”হক কে বাতেলের সাথে মিলিত করিও না, জানা সত্ত্বে সত্য গোপন করিওনা।” সুরা বাকারাঃ আয়াত শরীফ ৪২



দয়াময় আল্লাহতাআলার নির্দেশ-

وَلَا تَلْبِسُوا الْحَقَّ بِالْبَاطِلِ وَتَكْتُمُوا الْحَقَّ وَأَنتُمْ تَعْلَمُونَ
(سورة البقرة. الاية ٤٢)

”হক কে বাতেলের সাথে মিলিত করিও না, জানা সত্ত্বে সত্য গোপন করিওনা।” সুরা বাকারাঃ আয়াত শরীফ ৪২

এখানে হক ও বাতিলের ধারা আলাদা করে প্রকাশ করে তুলে ধরতে বলা হয়েছে, গোপন করতে নিষেধ করা হয়েছে, হক ও বাতিলের ধারা গোপন করলে হকের নামে বাতিলের ধারা কায়েম হয়ে হকের ধারা বিলুপ্ত হয়ে অন্ধকারে সবকিছু হারিয়ে যায় এবং গেছে।
================

দয়াময় আল্লাহতায়ালার নির্দেশ মোতাবেক আমাদেরকে অবশ্যই হকের নির্ভেজাল পবিত্র পথেই থাকতে হবে এবং কোন বাতিল দলমতে একাকার হওয়া যাবে না।

বাতিল দলমতের অংশ হওয়া বৈধ মনে করলে আল্লাহতায়ালার পবিত্র নির্দেশ অস্বীকার ও অগ্রাহ্য করা হয়। যারা দ্বীনের নামে কোন প্রকার বাতিল দলমতের সাথে একাত্ম হবে তাদের হক তথা সুন্নী বা আহলে সুন্নাত দাবী মিথ্যা। তাদের সহযোগী হওয়া ঈমান হানিকর দ্বীন ধ্বংসাত্মক।  

সব কিছুর উপর ঈমান, বাহ্যিক অন্য কোন বিষয় নয়, ইসলামের মূল ধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নিরিখে বাহ্যিক অন্য কোন বিষয়ের ভিত্তিতে নয়, একমাত্র ঈমানের ভিত্তিতেই আমরা নিজেদের প্রকৃত মুসলিম তথা সুন্নী দাবী করতে পারি।

ঈমানের অপরিহার্য শর্ত তাওহীদ রেসালাতের খেলাফ সব বাতিল মতপথ থেকে মুক্ত হয়ে আল্লাহতায়ালার উদ্দেশ্যে একমাত্র প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হয়ে যাওয়া। 

রোজার শর্ত যেমন ঈমানের পর পানাহার থেকে মুক্ত হওয়া, পবিত্রতার শর্ত যেমন অপবিত্রতা থেকে মুক্ত হওয়া, তেমনি ঈমানের মৌলিক শর্ত কূফর থেকে মুক্ত হওয়া। ঈমান নিয়ে বাঁচতে হলে ঈমান নিয়ে আখেরাতে যেতে হলে সব বাতিল থেকে মুক্ত থেকে একমাত্র হকের মধ্যে থাকতে হবে, একমাত্র হককে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে তথা একমাত্র প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হয়ে যেতে হবে।

ইসলামের ছদ্মনামে যেমন ঈমান পরিপন্থী বাতিল ফেরকা আছে এবং কাজ করছে তেমনি বস্তুবাদি মতবাদও ঈমান দ্বীনের সম্পূর্ণ বিপরীত। বাতিল ফেরকার অন্তর্গত হয়ে যেমন সুন্নী তথা ঈমানদার দাবী করা যায় না তেমনি বস্তুবাদি মতবাদ অনুসারী হয়েও সুন্নী তথা প্রকৃত মুসলিম দাবী করা যায় না।

বস্তুবাদি মতবাদের উৎস ও গন্তব্য নাস্তিকতা মাত্র। বস্তুবাদি মতবাদ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মুখোশে জীবন, সমাজ ও রাষ্ট্র দখল করে ঈমান-দ্বীন-মানবতা উৎখাত করে যাচ্ছে।

