সৈয়দ আল্লামা ইমাম হায়াত হক, সুন্নী আন্দোলন হক
===================================
এক ব্যবসায়ী মদের কারখানা দিল। লক্ষ লক্ষ মদের বোতল সেখান থেকে বিভিন্ন জায়গায় সাপ্লাই দেওয়া হয়। ঘটনা হল সেই ব্যবসায়ী মদের বোতলের গায়ে লিখে দিল হালাল মদ! নাউজুবিল্লাহ। তো অনেকেই সেই মদ খুশিতে গদগদ হয়ে পান করতে লাগল। কারণ, যেহেতু মদের বোতলের গায়ে হালাল লেখা আছে তাই তাদের মতে এই মদ পান করতে কোন অসুবিধা নাই। এসব দেখে একজন ব্যক্তি তাদের ভুল ধরিয়ে দিতে চাইলেন। তিনি তাদেরকে বুঝালেন মদের গায়ে হালাল লেখা থাকলেই তা হালাল হয়ে যায় না। ভেতরের জিনিস হারাম পানীয়, তাই এটা পান করা হারাম।
অবস্থা বেগতিক দেখে মদ ব্যবসায়ী আম জনতাকে উষ্কে দিল। আওয়াজ একজন তুললেও সেটা একদিন সবাইকে সজাগ করে দিতে পারে এই আশঙ্কায় মদ ব্যবসায়ী ফন্দি আঁটল। সে তার ক্লায়েন্টদেরকে ডেকে বুঝাল যে ঐ ব্যক্তি হালালের বিরুদ্ধে, হালাল লেখা দেখেও তা পান করতে নিষেধ করছে, তাকে শেষ করে দেওয়া দরকার। মদের নেশায় বুদ জনতা লাঠিসোটা নিয়ে ভুল ধরিয়ে দিতে চাওয়া ব্যক্তিটাকে পিটিয়ে মেরেই ফেলল। মদ ব্যবসায়ী মহাখুশিতে তার মদ এবার কোটি কোটি বোতলে করে বেচতে লাগল। অনেক বছর পর মদ্যপ সবাই জটিল জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে মরতে লাগল। মদ ব্যবসায়ী কাস্টোমার কমে যাওয়ায় ব্যবসা গুটিয়ে অন্যত্র চলে গেল। আর তা দেখে গুটিকয়েক মৃত্যুশয্যায় হুঁশ ফিরে পেয়ে হা হুতাশ করতে করতে পটল তুলল।
প্রিয় পাঠক, এই মদ ব্যবসায়ীকে কি চিনতে পেরেছেন? এই মদ ব্যবসায়ী হল যুগ যুগ ধরে ইসলামের নামে ধান্দাবাজির দোকান চালানেওয়ালা মোয়াবিয়াবাদী পেশাদার মোল্লাতন্ত্র। আর হুঁশহারা মদ্যপ কাস্টমার হল পেশাদার মোল্লাতন্ত্রের খপ্পরে পড়া বোধহীন অনুসারীরা। এই শয়তান মোল্লারা যাই বলে তাতেই এরা মারহাবা মারহাবা করে! মোয়াবিয়াবাদী খারেজীতন্ত্রের গায়ে ইসলামের লেবেল লাগিয়ে এরা এদের বাণিজ্য চালায়। ওয়াজের নাম দিয়ে মোটা অংকের দরকষাকষিকে এরা আবার ফরজ বলে অবৈধ ফতোয়াবাজি করে। এসব শয়তানগুলোর কুপ্রভাব থেকে মুক্ত থাকার দয়াময় আল্লাহতাআলা কোরআনুল করীমে সূরা ইয়াসীন এর ২১ আয়াত শরীফে ইরশাদ করেন,
اتَّبِعُوۡا مَنۡ لَّا يَسۡــٴَــلُكُمۡ اَجۡرًا وَّهُمۡ مُّهۡتَدُوۡنَ
এই পেশাদার মোলাতন্ত্রই কিন্তু যুগে যুগে হকের জামাতে মোনাফেকের চরিত্র ধারণ করে মিশে ছিল। কিন্তু এদের মোনাফেকির চরিত্র কখনো গুপ্ত থাকেনা উন্মোচিত হয়ে যায়। এরও কারণ আছে। দয়াময় আল্লাহতাআলা হকের সাথে বাতিলকে থাকার সুযোগ দেন না। লা তালবিসুল হাক্কা বিল বাতিল। তাই মোনাফেকের মোনাফেকি ধরা পড়ে যায় আজ না হয় কাল।
