মানুষের স্বাধীনতা মূলত কিসে আসে ? অধ্যাপক মারুফ উদ্দিন"
মানুষের স্বাধীনতা মূলত কিসে?
▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄
স্বাধীনতার অনেক রুপ রয়েছে। আপনি দীনতা থেকে মুক্ত হলেন, এটা এক প্রকারের স্বাধীনতা। আপনি অশিক্ষা থেকে মুক্ত হলেন, তাও এক প্রকারের স্বাধীনতা। কিন্তু এগুলোর কোনটিই আবার মূল স্বাধীনতা নয়। মানুষের মূল স্বাধীনতা হল তার জীবনের স্বাধীনতা৷ অর্থাৎ, মানুষ বস্তুর দাসত্ব পরাধীনতামুক্ত স্বাধীন সত্তায় নিজ পছন্দমত ধর্ম-দর্শন-মতাদর্শ-জীবন চেতনা-জাতীয়তা নিয়ে শংকামুক্ত অবস্থায় চলবে। সে কি বিশ্বাস করবে বা কি করবে না, সে কোন্ পথে চলবে বা কোন্ পথে চলবে না এটা তার ইনবর্ন স্বাধীনতা।
এখন অন্য কেউ যদি গায়ের জোরে কিংবা অন্য কোন ক্ষমতাবলে তাতে ব্যাঘাত ঘটায় বা নিষিদ্ধ করে দেয় তবে সেটা অবৈধ অন্যায় হিসেবেই সাব্যস্ত হবে। এক কথায় বলা যায় কেউ কারো ইচ্ছাবিরুদ্ধ কোন মতবাদ মানতে বাধ্য করতে পারে না, যদি তা করে তবে সে আর মানুষ থাকে না। কেননা মানুষ মাত্রই মানবিকতার ধারক। বৈশিষ্ট্য গুণাগুণ হারিয়ে ফেললে যেমন কোন কিছুকে আর বিশুদ্ধ বলা যায় না তেমনি মানবিক দৃষ্টি-মানবিক গুণাবলি-জীবনের সত্য হারিয়ে বস্তুবাদী হয়ে গেলে তাকে আর মানুষ বলা যায় না।
স্বাধীনতার এই সংজ্ঞা বুঝলে এবার আপনি পরখ করে দেখুন আপনি স্বাধীন কিনা? আপনি আপনার ধর্ম বিশ্বাস আদর্শ মতপথ নিয়ে স্বাধীনভাবে স্রষ্টার সৃষ্টি বর্ডারমুক্ত দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদের অভিশপ্ত বর্ডারের বাধার মুখে চলতে পারছেন কিনা? কিসে আপনাকে আপনার নাগরিক অধিকার তথা জীবনের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে? স্রষ্টা যেখানে আপনাকে আমাকে সমগ্র মানবমন্ডলীকে স্বাধীন সত্তায় চলার রহমত দান করেছেন তার ব্যত্যয় কারা ঘটালো? এটা স্রষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া নয় কি?