প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লাম কেন্দ্রিক ঈমানী জাতীয়তা হরণ উৎখাত করে বস্তুবাদি জাতীয়তার মাধ্যমে আত্মা ও জীবনে নাস্তিক্যবাদি বিষ ডুকিয়ে ঈমানের পবিত্র কলেমার জীবন চেতনা থেকে বিচ্ছিন্ন ও বিপরীতে নিয়ে যাওয়া এবং মিল্লাত ও মানবতাকে বিভক্ত খন্ড বিখন্ড করে বস্তুবাদি চেতনায় পারস্পরিক বিদ্বেষ সংঘাতে লিপ্ত করে দেয়ার মাধ্যমেই বস্তুবাদ তার ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা শুরু করে, টিকে থাকে।

আমরা যারা দ্বীনের প্রকৃত ধারার অনুসারী তথা সুন্নী দাবী করি তাদের অবশ্যই সব বাতিল থেকে শুধু মুক্ত নয় সব বাতিলের বিরুদ্ধে সক্রিয় থাকতে হবে এবং ইসলামের পূর্ণাংগতায় অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে। আধ্যাত্মিক বা রাজনৈতিক কোন দিক থেকেই কোন বাতিল জালেম অপশক্তির দোসর হওয়া যাবেনা।

সুন্নী দাবীর মধ্য দিয়ে প্রাণপ্রিয় মহামহিম পবিত্র আহলে বায়েত, মহামান্য খোলাফায়ে রাশেদীন, মকবুল সাহাবায়ে কেরাম, সত্যের ইমামবৃন্দ, মহান শোহাদায়ে কেরাম ও মহান জামিয়ে আওলিয়া কেরামের অনুসারী দাবী করা হয়; যাঁরা কেবলমাত্র সত্য ও মানবতার ধারক ও প্রতিষ্ঠাতা এবং  মিথ্যা ও জুলুমের বিরুদ্ধে চির আপোষহীন, বাতিল জালিম অপশক্তি থেকে উদ্ধারকারী। কোন প্রকার বাতিল জালিম অপশক্তির দোসর হলে ঈমানের পবিত্র কলেমা, দ্বীন ও তাঁদের সবার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়; নিজেরও দোজাহানের অপূরণীয় ক্ষতি করা হয়।

আমরা সুন্নী ভাইবোনদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে, আধ্যাত্মিক রাজনৈতিক সব দিকে আমাদের নিজেদের পথ আছে এবং আমাদেরকে কেবল নিজেদের বিশুদ্ধ পবিত্র পথেই চলতে হবে, অন্যদের পথে নয়। নিজেদের সত্য ও মুক্তির পথ ছেড়ে বাতিল জালেম অপশক্তির পথে চলা নিজেদের জন্য দোজাহানে যেমন বিনাশী তেমনি দ্বীন-মিল্লাতের জন্যও ধ্বংসাত্মক।

মিল্লাতের মহান জাতীয় শহীদ দিবস শাহাদাতে কারবালার অলংঘনীয় শিক্ষা ঈমানের পবিত্র কলেমার জীবন চেতনা ও মানবতার মুক্তি সাধনায় একমাত্র দিকদর্শন নিজেদের পবিত্র পূর্ণাংগ পথ ছেড়ে বাতিল ফেরকা ও বস্তুবাদি মতবাদের ফাঁদ পাতা বিণাশী পথে মতে চলায় আজ আমাদের দ্বীনের প্রকৃতধারা যেমন উৎখাত হয়ে গেছে তেমনি সমগ্র মানবতাও বাতিল জালিম অপশক্তির কবলে অবরূদ্ধ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থা সত্য ও মানবতার বিরুদ্ধ বিপরীত প্রতিবন্ধক করে তোলা হয়েছে।

খেলাফত হক এবং মুলুকিয়ত বাতিল। মুলুকিয়ত উৎখাত করে খেলাফত কায়েম ই দ্বীনের রূপরেখা কায়েম। সব বাতিল জালিম অপশক্তির স্বৈরদস্যুতা উৎখাত করে কলেমা প্রদত্ত খেলাফতে ইনসানিয়াত (representative authority of life & humanity beyond any discrimination, flow of truth & wealth, structure of right & freedom, state and world of peace-safety & universal humanity under light of divine values; given by beloved holy Rasul, the source of all blessing-love-humanity) কায়েম ই দ্বীন মিল্লাত মানবতার স্বাধীনতা ও মুক্তির উপায়।

