দেশের চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ইমাম হায়াত যে দিক নির্দেশনা প্রদান করলেন
ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ থেকে জনগণের জীবন ও ধ্বংসাত্মক গৃহযুদ্ধ থেকে দেশকে বাঁচানোর জন্য একমাত্র ও শেষ উপায় হিসেবে
সেনাবাহিনীর প্রতি নিবন্ধিত রাজনৈতিক মানবিক দল ইনসানিয়াত বিপ্লবের আকুল আবেদন।
--------------------------------------
জীবন ও জগতের মালিক একমাত্র আল্লাহতাআলা এবং আল্লাহতাআলার রাসুল প্রাণাধিক প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সব মানুষের জীবনের মালিকানা ও সুরক্ষার জন্য মানবতার রাষ্ট্রব্যবস্থার নির্দেশণা দান করেছেন।
সব মানুষের জীবন নিরাপত্তা-স্বাধীনতা-অধিকার ভিত্তিক সর্বজনীন মানবতার রাষ্ট্রব্যবস্থা উৎখাত করে একক গোষ্ঠীর স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা মুলুকিয়ত কায়েমের কারনেই দুনিয়ায় জীবনের এত রুদ্ধতা- খুন- গুম- শোষন- নিপীড়ন- ধ্বংসযজ্ঞ- হত্যাযজ্ঞ- জীবনের এত সংকট চলছে।
আমরা বাংলাদেশেও সমগ্র জনগণ এখন অপরাজনীতির মারাত্মক হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞের মুখে পড়েছি।
এমতাবস্থায় অনন্যোপায় হয়ে অসিলা হিসেবে জনগণের জীবনের শেষ রক্ষা- শেষ আশ্রয়- শেষ নির্ভরতা- রাষ্ট্র রক্ষায় একমাত্র আস্থাস্পদ প্রিয় সেনাবাহিনীর প্রতি নিবন্ধিত মানবিক রাজনৈতিক দল বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ- এ আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া গণতন্ত্র হত্যা ও প্রহসণের নির্বাচনে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসীন আওয়ামীলীগ সরকারের খুন গুম জেল জুলুম দুর্নীতি দলীয়করণ গুন্ডাতন্ত্র রাষ্ট্রীয়সন্ত্রাসে অসহ্য অতিষ্ঠ জনগণ ও ছাত্রসমাজ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী বিক্ষোভে নেমেছেন।
সরকার দলীয় সশস্ত্র লোক নামিয়ে সহিংস মোকাবিলার পথ নেয়ায় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ঘটছে এবং সামনে আরো মারাত্মক আরো ব্যাপক হত্যাযজ্ঞের আশংকা দেখা দিয়েছে এবং দেশে ভয়ঙ্কর রক্তপাত ও গৃহযুদ্ধাবস্থা দেখা দিয়েছে।
আমরা সমগ্র জনগণ আমাদের জানমাল নিয়ে চরম শংকিত ও অসহায় নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছি।
সামগ্রিক পরিস্থিতি প্রশাসন ও পুলিশের আওতার বাহিরে চলে গেছে। দুঃখজনক ভাবে অনেক পুলিশ ভাইও নিহত হয়েছেন। জনগণের শত্রু ও দেশের শত্রু বিভিন্ন অশুভ গোষ্ঠী এই অরাজক অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে যা নিয়ন্ত্রণ এই সরকারের আওতার বাহিরে চলে গেছে।
ছাত্র জনতা এই ভূয়া নির্বাচনের স্বৈরসরকারের হত্যাকাণ্ড থেকে জীবন রক্ষায় এবং তাদের হরন করা অধিকার স্বাধীনতা পূণরুদ্ধারে অবৈধ জবরদখল থেকে দেশ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরবেনা। জনগণ এ সরকারকে নিজেদের নির্বাচিত নিজেদের রক্ষক নিজেদের দেশের সরকার মনে করেন না।
জীবনের বিনিময়ে হলেও জনগণ স্বাধীন জীবন ও সবার মালিকানা ভিত্তিক স্বাধীন রাষ্ট্র ছাড়া ঘরে ফিরবেনা।
ছাত্র জনতা এই সরকারের গণতন্ত্র হত্যা, জনগণের নাগরিকত্ব হরন, দেশকে নিজেদের একক গোষ্ঠীর কুক্ষিগতকরণ,
