যে কারনে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবে না মানবতা ভিত্তিক রাজনৈতিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লব







সংসদ বিলোপ এবং সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধান ছাড়া ইনসানিয়াত বিপ্লব নির্বাচনে যাবে না
============================

জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার রুদ্ধ করে- রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে- সংসদ বহাল রেখে সশস্ত্র-দলীয় গুন্ডা ব্যবহার করে নির্বাচনের নামে একপক্ষীয় বানোয়াট নির্বাচন প্রকৃতপক্ষে নির্বাচন নয়- গণতন্ত্র হত্যা এবং জনগণকে অস্বীকার করে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগতকরণ।

প্রতিপক্ষকে মাঠে নামতে না দিয়ে একপক্ষীয় খেলা যেমন খেলা নয় ধোকা ও দস্যুতা - তেমনি আমরা গণতান্ত্রিক জনগণকে বাদ দিয়ে কিছু কেনা বেচার দালাল দিয়ে একপক্ষীয় নির্বাচন- নির্বাচন নয়- রাষ্ট্র বিধ্বংসী প্রহসণ।

স্বাধীন ভোটাধিকার ছাড়া নাগরিকত্ব ও গণতন্ত্র এবং রিপাবলিক অস্বীকার হয়, রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস হয়, মিথ্যা ও অবৈধতা এবং দুর্নীতি ও স্বৈরতা দস্যুতা রাষ্ট্রের ভিত্তি হয়ে যায়, জনগণের মালিকানা ও স্বাধীনতা ধ্বংস হয়ে যায়।

সংসদ বহাল রেখে রাষ্ট্র ক্ষমতার অপব্যবহার করে জালিয়াতির নির্বাচন করে জনগণের নাগরিকত্ব ও ভোটাধিকার হরন করে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখা রাজনীতি নয় চরম অপরাজনীতি। 

বলপূর্বক একচেটিয়া ভূয়া নির্বাচন তথা কোনো জালিয়াতির সংসদ ও সরকার জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না এবং অবৈধ লোকদের প্রণীত সকল আইন অবৈধ হয়ে থাকবে।

চলমান সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন প্রহসণ ভোট ডাকাতির ব্যবস্থা মাত্র। ক্ষমতার বলে সংসদ সদস্যগণ প্রশাসন ও পুলিশ সবাইকে ব্যবহার করে সশস্ত্র দলীয় গুন্ডা দিয়ে সন্ত্রাস করে ভোটকেন্দ্র জবরদখল করে ভূয়া নির্বাচন আমরা বিগত নির্বাচনে দেখেছি এবারো তাই হচ্ছে।

আমরা বিগত নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম এবং আমরা দেখেছি ক্ষমতাসীন দল ও দলীয় সংসদ প্রশাসন ও পুলিশ এবং দলীয় সশস্ত্র গুন্ডা বাহিনী দিয়ে কিভাবে ত্রাস ও সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে জনগণের ভোটাধিকার হরন করেছে।

বাস্তব অবস্থা এই যে- চলমান অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। ২০১৪ ও ২০১৮ - গত দুই টার্ম মত নির্বাচনের মত একচেটিয়া তথা ভূয়া নির্বাচনের আয়োজন চলছে।

চলমান পরিস্থিতিতে আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব নিবন্ধিত দল হিসেবে জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার-সংঘাতমুক্ত- জালিয়াতিমুক্ত - নিরাপদ- সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঁচটি দাবি পেশ করেছিলাম যে,
১) ক্ষমতাসীন দলীয় নিয়ন্ত্রন ও অন্যায় দলীয় প্রভাবমুক্ত এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বর্তমান সংসদ ভেঙে নির্বাচন দিতে হবে,
২) নিরাপত্তা ও বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য মেজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনাবাহিনীর সরাসরি তত্ত্বাবধানে নির্বাচন হতে হবে,
৩) নির্বাচনের এক মাস আগে থেকে নির্বাহী প্রসাশন ও আইন শৃংখলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রন ও ট্রান্সফার নির্বাচন কমিশনের অধীনে দিতে হবে।
৪) প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে অনলাইন সিসিটিভি ক্যামরা থাকতে হবে,
৫) সংবাদ মাধ্যম/সংবাদিক ভোটকেন্দ্রে অবাধ প্রবেশের সুযোগ দিতে হবে।

জীবনের নিরাপত্তা ছাড়া সপরিবারে ভোটকেন্দ্রে যাওয়া সম্ভব নয়। আর বুথ থেকে ভোট গণনা পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতাসম্পন্ন সেনাবাহিনীর সক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ছাড়া নিরাপদ নির্বাচন ও স্বাধীন ভোটাধিকার এখন অসম্ভব।