নিরব থাকা একটি ধোকা, মুলুকিয়ত কায়েম রেখে ইসলামকে অরাজনৈতিক গন্ডীবদ্ধ করে ধ্বংস করে দেয়ার চক্রান্ত এই নিরব থাকা। খেলাফতে ইসলামের লক্ষ্যে খেলাফতে ইনসানিয়াত গড়ে তোলার সাধনা ছাড়া মুলুকিয়ত কবুল করে বসে থাকা কলেমা বদর ওহোদ কারবালার শহীদদের সাথে তথা তাওহীদ রেসালাত সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা। নিরব থাকার পরিণতি চলমান দ্বীন- মিল্লাত- মানবতার ধ্বংস ও সব বাতিল জালিম অপশক্তির বিজয়, যে বিপর্যয়ের পিছনে আছে কৌশলে মোয়াবিয়ার পথ জারি রাখার মাধ্যমে ঈমান দ্বীন খেলাফত ও ইনসানিয়াতের আসল ধারা কবরস্থ করে রাখা।

দ্বীনের ছদ্মনামধারী বাতিল ফেরকা, নাস্তিক্যউদ্ভূত বস্তুবাদি মতবাদ ও তাদের সৃষ্ট ভ্রান্ত রাষ্ট্রব্যবস্থার কবল থেকে দ্বীন-রাষ্ট্র-বিশ্ব ও মানবতা রক্ষা এবং পুনরুদ্ধারে আজ আমাদের সবাইকে অবশ্যই নিজেদের সঠিক পথে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, বিণাশের পথ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নিজেদের সঠিক পথ না চিনলে ধরে নিতে না পারলে আমরা ব্যক্তিগত ও জাতীয় কোন ভাবেই মুক্ত হতে পারবোনা।

সত্য ও মানবতার ধারা আমরা সুন্নী জনতা যেন নিজেদের পথ খুজে না পাই, দ্বীনের প্রকৃতধারা পূর্ণাংগতার ধারা যেন পুনঃবিকশিত হতে না পারে তার জন্য বহুমূখী চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। এক বাতিলের বিরোধীতা করে অন্য বাতিলের কাছে বিকিয়ে দেয়ার ও দাস করে রাখার মাধ্যমে আমাদের অস্তিত্ব বিণাশের প্রক্রিয়া চলছে।

সত্যে অটল থাকা, সত্যের ধারা জারি রাখা, সত্য ও মানবতার কর্তৃত্ব কায়েম রাখার জন্য এবং বাতিল জালিম অপশক্তির অপকর্তৃত্ব অন্যায় আধিপত্যের অভিশাপ বিণাশ থেকে মুক্তির জন্য সব বাতিল থেকে আমাদের সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে সব বাতেলের বিপক্ষে থেকে নিজেদের পূর্ণাংগ পথে এগিয়ে যেতে হবে, না হয় সত্য ও মানবতার ধারা বিধ্বংস বিলুপ্ত হয়ে যাবে এবং হয়ে গেছে।

শুধু বাতিল ফেরকার বিরোধীতা করলে বস্তুবাদের সহায়তা করা হয় এবং শুধু বস্তুবাদের বিরোধীতা করলে বাতিল ফেরকা লাভবান হবে। সত্যের পক্ষে থাকতে হলে সত্যকে এগিয়ে নিতে হলে সব বাতিলরই বিপক্ষে থাকতে হবে। সব বাতেল থেকে মুক্ত থেকে নিজেদের সঠিক পূর্ণাংগ যথার্থ লক্ষ্য ও কর্মসূচীতে পথে এগিয়ে চলাই সুন্নী দাবীর শর্ত ও যথার্থতা। এক বাতিলের বিরোধীতা করে অন্য বাতিলের কাছে আত্মসমর্পন করে সুন্নী দাবী হয় না বরং সুন্নীয়তকে কোন না কোন বাতিলের হাতিয়ার করে ফেলা হয়।

শতাব্দীর পর শতাব্দী আমরা সুন্নী জনতাকে নিজেদের পথ থেকে বিচ্যুত করে বিভ্রান্ত করে ভুল পথে ভুল নেতৃত্বে বিণাশী পথে ঠেলে দেয়া হয়েছে। যার পরিণতিতে আমরা সব হারিয়ে ফেলেছি, আমাদের চেয়ে পরাজিত ও পিছনে দুনিয়ায় আর কেউ নেই।

সত্য ও মানবতার শক্তির এ দুরবস্থায় মিথ্যা ও জুলুমের ধারক অপশক্তি জীবন-সমাজ-রাষ্ট্র ও বিশ্ব জবর দখল করে নিয়েছে, এমনকি সত্যের উদয়স্থল কেবলাভূমি আল আরবও আজ এজিদবাদি গোত্রবাদি স্বৈরতান্ত্রিক অপশক্তির কবলে। দ্বীনের কেন্দ্রস্থলে পবিত্র কলেমা দ্বীন খেলাফতে ইনসানিয়াতের সম্পূর্ণ বিপরীত ব্যবস্থা কায়েম করে সমগ্র মিল্লাতকে পরাধীন করে ফেলা হয়েছে।

