শিয়া কাকে বলে? শিয়াদের জঘন্য কুফরি আকিদা কি? শিয়াবাদ কিভাবে টিকে থাকে।
শিয়া কাকে বলে?
👉শিয়াবাদ ইসলামের ছদ্মনামে একটি ভ্রষ্ট বাতিল ফেরকা। যারা ধোকা হিসেবে মাওলায়ে আলা হযরত আলী রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহুর নামে প্রতারনা করে মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহুর চরম বিরোধীতা করে তাদের শিয়া বলে।
ইসলামের বিরুদ্ধে ইহুদীদের এক সুদুরপ্রসারী চক্রান্তের ফসল হচ্ছে এ দলটির আত্মপ্রকাশ । প্রাণপ্রিয় অাহলে বায়েতের মহব্বতের আড়ালে মাহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন ও মকবুল সাহাবায়ে কেরামে রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহুমের প্রতি জগন্য ও ঈমান বিধ্বংসী শক্রতা পোষণের মারাত্মক কুফরীর প্রবর্তক হচ্ছে শিয়া ফেরকার লোকেরা। এদের মধ্যে ২২ টি দল আছে । যাদের মৌলিক আক্বিদা এক যৎসামান্য পার্থক্য আছে ।
অনেকে মনে করেন মুসলমান ২ ধরনের সুন্নী ও শিয়া । মূলত শিয়ারা মুসলিম নয়। তা তাদের অসংখ্য কুফরী আক্বিদায় প্রমান করে।
পবিত্র কলেমা শরীফ সম্পর্কে শিয়াদের কুফরী আক্বিদা :
আমাদের ঈমান পবিত্র কলেমা এবং শিয়াদের উচ্চারিত আওয়াজ ভিন্ন ।অধিকাংশ ক্ষেত্রে বাতেল সালাফিদের মত কলেমা শরীফের তাওহীদের অংশটুকু উল্লেখ করে ঈমানের মূলকেন্দ্র রেসালতের অংশটুকু লেখা এবং বলায় উল্লেখ করে না ।
শিয়াদের সংশ্লিষ্ট কুফরী আক্বীদাগুলো হলো :
১। বর্তমান কোরআন শরীফ অসম্পূর্ন।”
(উসুল কাফী, ইবনে ইয়াকুব আল কুলাইনী – ১ম খন্ড, ২২৮ পৃষ্টা )
২। হযরত সিদ্দিকে আকবর রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহু কুরআন শরীফ সংরক্ষনের বাধা দিয়ে দিয়েছিলেন ।
(কাশফুল আসরার, ১১১ পৃষ্টা)
৩। প্রকৃত কোরআন শরীফ হযরত ইমাম মাহাদী আলাইহি সালাম উনার নিকট আছে।”
(উসুল কাফী, ইবনে ইয়াকুব আল কুলাইনী – ২ম খন্ড, ৬৩২পৃষ্টা )
৪। হযরত ইমাম মাহাদী আলাইহি সালাম সকল সুন্নী আলেমদের হত্যা করবেন । ”
(হক্ব-উল-ইয়াকিন, ৫২৭পৃষ্টা)
৫। হযরত সিদ্দিকে আকবর রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহু এবং হযরত ফারুকর আজম রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহু শয়তানের অনুসারী ছিলেন । #নাইজুবিল্লাহ
(মকবুল হুসাইন দেহলভী, ৬৭৪ পৃষ্টা)
৬। হযরত সিদ্দিকে আকবর রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহু ও হযরত ফারুকে আজম রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহু কাফির (#নাউজুবিল্লাহ) এবং যারা তাদেরকে ওলী হিসেবে গ্রহন করবে তারাও কাফির । (#নাইজুবিল্লাহ)
(বেহারুল আনওয়ার, আল মাজলেসী – ২৯ খন্ড ১৩৭-১৩৮ পৃষ্টা)
৭। হযরত সিদ্দিকে আকবর রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহু বিছাল শরীফ এর সময় কলেমা শরীফ পাঠ করতে পারেন নি।
(ইছরার-এ-মুহম্মদ, ২১১ পৃষ্টা)
৮।বাতিল ওয়াবিদের মত তারাও বলে, মহান আল্লাহ তায়ালা তিনি মিথ্যা বলার ক্ষমতা রাখেন (#নাইজুবিল্লাহ) ।
(উসূল কাফী, ইবনে ইয়াকুব আল কুলানী, – ১ম খন্ড, ১৪৮ পৃষ্টা)
৯।শিয়াদের অধিকংশ মুহাদ্দিস বিশ্বাস করে যে, কোরআন শরীফ এ অনেক পরিবর্তন করা হয়েছে ।”
(উসুল কাফী, ইবনে ইয়াকুব আল কুলাইনী – ১ম খন্ড – ২৪৮ পৃষ্টা)