দীর্ঘ সময়ের ব্যাপক অত্যাচার দমন নিপীড়ন মিথ্যা মামলায় জেল জুলুম, রাষ্ট্রীয় সম্পদের লুট তরাজ, জীবনের অধিকার স্বাধীনতা রুদ্ধকরণ, বাকস্বাধীনতা হরন, ভিন্ন মত পথের হলেই ক্ষমতাসীনদের হুমকি এমনকি হত্যা, ক্ষমতাসীনদের এহেন স্বৈরতন্ত্র থেকে জীবন ও রাষ্ট্রের উদ্ধারে চলমান সংগ্রাম জনগণ জীবন ও রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ স্বাধীনতার সংগ্রাম হিসেবে নিয়েছেন যা থেকে জনগণের ফেরার অবকাশ নেই।
ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীও নিজের বিবেকবোধ থেকে পদত্যাগ না করে হত্যাকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে ও যাবে।
এহেন চরম ভয়ঙ্কর গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতিতে আল্লাহ রাসুলের রহমতে অসিলা হিসেবে একমাত্র আমাদের আস্থাস্পদ প্রিয় সেনাবাহিনীই জনগণের জীবন ও দেশ রক্ষা করতে পারেন।
কোনো আইন সংবিধান জনগণের জীবনের উর্ধে রাষ্ট্রের উর্ধে নয়। মানব জীবনের চেয়ে বড় ও মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ কিছুই নেই। জীবনের স্রষ্টা ও মালিক দয়াময় আল্লাহতাআলা কোরআনুল করীমে বলেছেন এক মানুষ হত্যা সমগ্র মানবমন্ডলী সবাইক হত্যা এবং এক মানুষকে বাঁচানো সব মানুষকে বাঁচানো।
আমাদের সামনে হয় জীবন ও দেশ রক্ষায় একমাত্র সেনাবাহিনীর সুরক্ষা নাহয় সরকারের ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও অসংখ্য মৃত্যু এবং ভয়ঙ্কর সর্বনাশ গৃহযুদ্ধ, গরীব মানুষদের অনাহার এবং দেশের সর্বাত্মক চরম ধ্বংস ছাড়া আর কিছু নেই।
নাগরিক ও মানবিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমাদের আকুল আবেদন আমরা অসহায় জনগণ সবার জীবন বাঁচান এবং দেশ বাঁচান। আমরা আস্থা রাখি যে একমাত্র আমাদের সেনাবাহিনী ই সঠিক ব্যবস্থার মাধ্যমে এ ভয়ংকর ধ্বংসাত্মক পরিস্থিতি থেকে জনগণের জীবন ও দেশ উদ্ধার ও রক্ষা করে আগামীর মানবিক গণতান্ত্রিক মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথ করে দিতে পারেন।
অসিলা হিসেবে আমাদের আস্থাস্পদ সেনাবাহিনীই আমাদের বাঁচার শেষ অবলম্বন ও মুক্তির অবলম্বন হিসেবে আমরা জনগণের সবার জীবন ও দেশ রক্ষায় নিম্নোক্ত চারটি ব্যবস্থা অপরিহার্য হিসেবেই তুলে ধরছি।
বাস্তবতা এই যে-
এহেন চরম অবস্থায় জনগণের জীবন ও দেশ রক্ষার একমাত্র পথ-
*প্রথমতঃ
এ সরকারের পদত্যাগ,
*দ্বিতীয়তঃ
ভূয়া নির্বাচনের ভূয়া দলীয়
সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে দলনিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালিন সরকার গঠন,
*তৃতীয়তঃ
সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে বিশ্বাসযোগ্য নিরাপদ সত্য নির্বাচনের মাধ্যমে অপহৃত নাগরিকত্ব গণতন্ত্র ও জনগণের জবাবদিহী মানবিক সরকার প্রতিষ্ঠা।
*চতুর্থতঃ
সাংবিধানিকভাবে জনগণের সবার মালিকানা নিরাপত্তা অধিকার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায়
রাষ্ট্রকে একক গোষ্ঠীর কুক্ষিগতকরণমুক্ত ও একক গোষ্ঠীর স্বৈরদস্যুতামুক্ত অসাম্প্রদায়িক সর্বজনীন মানবতার রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং এজন্য একক ধর্মের নামে অধর্ম উগ্রবাদি সাম্প্রদায়িক হিংস্র অপরাজনীতি ও একক জাতীয়তাবাদ ভিত্তিক একক গোষ্ঠীর পাশবিক অপরাজনীতির সৃষ্ট স্বৈরদস্যুতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থা পরিবর্তন করে সর্বজনীন মানবতার রাজনীতি প্রবর্তন ও সর্বজনীন মানবতার রাষ্ট্র গড়ে তোলা।
-আল্লামা ইমাম হায়াত,
ইনসানিয়াত বিপ্লব, বাংলাদেশ।
Humanity Revolution, Bangladesh.
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For You Comment