মুলুকিয়ত তথা বস্তুবাদী মতবাদের একক গোষ্ঠীবাদি স্বৈরদস্যুতার অপরাজনীতি এবং ধর্মের ছদ্মনামে অধর্ম উগ্রবাদী অপরাজনীতি মূলত স্রষ্টাবিরোধী জীবনবিরোধী অপরাজনীতির প্রবর্তনা ঘটিয়ে এভাবেই জীবনকে পরাধীন করে রাখে। দুনিয়ায় অসংখ্য বর্ডার এই অপরাজনীতির দাস দোসরদেরই অবৈধ হাতিয়ার৷ মানবতার পক্ষশক্তি যেন কখনোই ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে এবং এদের স্বৈরতাকে যেন উৎখাত করতে না পারে তার জন্যই এরা বস্তুবাদী জাতীয়তাবাদের অপরাজনীতির অবলম্বনে বর্ডারের মাধ্যমে অখণ্ড মানবতাকে খণ্ড বিখণ্ড করে রেখেছে। সীমারেখার বর্ডার এখন আর সীমারেখায় গণ্ডিবদ্ধ নেই, মানুষের চিন্তা চেতনায় মন মগজে তা এখন বিমূর্ত প্রক্রিয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে আছে। আপন পরের মানদণ্ড এখন বিষাক্ত জাতীয়তাবাদ নির্ধারন করে দিচ্ছে।
এভাবে কি জীবনের স্বাধীনতা আসে? কখনোই না। জীবনের উপর বস্তুবাদের এই ভয়াবহ আগ্রাসন সহসাই রুখে দেওয়া সম্ভব। শুধু আপনাকে আমাকে সকলকে মানুষ হিসেবে নিজেকে স্বরুপে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা মানুষ, আমাদের জীবন বস্তুর উর্ধে, স্রষ্টার এই দুনিয়া সবার-সব মানুষের, এই দিশা আলোকময় সত্যে আমাদেরকে মিশে যেতে হবে। তবেই বস্তুবাদের মৃত্যু, জীবন বিরোধী জাতীয়তাবাদের মৃত্যু, অভিশপ্ত বর্ডারের মৃত্যু, অন্যায় অবিচার জুলুম শোষণের প্রজননক্ষেত্র বস্তুবাদী স্বৈরদস্যুতার অপরাজনীতির মৃত্যু ঘটবে।
জীবন সত্যের এই দিশা যিনি আমাদেরকে দান করেছেন তিনি হলেন মানবতার প্রকৃত মুক্তিকামী বন্ধু #আল্লামা_ইমাম_হায়াত। দয়াময় আল্লাহতাআলা এবং প্রাণাধিক রাহমাতাল্লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রহমতের মুক্ত স্বাধীন দুনিয়া পুনরায় গড়ে তুলতে আল্লামা ইমাম হায়াত মানবতাভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও দিশা মুক্তির উপায় বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তনা ঘটিয়েছেন।
আসুন আমরা সব মানুষেরা বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবে যুক্ত হয়ে স্বাধীন জীবনের প্রত্যাশায় জীবনের বিপ্লব ঘটাই।
▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄
স্বাধীনতার অনেক রুপ রয়েছে। আপনি দীনতা থেকে মুক্ত হলেন, এটা এক প্রকারের স্বাধীনতা। আপনি অশিক্ষা থেকে মুক্ত হলেন, তাও এক প্রকারের স্বাধীনতা। কিন্তু এগুলোর কোনটিই আবার মূল স্বাধীনতা নয়। মানুষের মূল স্বাধীনতা হল তার জীবনের স্বাধীনতা৷ অর্থাৎ, মানুষ বস্তুর দাসত্ব পরাধীনতামুক্ত স্বাধীন সত্তায় নিজ পছন্দমত ধর্ম-দর্শন-মতাদর্শ-জীবন চেতনা-জাতীয়তা নিয়ে শংকামুক্ত অবস্থায় চলবে। সে কি বিশ্বাস করবে বা কি করবে না, সে কোন্ পথে চলবে বা কোন্ পথে চলবে না এটা তার ইনবর্ন স্বাধীনতা।
এখন অন্য কেউ যদি গায়ের জোরে কিংবা অন্য কোন ক্ষমতাবলে তাতে ব্যাঘাত ঘটায় বা নিষিদ্ধ করে দেয় তবে সেটা অবৈধ অন্যায় হিসেবেই সাব্যস্ত হবে। এক কথায় বলা যায় কেউ কারো ইচ্ছাবিরুদ্ধ কোন মতবাদ মানতে বাধ্য করতে পারে না, যদি তা করে তবে সে আর মানুষ থাকে না। কেননা মানুষ মাত্রই মানবিকতার ধারক। বৈশিষ্ট্য গুণাগুণ হারিয়ে ফেললে যেমন কোন কিছুকে আর বিশুদ্ধ বলা যায় না তেমনি মানবিক দৃষ্টি-মানবিক গুণাবলি-জীবনের সত্য হারিয়ে বস্তুবাদী হয়ে গেলে তাকে আর মানুষ বলা যায় না।
স্বাধীনতার এই সংজ্ঞা বুঝলে এবার আপনি পরখ করে দেখুন আপনি স্বাধীন কিনা? আপনি আপনার ধর্ম বিশ্বাস আদর্শ মতপথ নিয়ে স্বাধীনভাবে স্রষ্টার সৃষ্টি বর্ডারমুক্ত দুনিয়ায় জাতীয়তাবাদের অভিশপ্ত বর্ডারের বাধার মুখে চলতে পারছেন কিনা? কিসে আপনাকে আপনার নাগরিক অধিকার তথা জীবনের স্বাধীনতাকে কেড়ে নিয়েছে? স্রষ্টা যেখানে আপনাকে আমাকে সমগ্র মানবমন্ডলীকে স্বাধীন সত্তায় চলার রহমত দান করেছেন তার ব্যত্যয় কারা ঘটালো? এটা স্রষ্টার বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া নয় কি?