সংসদ বিলোপ ও সেনাবাহিনীর সরাসরি দায়িত্বে নির্বাচন ছাড়া কোনো গণতন্ত্র হত্যার নির্বাচন ও প্রশাসনমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে অবৈধভাবে রাষ্ট্র কুক্ষিগত করে রাখার ভূয়া নির্বাচনে শরিক হয়ে দেশ ও জনগণের সাথে ইনসানিয়াত বিপ্লব বেঈমানি বিশ্বাসঘাতকতা করবে না।

স্বাধীন ভোটাধিকার এবং সংঘাতমুক্ত- নিরাপদ- জালিয়াতিমুক্ত বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন ছাড়া দেশ ও জনগণ রুদ্ধ ও অধিকারহীন হয়ে একক গোষ্ঠীর পাশবিক স্বৈরতন্ত্র কায়েম থাকবে।

নির্বাচনে অংশগ্রহন করার সকল প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও সুষ্ঠু ও নিরাপদ নির্বাচন সম্পূর্ন অসম্ভব বিধায় জনগণ-রাষ্ট্র-গণতন্ত্র ও সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ততা রক্ষায় আমরা ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন ২০২৪, অংশগ্রহন করতে পারছি না।

এতদসঙ্গে ইনসানিয়াত বিপ্লব অকাট্যভাবে বিশ্বাস করে যে-
জনগণের মৌলিক মানবাধিকার ও নাগরিকত্ব পূনরুদ্ধার, জীবনের স্বাধীনতা পূনরুদ্ধার এবং রাষ্ট্র জনগণের কল্যানে ও জনগণের মালিকানায় ফিরিয়ে আনার জন্য মানবিক চেতনার পূনরুদ্ধার-একক গোষ্ঠীর স্বার্থবাদী হিংস্র অপরাজনীতির পরিবর্তন-এবং একক গোষ্ঠীবাদি রাষ্ট্রকাঠামোর পরিবর্তন করে সর্বজনীন মানবতার রাষ্ট্র ছাড়া কেবল সুষ্ঠ নির্বাচনই যথেষ্ট নয়।

ইনসানিয়াত বিপ্লব দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে-
(১) বস্তুবাদি গোষ্ঠীবাাাদি চেতনার পরিবর্তন:
     যদি বস্তুবাদি চেতনার পরিবর্তন না হয় অর্থাৎ- সকল মিথ্যার উৎস ও অমানুষ তৈরির বিষ বস্তুবাদি চেতনার বিষাক্ত আঁধার থেকে মুক্ত হয়ে মানবিক চেতনার মানুষ গড়ে না উঠে তাহলে খুন-গুম-হিংস্রতা-অবিচার-সংঘাত-সন্ত্রাস-শোষন-দারিদ্র-লুট-বৈষম্য-বিভেদ-পাশবতা-স্বৈরদস্যুতামুক্ত মানবতার সমাজ-রাষ্ট্র-বিশ্ব গড়ে উঠবে না । ধর্মের
মানবিক শিক্ষার বিপরীত অধর্ম উগ্রবাদ ও বস্তুবাদমুক্ত মানবিক মানুষ ছাড়া সব মানুষ অন্ধ এবং মিথ্যা-জুলুম-স্বৈরদস্যুতার অংশ।

(২) গোষ্ঠীবাদি রাজনীতির পরিবর্তন:
      যদি চলমান রাজনীতির পরিবর্তন না হয়, অর্থাৎ বর্তমান একক গোষ্ঠীবাদি হিংস্র পাশবিক অপরাজনীতির পরিবর্তন না হয়, চলমান একক ধর্মের নামে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষার বিপরীত ও ধর্মের অধর্ম উগ্রবাদি সাম্প্রদায়িক পাশবিক অপরাজনীতি এবং মানবতা বিধ্বংসী একক জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক পাশবিক অপরাজনীতির পরিবর্তন করে আল্লাহতাআলার হাবীব প্রাণাধিক প্রিয়নবী রাহমাতাল্লিল আলামীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লামের দেয়া সব মানুষের কল্যাণ ভিত্তিক ও সব মানুষের প্রতিনিধিত্বশীল মানবতার রাজনীতির প্রবর্তন না হয়, তাহলে রাজনীতির নামে জীবন ও মানবতার বিরূদ্ধে দস্যুনীতির হিংস্রতাই চলতে থাকবে এবং একক গোষ্ঠীবাদি পাশবিক অপরাজনীতি বিষফল হিসেবে একক গোষ্ঠীবাদি স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত থেকে রাষ্ট্র জীবন ও মানবতার বিরূদ্ধে মিথ্যা ও জুলুমের ভয়ংকর হাতিয়ার হিসেবে চলতে থাকবে।