ঈমানের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে ঈমান দ্বীনের বিরুদ্ধে ছুরি চালানো মোনাফেকদের চিরায়ত স্বভাব। এই পেশাদার মোল্লাতন্ত্রের অন্তর যে অপবিত্র তা তাদের সময়ে সময়ে বিপরীতমুখীতার চিত্র দেখলেই বুঝতে পারা যায়।
এই যেমন ধরুন, আজহার থেকে এক জাহেল মোল্লা সার্টিফিকেট নিয়ে ওয়াজের নামে ব্যবসায় নেমে মাওলায়ে আলা রাদিআল্লাহু আনহুর শানে মদ পানের তোহমতকারীর বিরুদ্ধে কাফের মোনাফেক ফতোয়া প্রসব করে পরক্ষণে সেই ফতোয়ায় নিজের বাপকে কাফের হয়ে যেতে দেখে মাওলায়ে আলা রাদিআল্লাহু আনহুকে উল্টো নিজেই মদপানের তোহমত দিল। নাউজুবিল্লাহ। আসলে এদের সবকিছুই বাণিজ্যিক। ভেতরটা ইবলিশের মলমূত্রাদি দিয়ে বেষ্টিত।
এভাবে একজন নয় অসংখ্য পেশাদার মোল্লা আছে যারা কিনা জিন্দা চাক্ষুস ইবলিশ হয়ে ইসলামের লেবাশ ধারণ করে আছে। এরা কেশের সাইজ দেখে আলেম নির্ণয় করে, এরা টাকার বান্ডিল দেখে ইসলাম নামে ফতোয়া কেনাবেচার নিলাম ডাকে, এদের কাছে মোয়াবিয়া এজিদ রেজাখান গং পূজনীয় এবং হকের মূলধারা বর্জনীয়। নাউজুবিল্লাহ।
সতর্ক হউন এবং নিজের ঈমানী অস্তিত্ব রক্ষা করুন।
প্রাণাধিক প্রিয়নবী রাহমাতাল্লিল আলামিন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দান সত্য ও মানবতার ইসলাম, মহামহিম পবিত্র আহলে বায়েত রাদিআল্লাহু আনহুমের রক্তভেজা আমানতের প্রকৃত ইসলাম, মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন রাদিআল্লাহু আনহুমের শাহাদাতের বিনিময়ে খেলাফতের ইসলাম, মহান মকবুল সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু আনহুমের অসীম ত্যাগ তিতিক্ষার ইসলাম, হকের ইমামবৃন্দের স্বীয় জীবন কোরবানীর বিনিময়ে পাওয়া ইসলাম, মহান জামে আওলিয়াকেরামের ত্যাগ সাধনার ইসলাম এ যুগে হকের মহামান্য ইমাম, সত্য ও মানবতার মুক্তিদূত #সৈয়দ_আল্লামা_ইমাম_হায়াত আমাদের মাঝে দান করেছেন। হকের ইমাম যে দিশা দান করেছেন তা অবশ্যই অবশ্যই প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দানকৃত এলেম। হকের ইমামের দিশার বাইরে ইসলাম খুঁজে পেলে তা প্রমাণ করুন। মদ ব্যবসায়ীর মত এবং মদ ব্যবসায়ীর মদ্যপ কাস্টোমারের মত আচরণ দেখিয়ে লাভ নেই। সুন্নী আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ সুন্নী জনতা সুন্নীয়তের নামে কোন বিকৃত অপব্যাখ্যাকে চালিয়ে দিতে দিবে না।
____________
মারুফ উদ্দিন
বিশ্ব সুন্নী আন্দোলন-World sunni movement
0 মন্তব্যসমূহ
Thanks For You Comment