Bappi Rahman ভাইয়ের লেখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার আহবান রইলো

খাজা বাবা গাউছেপাকের মিশনই হচ্ছে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন।


এক সমাজে প্রত্যেকেই মদ প্রাণ করতো, মদকেই তাদের বেঁচে থাকার উৎস হিসেবে গ্রহণ করেন, তাঁরা মদ ও পানির মধ্যে পার্থক্য করতে পারতো না, তাই তাঁরা মদকেই পানি মনে করে প্রাণ করতো।
সকালে ঘুম থেকে উঠার পর থেকে শুরু করে ঘুমানোর আগপর্যন্ত তাঁরা মদ নিয়েই থাকতো, এই ভাবে চলতে লাগলো........ ।

তো এক দিন শহরের এক বড় ডাক্তার বিষয়টি শুনলো, এবং তাদের (মদখোর) উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল, তাঁরাও (মদখোর) এক বিশাল মদপার্টির আয়োজন করলো।

ডাক্তার ও এসে পৌছলেন, সবাই ডাক্তারের দিকে লক্ষ্য করে বলে উঠলো আপনি নাকি আমাদের এক বড় শিক্ষা দিবেন,,, দেখি আপনার শিক্ষায়টা কি???

ডাক্তার বলল: আপনারা আমার জন্য দুটি গ্লাস নেন, একটি গ্লাসে পানি ও অন্যটিতে মদ নেন।
তাঁরা (মদখোর) সেইটাই করলো।

তখন ডাক্তার সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে বললেন, আজ আমি আপনাদের পানি ও মদের মধ্যে পার্থক্য শিক্ষা দেব। গ্লাস দুটি দুই পাশে রেখে বলল দেখুন সবাই, মদ ও পানির মধ্যে পার্থক্য,,,,,
আমার হাতে এখন দুটি কেচো আছে, তিনি একটি কেচো পানি গ্লাসে ছেড়ে দিলেন তখন কেচো টা গ্লাসের বাহিরে যাওয়ার জন্য নাড়া-চাড়া করতে লাগলো, দ্বিতীয় কেচোটি মদের গ্লাসে ছেড়ো দিল, সাথে সাথে দেখলো যে, কেচোটির অস্তিত্ব ধ্বংস হয়ে গেল, কেচোটি মদের সাথে মিশে গেল।

তখন ডাক্তার সবার উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করলো এর ধারা আপনারা কি শিখলেন,,,???
সবাই এক সাথে বলতে লাগলো আমরা শিখলাম যে, যদি আমরা নিয়মিত মদ প্রাণ করি তাহলে আমাদের পেটের মধ্যে কখনো কেচো জম্মাবেনা”””।

যখন দুনিয়াটা বস্তুবাদ নামক নাস্তিকতা, বাতেল ফেরকা, ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদ, চার দিক ছড়িয়ে গেল, সত্যকে -মিথ্যা হিসেবে, মূর্খতাকে -জ্ঞান হিসেবে, অন্ধকারতে -আলো হিসেবে মদকে -দুধ হিসেবে, প্রশ্রাবকে -পানি হিসেবে, পায়খানাকে -হালুয়া হিসেবে ব্যবহার শুরু করলো, শুধু তাই নয়, সত্যের নামে মিথ্যার আধিপত্ত্ব কায়েম হয়ে গেল, ইসলামের পূর্ণঙ্গ শিক্ষা চেতনা যখন চিনতাই হয়ে গেল কিংবা এক বাতেল চিনলে অন্য বাতেল চিনতে অক্ষমতা, আধ্যাত্মিকতা বুঝলে রাজনৈতিক দিক বুঝতে অক্ষমতা এবং অরাজনৈতিক গন্ডীর মধ্যে আবদ্ধ হয়ে বাতেলের কাছে রাজনৈতিক মাঠ ছেড়ে দেওয়া কিংবা কখনো আবার ভ্রান্ত রাজনীতির ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার হওয়া।

ঠিক সেই মুহুত্বেই সমস্ত আওলিয়া কেরামের রহমত ও দোয়ার বরকতে দুনিয়াতে আগমন করেন, শতাব্দির শ্রেষ্ঠ ইমাম, যুগের মুজাদ্দেদ, মুসলিম মিল্লাতের মহামান্য ইমাম -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা" । 

যিনি দুনিয়াতে এসে হক বাতেল চিনালেন, সমস্ত বাতেলের মুখোশ উম্মচন করে দিলেন, সর্ব বাতেলের সুস্পষ্ট্য সংজ্ঞা দিলেন, হকের ধারা কায়েম রাখার পথ নির্মান করে দিলেন। ভূল পথ নয় হকের পথ বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন দান করলেন। তখন কিছু পাগল উম্মাদ বুঝলো যে যদি তারা বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন তথা হকের পথে আসে তাহলে তাঁরা যে ইসলামের নামে প্রতারণা-ধান্ধাবাজী করে পেট চালাচ্ছে তা বন্ধ হয়ে যাবে। তাই তাঁরা বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও সার্বজনীন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থার দিকদর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব পার্টির আহবায়ক যুগের মহামান্য মহামান্য ইমাম, -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা" এর বিরুদ্ধেও অপপ্রচার চালাচ্ছে।

আসুন আমরা যদি হকের পূর্ণাঙ্গ ধারা দুনিয়াতে কায়েম রাখতে চাই তাহলে বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের বিকল্প কিছুই নেই। খাজা বাবা গাউছে পাকের মিশনই মুলত এই বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন।

আসুন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়েই বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাই।

লেখেছেন - Bappi Rahman

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাহাবী একটি বৈশিষ্ট্য, সাহাবী একটি চরিত্র, সাহাবী একটি আদর্শ, সাহাবী মানে উৎসর্গ, সাহাবী মানে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত! লেখক- আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিশার আলোকে- আল্লামা মুফতি রেজাউল মোস্তফা কায়সার

প্রিয়নবীর সম্পর্কের চেয়ে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান অপরিহার্য্য অন্য কোন সম্পর্কই নয় -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা"

(দলিল) নবী রাসূল আলাইহিস সাল্লাম গন সহ আল্লাহর ওলী গন চিরন্তন জীবিত ।