মহান খাজাবাবা রাহমাতুল্লাহি আলাইহি এবং আরও অনেক আওলিয়া কেরাম ও শহীদানের অশেষ ত্যাগ সাধনায় মুক্ত বিশাল ইন্ডিয়া আজ আবার উগ্রবাদী সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষী খুনি- সন্ত্রাসী- বর্বর- পাশবিক অপশক্তির কবলে।

বৃহত্তর আরব ভূমির উপর অবৈধ খুনি সন্ত্রাসী ইসরাইলী বর্বর দস্যুরাষ্ট্র এবং সারা দুনিয়ায় সর্বত্র ভিন্ন ভিন্ন ভাবে পাশবতা- স্বৈরতন্ত্র- বর্ণবাদ- অবিচার- শোষণ- পরাধীনতা এবং রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের ধারক অপশক্তি প্রতিষ্ঠিত হয়ে আছে।

দ্বীনী মূল্যবোধ- গণতন্ত্র- স্বাধীনতা- অধিকার- নিরাপত্তা ও জীবনের সুস্থ স্বাভাবিক বিকাশ কোথাও বিপন্ন হয়ে পড়েছে কোথাও উৎখাত হয়ে গেছে। মিথ্যা জুলুমের ধারক অপশক্তির কবলে সব কিছু চলে গিয়ে এ ভয়ানক ধ্বংসাত্মক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

বিগত ইতিহাসে আমরা সত্য ও মানবতার সঠিক পথে না চলা, মূর্খ ও ভুল নেতৃত্বে চলা, অপশক্তির দালাল টাইপের লোকদের প্রতারণার শিকার হওয়া এবং একটার পর একটা আত্মঘাতি ধ্বংসাত্মক সিদ্ধান্তেরই মর্মান্তিক পরিণতি এ মহাবিপর্যয় ও উৎখাত। বিগত ইতিহাসের ক্রমাগত বিপর্যয়ের পরও এখনও আমরা সুন্নী জনতাকে ধোকা দিয়ে বস্তুবাদের দালাল দোসর করে রাখার অপচেষ্টা চলছে যেন আমরা নিজেদের নির্ভেজাল পথে স্বাধীনভাবে কখনও দাঁড়াতে না পারি, দ্বীন ও মানবতার শুভশক্তি যেন কখনও কায়েম না হয়, আমাদের ব্যবহার করেই যেন কোন না কোন বাতিল জালিম অপশক্তি কায়েম থাকে।

এমতাবস্থায় বিণাশের চক্রজাল থেকে বেরিয়ে ঈমান- দ্বীন- আত্মা- জীবন- রাষ্ট্র- বিশ্ব ও সমগ্র মানবতাকে রক্ষায় ঈমানের পবিত্র কলেমার অংগীকারে আত্মিক রাজনৈতিক সব দিকে পূর্ণাংগভাবে সত্য ও মানবতার সঠিক পথে এগিয়ে যাওয়াই অস্তিত্ব রক্ষা ও সর্ববাতিল জালেম অপশক্তি থেকে মুক্তির অবিকল্প পথ।

আমরা সুন্নী তথা দ্বীনের প্রকৃতধারার নিজস্ব স্বাধীন পবিত্র পুর্ণাংগ পথ তথা সত্য ও মানবতার সর্বাত্মক মুক্তির দিশা ও পথ বিলুপ্ত করে ছিনিয়ে নিয়ে আমাদেরকে বাতিলের আঁধার বিনাশের গহ্বরে ফেলে দেয়া হয়েছে। দয়াময় আল্লাহতাআলা ও তাঁর প্রিয়তম হাবীব প্রাণাধিত প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়া সাল্লামের অশেষ মেহেরবাণীতে ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট (World sunni movement) ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন ( World humanity revolution) এর মাধ্যমে সর্ব বাতিলের আঁধার ভেদ করে আমাদের নিজেদের হারানো সে পূর্ণাংগ পথ আজ আবার পুনঃরুদ্ধার ও উদিত হয়েছে।

