বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন ও প্রচলিত সুন্নীয়াত নিয়ে আরফাত হোছাইন এর আত্মসমালোচনা টি দেখেন ও পড়েন ।
কাউকে খুশি করার জন্য কিংবা কাউকে কষ্ট দেওয়ার জন্য আমি সুন্নী আন্দোলন করি না।
আমি সুন্নী আন্দোলন করি এই জন্য যেঃ
আমার আত্নার পরিচয়, আমার জীবনের পরিচয়, পূর্নবার তুলে ধরেছেন আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহে রাহমা তাই আমি সুন্নী আন্দেলন করি।
বিস্তারিত আলোচনাঃ
আমি যখন থেকে বুঝি তখন থেকে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনাকে ভালবেসে এসেছি। তবে এখনো ভালবাসি কারন আমার আপন সুন্নী সকল ভাইবোন।
২০০৭ সালে নভেম্বর মাসের ৪তারিখ আমি হেফজ বিভাগে ভর্তি হয়েছি, প্রায় চার বছর পর আল্লাহ ও রাসুলের রহমতে হেফজ সমাপ্ত করছি।
২০১২সাল একটি বছর বাড়ীর পাশে মাদ্রাসায় ৫ম শ্রেণীতে পড়েছি।
আমাকে কোন দিন কোন ছাত্রসেনার কর্মী ভাইয়েরা ঈমান, দ্বীন, সুন্নীয়ত কিছুই বুঝালেন না তবে একদিন ছাত্রসেনার এক কর্মী আমাকে রাতের বেলায় একটি চিকা মারার জন্য বলেছে তবে ডাকার সময় আমাকে ডাকেনি।
* শেষ পর্যম্ত সুন্নী কাকে বলে?
* কি করলে সুন্নী হয়?
* কার সাথে যুক্ত থাকলে সুন্নী হয়?
* সুন্নীদের বিশ্বাস কী?
* সুন্নীদের চেতনা কী?
* সুন্নীয়তের দিশা কী?
* কে সুন্নীয়তের দিশা দিচ্ছে?
* কে সুন্নীয়ত শিক্ষা দিচ্ছে?
কিছুই জানতে পারলাম না, কেউও আমাকে শিখালেন না।
কিন্তু আমি ছৈয়দ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ্ হুজুর কেবলা কে সুন্নীয়তের একজন মহান আলেম হিসেবে চিনতাম।
দক্ষিন আশিয়া গাউছিয়া সুন্নীয়া আলিম মাদ্রসায় ১০দিন ব্যাপি মাহফিলে যেকোন একদিন হুজুর আসবেন শুনে আমি হুজুরের মাহফিলে হাজির, মাহফিল শেষে রাত্রে আসার সময় গাউছিয়া মাদ্রাসার তৌহীদ স্যার আমার পরিচিত।স্যারকে আমি সালাম দিয়ে আসার পথে তৌহীদ স্যার সম্মানিত শাহেদুল আলম স্যারের সাথে পরিচয় করে দিলেন।
আমার সাথে আমার একবন্ধু হাফেজ আরমান ছিল। রাস্তায় শাহেদ স্যারের সাথে কথা বলতে বলতে আমার মোবাইল নাম্বার দিয়ে স্যারের বাড়ীর সামনে থেকে বিদায় নিয়ে রাত্রে চলে আসলাম।
প্রায় ২সাপ্তাহ পর আমাকে ফোন দিল, বলেছেন সময় থাকলে বাংলা বাজার আস।
তখন কোন ছাত্রসেনার ভাইরা আমার সাথে তেমন যোগাযোগ নেই, তবে আমাকে সবাই ভালবাসতো ।
কিন্তু কোন ছাত্রসেনার ভাই আমাকে সুন্নীয়ত শিখাইনি এবং সুন্নীয়তের কোন কাজে আমাকে যুক্ত করেনি।
তবে,
আমার মা-বাবা,ভাই-বোন,আত্নীয় স্বজন প্রায় সুন্নী সুন্নীয়তকে সবাই ভালবাসে।
সে হিসেবে আমিও সুন্নীয়তকে ভালবাসতাম এবং আমার সব লেখাপড়া সুন্নী মাদ্রাসায় সে হিসেবে আমার আত্না এবং জীবন কোনদিন কোন বাতেল স্পর্শ করতে পারে নাই।
তাই আমি একনিষ্ট ভাবে সুন্নীয়তকে ভালবাসতাম।
আমার মা বাবা সদাসর্বদা বলত আউলিয়া কেরামের মাজার শরীফে যাওয়ার জন্য, তাই আউলিয়া কেরামকে আমি বেশি ভালবাসতাম কিন্তু তখনো সুন্নী কাকে বলে জানতাম না।
আবারো বাংলাবাজারের কথায় আসছি, স্যার আমাকে একটি প্রোগ্রামে বসালেন তবে, এটা যে সুন্নী আন্দোলনের প্রোগ্রাম তা আমি জানতাম না।
সেদিন ১জন প্রিয়নবীর আশেক সুন্নীয়ত নিয়ে আলোচনা করেছিল তিনিই হলেন আমার প্রিয় শিক্ষক গোলাম সরোয়ার স্যার।
তাকে দেখে মনে হলেো তিনি কিছু জানেন না।