১০। আউসিয়া তথা ওসীয়তকৃত ব্যক্তিবর্গ ব্যতীত কেউ দাবী করতে পারবে না যে, প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য সম্পূর্ন কোরআন শরীফ তার নিকট রয়েছে।”
(উসুলুল কাফী, ইবনে ইয়াকুব আল কুলাইনী- ২য় খন্ড -৬৩৪ পৃষ্টা)
শিয়াবাদ ইসলামের ছদ্মনামে ঈমান বিনাশী বাতিল মতবাদ, কিন্তু সাধারন মানুষের ইসলামের প্রতি আন্তরিক অনেকেই আছেন যারা শিয়া মতবাদের গোমরাহী সম্পর্কে অজ্ঞ, যাদেরকে প্রাণপ্রিয় আহলে বায়েত রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহুমের পথ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের বিপরীতে পরিচালিত করা হচ্ছে । প্রাণপ্রিয় আহলে বায়েত রাদ্বিআল্লাহ তায়ালা আনহুম ঈমানের পবিত্র কলেমা রাষ্ট্রীয় রূপরেখা খেলাফত কায়েমের জন্য শাহাদাত বরণ করেন আর অপর দিকে শিয়াবাদ তা উৎখাত করে মুলুকিয়াত (অন্যদের জীবন মতপথ অাদর্শ অস্বীকার ও উৎখাত করে জবরদস্তি একক গোষ্ঠীবাদি স্বৈরদস্যুরাষ্ট্র) কায়েম করে।
শিয়াবাদ আল্লাহতায়ালার হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে জাতে পাকের নূর মোবারক হিসেবে ঈমান রাখে না বরং অস্বীকার করে, শাণে রেসালতে ঈমানের মৌলিক সিফাত হাজের নাজের, এমলে গায়েব, হায়াতুন্নবী অস্বীকার করে।
শিয়াবাদ ১০ ই মহররম আশুরার নামে প্রতারনা করে মানুষকে ধোকা দিয়ে নিজেদের টিকিয়ে রাখে।
আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা আমাদের ঈমানী অস্তিত্বের স্মারক এই দিবসকে মুসলিম মিল্লাতের ও সমগ্র মানবতার মহান শহীদ দিবস ঘোষনা ও এ মহান শাহাদাতের লক্ষ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের কর্মসূচী ঘোষনার মাধ্যমে এ মহান দিবসকে শিয়াদের কবল থেকে উদ্ধার করেছেন এবং এ দিবসকে নিয়ে শিয়াবাদের অসৎ চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছে।
১৯৭৯ সালে ইরানের শিয়া বিপ্লবের মাধ্যমে শিয়াবাদ বাতেল ফারকে আমাদের মাহামন্য খোলাফায়ে রাশেদীনের দেওয়া আহলে সুন্নাতে মানবিক রাজনৈতিক ব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াত এর বিপরীত ইসলামিক রিপাবলিক এর নামে প্রতারনা করে শিয়া মুলুকিয়াত প্রতিষ্টা করে, যার প্রতিবাদে, আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা নেতৃত্বে ঢাকায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ করা হয় । এবং শিয়াবাদি স্বৈরতন্ত্রকে ইসলামের রাষ্ট্রব্যবস্থা হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়ার জন্য পরারাষ্ট্র মন্ত্রনালায় ও অন্যান্য দুতাবাসে স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এখনো ইরানে শিয়া মুলুকিয়াত প্রতিষ্টা দিবস ১১ ই ফেব্রুয়ারী বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের উদ্যােগে সারা পৃথিবীতে শিয়াবাদ প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করা হয় ।
#অনুমোদনে :
#আল্লামা_ইমাম_হায়াত_আলাইহি_রাহমা
(বস্তর উর্ধ্বে মানবসত্তার প্রবক্তা ও বিশ্ব সুন্নী আন্দোলনের প্রতিষ্টাতা এবং বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক)
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For You Comment