একমাত্র ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ও ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন ই আমাদের সে হারানো সত্যের নিজস্ব পূর্ণাংগ দিশা, ঈমানের পবিত্র কলেমাভিত্তিক আত্মসত্ত্বা ও জীবন চেতনার ধারক এবং বিপরীত আগ্রাসনের প্রতিরোধ, ঈমান দ্বীন রক্ষা ও পূণঃপ্রতিষ্ঠার অছিলা এবং সর্ব বাতিলের চক্রান্ত আগ্রাসন থেকে মুক্তির অবলম্বন, আহলে সুন্নাতের রাজনৈতিক দিকদর্শন মানবিক রাষ্ট্রব্যবস্থা ও মুক্ত জীবনের অখন্ড বিশ্বব্যবস্থা খেলাফতে ইনসানিয়াত- যার মূল কথা রাষ্ট্র সবার, ধর্ম জাতীয়তা নির্বিশেষে সব মানুষের, কোন একক গোষ্ঠীর একচেটিয়া নয়, রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল এবং রাষ্ট্র একক কোন ধর্ম-জাতি-গোত্র-ভাষা-বর্ণ-শ্রেণী ইত্যাদি ভিত্তিক নয়, সর্বজনীন হতে হবে, অর্থাৎ রাষ্ট্র হবে কেবল মানবিক, যা সবার জন্য আদর্শ- নিরাপদ- শান্তিময়- মুক্ত ও স্বাধীন।

একমাত্র ইনসানিয়াতের রাজনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও বিশ্বব্যবস্থার মাধ্যমেই সত্য ও মানবতার পূণঃপ্রতিষ্ঠা এবং বাতিল ফেরকা- বস্তুবাদ ও ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদের মিথ্যা- জুলুম- পরাধীনতা- শোষন- বৈষম্য- দ্বন্দ্ব- সংঘাত- বিনাশের অপরাজনীতি থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, যা হারিয়ে ফেলায় আমরা এবং সমগ্র মানবতা অপশক্তির কবলে চলে গেছে, মিথ্যা- মূর্খতা- আঁধার- বর্বরতা- পাশবতা- হিংস্রতা- খুন- গুম- দস্যুতার আধিপত্য কায়েম হয়েছে।

আজ আমাদের সামনে সত্যের দিশা ও মানবতার মুক্তির পথ আমাদের নিজেদের পবিত্র পূর্ণাংগ পথ এবং অপরদিকে বাতিল ফেরকা ও বস্তুবাদি মতবাদ এবং তাদের দালাল দোসরদের ধ্বংসাত্মক পথ।

আমাদের অবশ্যই নিজেদের পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে যেতে হবে না হয় বাতিল জালিম অপশক্তিই কায়েম থাকবে এবং আমাদের দ্বীন-মিল্লাত ও মানবতার ভবিষ্যৎ আরো ভয়ংকর বিনাশী হবে যার জন্য আমরা সবাই দায়ী হতে হবে। ধ্বংসের যে ধারা চলে আসছে তা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের অবশ্যই নিজেদের পথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সত্য ও মানবতার পুনঃপ্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যেতে হবে।

ঈমান-দ্বীন-আত্মা-জীবন-রাষ্ট্র-বিশ্ব ও মানবতা রক্ষায় আমাদের সবার দায়িত্ব, প্রয়োজনীয়তা ও ভূমিকা অপরিহার্য্য। ঈমানী এ দায়িত্বে আমাদের সম্মিলিত অংশগ্রহন ও অগ্রযাত্রার লক্ষ্যে সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন।

============
ইসলামের মূল ধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের প্রকৃত ধারার এ যুগের পূণরূজ্জীবনকারী 
- আল্লামা ইমাম হায়াত ( Allama Imam Hayat)
প্রতিষ্ঠাতাঃ ওয়ার্ল্ড সুন্নী মুভমেন্ট ( World sunni movement )
প্রবর্তকঃ ওয়ার্ল্ড হিউম্যানিটি রেভুলুশন ( World humanity revolution)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাহাবী একটি বৈশিষ্ট্য, সাহাবী একটি চরিত্র, সাহাবী একটি আদর্শ, সাহাবী মানে উৎসর্গ, সাহাবী মানে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত! লেখক- আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিশার আলোকে- আল্লামা মুফতি রেজাউল মোস্তফা কায়সার

প্রিয়নবীর সম্পর্কের চেয়ে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান অপরিহার্য্য অন্য কোন সম্পর্কই নয় -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা"

(দলিল) নবী রাসূল আলাইহিস সাল্লাম গন সহ আল্লাহর ওলী গন চিরন্তন জীবিত ।