আমি মনে মনে চিন্তা করেছি, আমাকে কি বুঝাবে মনেহয় তাকে আমি বুঝাব, কিন্তু না প্রিয়নবীর প্রতি সালাতু সালাম দিয়ে যখন বক্তব্য শুরু করল তখন আমি এক ধ্যানে শুনে থাকলাম এবং আমার মনে হলো আমি নতুন কিছু শুনতেছি, আসলে তাই সেরকম ঈমানিয়াতের তথা সুন্নীয়তের বক্তব্য ইতি পূর্বে আমি শুনি নাই।
আমি সুন্নীয়তের সংজ্ঞা শুনে আমার মন মুগ্ধ হল।
ধীরে ধীরে আমি প্রোগ্রামে যেতে শুরু করেছি এবং সুন্নীয়তের দিশা দর্শন বুঝতে শুরু করছি যা আমি পূর্ববর্তী সময়ে বঝতাম না।
যখন ১ বছর পার হয়েছে তখন আমি আমাদের বাসায় প্রোগ্রাম করতে শুরু করছি।
কিন্তু চিন্তা করার বিষয় হলো:-
কোন দলমতকে এমন কঠিন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে কিনা জানি না কিন্তু সুন্নীয়তের পূর্ণাঙ্গ নির্ভেজাল সত্যের সঠিক দর্শন বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের যখন তুলে ধরতেছি তখন কোন ওহাবীবাদ ও মওদূদীবাদ এবং বিভিন্ন বাতেল ফেরকা বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পায়নি কারন তারা একাডেমিক যুদ্ধের মধ্যে ই পরাজিত।
যারা আমাদের আপন ইসলামী ফ্রন্ট ছাত্র সেনা আছে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনকে প্রতিনিয়ত মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।
আমার প্রশ্ন:- কেন তারা মিথ্যাচার করতেছে ? কারন একটাই তারা সংগঠনের চিন্তা করতেছে সুন্নীয়তের নয়।
এখন আমাদের কাজ চিরন্তন সুন্নীয়ত তবে সংগঠন কেন?
একমাত্র সুন্নীয়তকে রক্ষা করার লক্ষে সুন্নীয়তের পূর্নাঙ্গ দিশা দর্শন তুলে ধরে মুসলিম মিল্লাতকে বাতেল জালেম অপশক্তির কবল থেকে মুক্ত করার লক্ষে এবং সমস্ত মানব মন্ডলীকে নির্যাতন নিপিড়ন থেকে উদ্ধার করে মহান প্রিয়নবীর দেওয়া খেলাফতে ইনসানিয়াত তথা সার্বজনীন মনবিক রাষ্ট্র ও বিশ্ব ব্যবস্হার মাধ্যমে মানুষকে মুক্ত করার লক্ষেই সংগঠন সংস্হা সমিতি ইত্যাদি করতে হবে।
এখন আমার ছাত্রসেনার ভাইরা যুগের ইমামের মিথ্যাচার শুরু করেছে।
কেন জানেন??
* যাতে কোন ঈমানদার তার ঈমানী চেতনা ফিরে না পায় ।
* যাতে বস্তুকে জীবনের উপর স্হান দিয়ে বস্তুভিত্তিক তথা কালেমার বিপরীত চেতনা গঠন করে আত্না এবং জীবন পরিচালনা করে অন্ধকরে নিমজ্জিত হয় ।
* যাতে রহমত এলাহীর সাথে সমপর্ক বন্ধন না হয় ।
* যেটার মাধ্যমে খোদা তায়ালার সংযোগ বন্ধন না হয় ।
* যাতে বিভিন্ন বস্তুর দাসত্বে নিমজ্জিত হয় ।
* যাতে বদর ওহোদ কারবালার শিক্ষা চেতনার বিপরীতে আত্না জীবন গঠন হয় ।
ছাত্রসেনা ভাইদের মুল লক্ষ হলো:-
* বিশ্ব আন্দোলনের মাধ্যমে যাতে ঈমান বুজতে না পারে, ইনসানিয়াতের মাধ্যমে জীবন বুঝতে না পারে সে জন্য আমাদের আপনরাই সুন্নীয়তের এই মহা একাডেমিক আন্দোলনকে বাঁধা প্রদান করতেছে।
আপনারা সতর্ক হয়ে যান সুন্নীয়াতের আপনাদের আর আমাদের সকল সুন্নী দের ঐক্যবদ্ধ করার মাধ্যমেই আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহে রাহমার সঠিক নেতৃত্বে আমরা সুন্নীয়ত প্রতিষ্টা করবো এবং সমগ্র মানব মন্ডলীকে উদ্ধার করবো।
তাই মিথ্যাচার না করে শতভাগ প্রিয়নবীর প্রেমে উৎসর্গ হয়ে সত্য সুবিচার মানবতা অধিকার কায়েম করার লক্ষে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান করছি।
ধন্যবাদ ওয়াস সালাম।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For You Comment