নির্বাচন নিয়ে গু শফির মুরিদ এরশাদ, এরশাদের মুরিদ মুতিন মন্নান সমদ উকিল মুতি বকতিয়ার, নতুন ফতোয়া
জাতীয় পার্টির (জাপা) সাথে সম্মিলিত জাতীয় জোট করা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট তিন ধরনের সমীকরণ নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। জাতীয় পার্টি মহাজোটে থাকলে তারা শরিক দল হিসেবে সারাদেশে আসন চাইবে ১১টি। তার মধ্যে চট্টগ্রামে তিনটি আর কক্সবাজারে একটি। আর জাপা মহাজোটে না থাকলে সারাদেশে আসন চাইবে ৭৩টি। শেষ পর্যন্ত জোট না টিকলে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেবে কাকে কোন্ আসন থেকে মনোনয়ন দেয়া হবে।
ইসলামী ফ্রন্ট সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে মহাজোট থেকে তিনজনের প্রার্থিতা নিশ্চিত করতে চায় তারা। সেই তিন সম্ভাব্য প্রার্থী হলেন দলটির চেয়ারম্যান মাওলানা এম মান্নান, মহাসচিব মাওলানা এম মতিন এবং যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ।
এর মধ্যে ইসলামী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মান্নান চান চট্টগ্রাম –২ (ফটিকছড়ি) অথবা চট্টগ্রাম–৭ (রাঙ্গুনীয়া ও বোয়ালখালীর শ্রীপুরÑখরণদ্বীপ ইউপি) আসনের যেকোন একটি। দলটির মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন চান চট্টগ্রাম–১১ (নগরীর ২৭, ২৮, ২৯, ৩০ ও ৩৬, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১নং ওয়ার্ড) সংসদীয় আসন, চট্টগ্রাম–১২ (পটিয়া) এবং চট্টগ্রাম–১৩ (আনোয়ারা ও কর্ণফুলী) আসনের যে কোন একটি। যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ চান চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী ও নগরীর ৩, ৪, ৫, ৬, ৭ নং ওয়ার্ড) আসন অথবা চট্টগ্রাম–১৪ (চন্দনাইশ–সাতকানিয়া আংশিক) সংসদীয় আসন। আর কক্সবাজার–২ (মহেশখালী) আসনে দলের কক্সবাজার জেলা সভাপতি মাওলানা মঞ্জুর আহমদের মনোনয়ন মহাজোট থেকে নিশ্চিত করতে চায় দলটি।
বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব মাওলানা এম এ মতিন পূর্বকোণকে বলেন, জাতীয় পার্টির সাথে জোট গঠন করে ঐতিহাসিক লালদিঘি ময়দানে তারা বিশাল সমাবেশ করেছেন। সমাবেশে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের যোগদান তাদেরকে উৎসাহ যুগিয়েছে। মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ ছিল। যার অধিকাংশই বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের কর্মী–সমর্থক। যেহেতু জনসমর্থন আছে তাই তারা শক্তভাবেই দরকষাকষি করবেন। তিনি বলেন, জাপা’র সাথে আওয়ামী লীগের জোট এখনো বিদ্যমান আছে। জাপা’র চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সাথে ইসলামী ফ্রন্টের আলোচনা হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, ‘এরশাদ কথা দিয়েছেন, জাপা যদি মহাজোটে থাকে তাহলেও তিনি ইসলামী ফ্রন্টকে বাদ দিয়ে কিছু করবেন না। ইসলামী ফ্রন্টের জন্য আসন পেতে দরকষাকষি করবেন। তার কথায় আমরা আস্থা রেখেছি।’ তিনি বলেন, শেষ পর্যন্ত সম্মিলিত জাতীয় জোট না টিকলে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের মত করে প্রার্থী মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।
মাওলানা মতিন বলেন, আলোচনার সুবিধার্থে একেকজন প্রার্থীর জন্য দুই থেকে তিনটি আসন প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে একজন প্রার্থী একটি আসনেই নির্বাচন করবেন। চট্টগ্রামে ইসলামী ফ্রন্টের যে জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে তা সমাবেশের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এবারের নির্বাচনে তার দল কয়েকটি আসনে নির্বাচিত হতে পারবেন বলে তার বিশ্বাস।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Thanks For You Comment