(৩) একক গোষ্ঠীবাদি রাষ্ট্রব্যবস্থার পরিবর্তন:
যদি চলমান একক গোষ্ঠীবাদি স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক খুন-গুম-জুলুম -শোষন-লুট-রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সাংবিধানিক পরিবর্তন না হয় অর্থাৎ - জীবন ও মানবতার মুক্তির উৎস আল্লাহতাআলার প্রত্যক্ষ আলো ও রাসুল প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহী ওয়াসাল্লাম প্রদত্ত সব মানুষের জীবন-নিরাপত্তা-অধিকার-স্বাধীনতা-মর্যাদা-মালিকানা ভিত্তিক ও একক গোষ্ঠীর স্বৈরদস্যুতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন মানবতার রাষ্ট্র এবং মানবিক সাম্য ও বিশ্বসম্পদে সব মানুষের মালিকানা ভিত্তিক বিশ্বনাগরিকত্বের ভিত্তিতে অখন্ড মানবতার অখন্ড দুনিয়া মুক্ত জীবনের মুক্ত দুনিয়া খেলাফতে ইনসানিয়াত ( state & world of universal humanity based on authority of every life) না হয়- তাহলে অপশক্তির গ্রাস থেকে জীবন ও মানবতা এবং রাষ্ট্র ও দুনিয়ার মুক্তি কখনই হবে না।

ভাষা-গোত্র-দেশ-রাষ্ট্র-বর্ণ-লিংগ সব বস্তুর উর্ধে কেবল জীবনের দয়াময় স্রষ্টার নামে স্রষ্টার আলো মহান রেসালাতের আলোকে মানবসত্তা ব্যতীত জীবনের সত্য হয় না এবং মানুষ দাবির ভিত্তি থাকে না, বরং মানুষের আকৃতিতে অমানুষ তৈরি হয়। মানবিক মানুষ মানবাধিকার-মানবতার রাজনীতি-মানবতার রাষ্ট্র ও মানবতার দুনিয়া এক কথায় মানবতার বিপ্লব ছাড়া খুন জুলুম রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস ধ্বংসযজ্ঞ স্বৈরদস্যুতন্ত্র চলতেই থাকবে, জীবন ও দুনিয়া সত্য ও মানবতার শত্রু বাতিল জালিম অপশক্তির জবরদখলে থাকবে। 

বস্তুবাদি জাতীয়তাবাদি চেতনার পরিবর্তন-গোষ্ঠীবাদি অপরাজনীতির পরিবর্তন-স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিবর্তন এবং অমানবিক বিশ্ব ব্যবস্থার পরিবর্তন ব্যতীত কেবল ভোট নির্বাচনে মুক্তি আসবে না, কেবলমাত্র খুন-জুলুমের ধারক ব্যক্তি ও গোষ্ঠীর পরিবর্তন হবে।

এমতাবস্থায় জীবনের সত্য ও মানবতায় বিশ্বাসী সকল মানুষের প্রতি আমরা #বিশ্ব_ইনসানিয়াত_বিপ্লব ( World humanity revolution) এই উপলদ্ধির আবেদন জানাই যে-
দুনিয়াব্যাপী সকল অপশক্তির গোষ্ঠীবাদি অপরাজনীতির খুন-জুলুম-রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস-দস্যুতা-স্বৈরতা-রূদ্ধতা থেকে জীবনের নিরাপত্তা ও জীবনের স্বাধীনতা রক্ষায় এবং গণতন্ত্র ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় বস্তুবাদি বিভেদ বৈষম্যের উর্ধে মানবসত্তার ভিত্তিতে মানবতার রাজনীতি-মানবতার রাষ্ট্র ও মানবতার দুনিয়া গড়ে তোলার লক্ষ্যে #Humanity_revolution ইনসানিয়াত বিপ্লব ছাড়া কোনো পথ নেই ।

#ধন্যবাদ।

==============
- আল্লামা ইমাম হায়াত (Allama Imam Hayat)
(বস্তুর উর্ধ্বে মানবসত্তা ও মানবতার রাজনীতির প্রবক্তা এবং বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক)

ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রিয়নবীর সম্পর্কের চেয়ে জরুরী গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবান অপরিহার্য্য অন্য কোন সম্পর্কই নয় -"আল্লামা ইমাম হায়াত আলাইহি রাহমা"

সাহাবী একটি বৈশিষ্ট্য, সাহাবী একটি চরিত্র, সাহাবী একটি আদর্শ, সাহাবী মানে উৎসর্গ, সাহাবী মানে সর্বোচ্চ বিশ্বস্ত! লেখক- আল্লামা ইমাম হায়াত এর দিশার আলোকে- আল্লামা মুফতি রেজাউল মোস্তফা কায়সার

মহামান্য ইমাম ইমাম আবু হানিফা রহমতুল্লাহ আলাইহির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস ।