগ সরকারের পতন পর্যন্ত এই আন্দোলনে জনগণের কাছে কোনো সুনির্দিষ্ট সুলিখিত দফা ভিত্তিক কোনো অফিসিয়াল এজেন্ডা বা নীতি চেতনা রাজনৈতিক লক্ষ্য কিছুই ছিলোনা।
তবে শেষে আওয়ামীলীগ পতনের এই নির্দলীয় আন্দোলনে আমরা জনগণের সবার মূল আকাংখা ছিলো গুন্ডাতন্ত্র- স্বৈরতন্ত্র- লুটতন্ত্র- গোষ্ঠীতন্ত্র- দলতন্ত্র- সিন্ডিকেটতন্ত্র- নিপীড়নতন্ত্র -আতংকতন্ত্র দূর হয়ে মানবিক গণতন্ত্র মানবাধিকার জীবনের স্বাধীনতা নিরাপত্তা বাক স্বাধীনতা ফিরে আসবে, প্রতিহিংসামূলক অপরাজনীতি - সরকারী মিথ্যাচার- ধোকা - হুমকি- প্রভূমূলক হুংকার অহংকার- ক্ষমতার অপব্যবহার- ক্ষমতার দাপট- কোর্ট আদালত গোষ্ঠীস্বার্থে ও দমন নিপীড়নের সরকারী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হবে না।
কিন্তু আমরা জনগণ আওয়ামীলীগের স্বৈরতন্ত্র উৎখাত করলেও আমরা দেখলাম আমাদের জনগণের আন্দোলন অভূত্থান ছিনতাই হয়ে গেছে, আমরা মারাত্মক অস্তিত্ব বিণাশী প্রতারণার শিকার হয়েছি।
বিগত আওয়ামীলীগ স্বৈরাচারের চেয়েও নিকৃষ্ট অসভ্য বর্বর বেয়াদব গুন্ডাতান্ত্রিক স্বৈরাচারী-
তাদের চেয়েও দেশ ধ্বংসাত্মক-
তাদের চেয়েও ধর্ম ধ্বংসাত্মক-
তাদের চেয়েও অহংকারী-
তাদের চেয়েও মিথ্যাচারী-
তাদের চেয়েও ধোকাবাজ-
তাদের চেয়েও গণশত্রু-
তাদের চেয়েও মানবতার শত্রু-
তাদের চেয়েও অধিকার স্বাধীনতা হরনকারি এক অবৈধ গোষ্ঠী দেশ রাষ্ট্র ক্ষমতা জবরদখল ও কুক্ষিগত করে আরেক অদৃশ্য ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর সহায়তায় আমাদের অদৃশ্য শিকলে বন্দী করে দেশ রাষ্ট্র জনগণকে এক আঁধার থেকে আরেক ধ্বংসাত্মক আঁধারে ঠেলে দিচ্ছে।
স্বৈরাচারদের চিরাচরিত অসৎ স্বৈরাচারী অভ্যাস মত নিজেদের মনগড়া আঁধার চেতনা আন্দোলন অভূত্থানের চেতনার নামে চালিয়ে দিচ্ছে অবৈধ অনৈতিক ক্ষমতার বলে।
মধ্যযুগীয় স্বৈরাচারদের মত নিজেদেরকে দেশ রাষ্ট্রের মালিক মনে করে আমরা জনগণের সাথে ক্রীতদাসের মত আচরণ করছে।
দেশের মালিক হিসেবে জনগণকে অস্বীকার করে সংস্কারের নামে নিজেদের সব মলমূত্র বিষাক্ত আবর্জনা জনগণকে গিলানোর অপচেষ্টা করছে, রাষ্ট্রের উপর জনগণের উপর 47 এর ধ্বংসাত্মক সাম্প্রদায়িক পাশবিক অপরাজনীতির স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক চেতনা চাপিয়ে দিয়ে ধর্ম হত্যা- জীবনের স্বাধীনতা হত্যা- অধর্ম উগ্রবাদের হাতিয়ার করে রাষ্ট্রকে লাশ বানিয়ে রাখার ষড়যন্ত্র করছে মীরজাফর গোষ্ঠী।
মীরজাফর এই জন্যই যে রাষ্ট্র ও জনগণের সাথে বেঈমানী বিশ্বাসঘাতকতা করে গণতন্ত্রের নির্দলীয় আন্দোলনকে এরা মওদুদিবাদ ওয়াবিবাদ তালেবানী জংগীবাদি সাম্প্রদায়িক অপরাজনীতির দিকে ঠেলে দিয়ে তাদের রাষ্ট্রীয় পৃষূঠপোষকতা করে দ্বীন দেশ গণতন্ত্র জীবনের স্বাধীনতা ধ্বংসের মূখে ফেলে দিয়েছে এবং নিজেদের গোষ্ঠীগত চেতনা রাষ্ট্রের উপর চাপিয়ে আমরা তাদের মত পথের বিরোধীদের রুদ্ধ ও ফিল্ড আউট করার ষড়যন্ত্র করছে।
কতিপয় পোষা দালালদের সাথে সংলাপ করে নিজেদের ভূয়া বৈধতা নেয়ার এবং জনগণকে আই ওয়াশ ধোকা দেয়ার অপচেষ্টা করছে।
সত্যিই আজ দ্বীন দেশ রাষ্ট্র গণতন্ত্র চরম ধ্বংসাত্মক হুমকির মূখে পড়েছে
এবং আমরা তাদের ধর্মবিণাশী দেশদ্রোহী অন্যায়ের বিরোধীদের জীবনের স্বাধীনতা জীবনের নিরাপত্তা অপশক্তির মারাত্মক হুমকির মূখে মহাবিপন্ন হয়ে পড়েছে।
দ্বীন- দেশ- গণতন্ত্র- মানবাধিকার- জনগণের সবার জীবনের স্বাধীনতা নিরাপত্তা রক্ষায় একমাত্র মানবতার রাজনীতিই মুক্তির অবিকল্প উপায়।
মানবতার রাজনীতির ভিত্তিতে মানবিক জনগণের রাজনৈতিক ঐক্য ব্যতীত অপশক্তির স্বৈরদস্যুতন্ত্রের জবরদখলে দ্বীন- রাষ্ট্র- গণতন্ত্র- মানবাধিকার- জীবনের স্বাধীনতা- নিরাপত্তা ধ্বংস হয়ে যাবে।
একমাত্র মানবতার রাজনীতি ই সব মানুষের সবার প্রতিনিধিত্বশীল রাজনীতি। একমাত্র মানবতার রাজনীতিই স্বীকার করে সব মানুষের তার বিশ্বাস ধর্ম আদর্শ মত পথ নিয়ে চলার পূর্ণ নিরপদ স্বাধীনতা।
একমাত্র মানবতার রাজনীতিই কারো উপর রাষ্ট্র ক্ষমতার বলে কারো কোন চেতনা মতবাদ চাপিয়ে দেয়া জীবন অস্বীকার অপরাধ মনে করে।
একমাত্র মানবতার রাজনীতিই রাষ্ট্র এক ধর্ম- এক জাতি- এক গোষ্ঠী- এক মতবাদ নয় বিশ্বাস করে।
সব মানুষকেই নিজ নিজ জীবনের মালিক ও রাষ্ট্রের মালিক হিসেবে আল্লাহতাআলার পক্ষ থেকে সত্য ও মানবতার মুক্তির উৎস রাহমাতাল্লিল আলামীন প্রাণাধিক প্রিয়নবীর দেয়া মালিকানা খেলাফতে ইনসানিয়াতের ভিত্তিতে ইনসানিয়াত বিপ্লব প্রতিটি মানুষের যার যার বিশ্বাস চেতনা মোতাবেক চলার জীবনের স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্র ও দুনিয়া সবার সব মানুষের হিসেবে বিশ্বাস করে।
================
- আল্লামা ইমাম হায়াত ( Allama Imam Hayat )
(মানবতার রাজনীতির প্রবর্তক)
বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ
World humanity revolution .
#Allama_Imam_Hayat #World_humanity_revolution.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For You Comment