মুলুকিয়ত তথা বস্তুবাদী মতবাদের একক গোষ্ঠীবাদি স্বৈরদস্যুতার অপরাজনীতি এবং ধর্মের ছদ্মনামে অধর্ম উগ্রবাদী অপরাজনীতি মূলত স্রষ্টাবিরোধী জীবনবিরোধী অপরাজনীতির প্রবর্তনা ঘটিয়ে এভাবেই জীবনকে পরাধীন করে রাখে। দুনিয়ায় অসংখ্য বর্ডার এই অপরাজনীতির দাস দোসরদেরই অবৈধ হাতিয়ার৷ মানবতার পক্ষশক্তি যেন কখনোই ঐক্যবদ্ধ হতে না পারে এবং এদের স্বৈরতাকে যেন উৎখাত করতে না পারে তার জন্যই এরা বস্তুবাদী জাতীয়তাবাদের অপরাজনীতির অবলম্বনে বর্ডারের মাধ্যমে অখণ্ড মানবতাকে খণ্ড বিখণ্ড করে রেখেছে। সীমারেখার বর্ডার এখন আর সীমারেখায় গণ্ডিবদ্ধ নেই, মানুষের চিন্তা চেতনায় মন মগজে তা এখন বিমূর্ত প্রক্রিয়ায় আচ্ছাদিত হয়ে আছে। আপন পরের মানদণ্ড এখন বিষাক্ত জাতীয়তাবাদ নির্ধারন করে দিচ্ছে।
এভাবে কি জীবনের স্বাধীনতা আসে? কখনোই না। জীবনের উপর বস্তুবাদের এই ভয়াবহ আগ্রাসন সহসাই রুখে দেওয়া সম্ভব। শুধু আপনাকে আমাকে সকলকে মানুষ হিসেবে নিজেকে স্বরুপে ফিরিয়ে আনতে হবে। আমরা মানুষ, আমাদের জীবন বস্তুর উর্ধে, স্রষ্টার এই দুনিয়া সবার-সব মানুষের, এই দিশা আলোকময় সত্যে আমাদেরকে মিশে যেতে হবে। তবেই বস্তুবাদের মৃত্যু, জীবন বিরোধী জাতীয়তাবাদের মৃত্যু, অভিশপ্ত বর্ডারের মৃত্যু, অন্যায় অবিচার জুলুম শোষণের প্রজননক্ষেত্র বস্তুবাদী স্বৈরদস্যুতার অপরাজনীতির মৃত্যু ঘটবে।
জীবন সত্যের এই দিশা যিনি আমাদেরকে দান করেছেন তিনি হলেন মানবতার প্রকৃত মুক্তিকামী বন্ধু #আল্লামা_ইমাম_হায়াত। দয়াময় আল্লাহতাআলা এবং প্রাণাধিক রাহমাতাল্লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর রহমতের মুক্ত স্বাধীন দুনিয়া পুনরায় গড়ে তুলতে আল্লামা ইমাম হায়াত মানবতাভিত্তিক রাজনৈতিক দল ও দিশা মুক্তির উপায় বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তনা ঘটিয়েছেন।
আসুন আমরা সব মানুষেরা বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবে যুক্ত হয়ে স্বাধীন জীবনের প্রত্যাশায় জীবনের বিপ্লব ঘটাই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For You Comment